‘ওয়ার ক্রিমিনাল’ এরিক প্রিব্ক কথন!
খবরটা ছোট্ট। লন্ডন থেকে নিউনিয়র্কের সব নামীদামী সংবাদপত্র, বিবিসি সবাই যত্ন করে প্রকাশ করেছে। খবরটা এক যুদ্ধাপরাধী সম্পর্কে। লোকটি ১০০বছর বয়সে গৃহবন্দী অবস্থায় রোমে মারা যায়।
তার নাম এরিক প্রিব্ক। গত ১৫ই অক্টোবর রোমে মানুষের প্রতিবাদের কারনে নব্য নাৎসীদের আয়োজিত তার অনেত্মাষ্টিক্রিয়া (ধর্মমতে সাধারনত মানুষের ক্ষেত্রে গির্জায় যা হয়) হতে পারেনি। লোকটি গণহত্যার নায়ক। দ্বিতীয় বিশযুদ্ধের সময় বোমার আঘাতে ৩৩জন নাৎসী জার্মান সৈন্য রোমে নিহত হলে স্বয়ং হিটলার নাকি এরিক প্রিবকে প্রতি সৈন্যের জন্য ১০জন সাধারন (সিভিলিয়ান) মানুষ হত্যার আদেশ পাঠায় । হিটলারের আদেশ অনুযায়ী ৩৩০ জনকে হত্যা করার কথা। এরিক প্রিব্ক বাছাই করে রোমের ৩৫০কে ধরে আনে। এদের মাঝে ৭৫জন ইহুদী ছিলেন। সবাইকে এক গুহায় আটকে রেখে মাত্র আড়াই ঘণ্টা সময়ে গুলি করে হত্যা করে।
যুদ্ধের পর এরিক বন্দী হয়। তবে সে ব্রিটিশ যুদ্ধবন্দীশালা থেকে পালায়। এরপরে লুকিয়ে ৫০বছর আর্জেণ্টিনার প্রত্যন্ত এলাকায় সে স্কুলশিক্ষক হিসেবে কাজ করে। এক টিভি সাংবাদিক তার খোঁজ বার করে। খবরে প্রকাশ ধরা- পড়ার পরও কৃত অপরাধের জন্য এরিক প্রিব্কএর কোন অনুতাপ বা কোন অনুশোচনা ছিল না। তার ভাষ্যমতে সে শুধুমাত্র বসের বা উপরওয়ালার দেওয়া হুকুম পালন করেছে। এ কোন জীব যার মাঝে মানুষের কোন বোধবুদ্ধি, কোন ন্যায়অন্যায় জ্ঞান নাই?
শেষ পর্যন্ত এরিককে গোপন এক জায়গায় সমাহিত করা হয়। ভ্যাটিকান এক নজিরবিহীন হুকুম জারী করে যাতে বলা হয়েছে শহরের যে কোন ক্যাথলিক চার্চে এই যুদ্ধাপরাধীর অনেত্মাষ্টিক্রিয়া নিষিদ্ধ।