ওনাদের কথোপকথন
দুপুর বেলায় কি খেয়েছেন, তরকারিতে মাছ ছিল?
জানেন কিছু, ভাবী নাকি মীনাবাজার যাচ্ছিল?
আরে না ভাই, রাস্তা ঘাটে যাতা রকম রিস্ক ছিল
মুভি দেখেই কাটছে সময়, ভালো কিছু ডিস্ক ছিল
দুপুর বেলা খাইনি তেমন পেটে কেমন গ্যাস ছিল
ছোট শালা আসলো বাসায়, পাওনা কিছু ক্যাশ ছিল
তার কারনেই ইলিশ এবং পাবদা মাছের পাতলা ঝোল
শালা আমার মাছের পাগল, তাইতো ছিল কাতলা, শোল
বিফ খাবো কি? ঝালের চোটে মুখের ভেতর জ্বলছিল
দইটা শেষে খেতেই হোল, অত্ত করে বলছিল
আহা দাদা লজ্জা কেন? আমার কথা শুনুন না
কি খেয়েছি আজ দুপুরে আঙ্গুলে কর গুনুন না
না না না ভাই, এখন আর না, ইমারজেন্সি কাজ ছিল
তখন থেকে শব্দ করে ফোনটা আমার বাজছিল
ম্যাডাম স্বয়ং ফোন দিয়েছেন, অবরোধটা জমছে না
গাড়ী ঘোড়া, বেচা বিক্রি মোটেই তেমন কমছে না
কি করা যায় বলেন দেখি, একটা বুদ্ধি দরকার-ই
সরি দাদা, ভুলে গেলেন? আমার দলটা সরকার-ই
ধুর মিয়া ভাই, অবরোধে, এই যে পেলেন আয়েশটা
ঝাল খেয়েছেন, টক খেয়েছেন, টেস্ট করেছেন পায়েশটা
চিন্তা কি আর, ফি বছরও আপনি না হয় আমি-ই তো
মরছে যারা ওদের চেয়ে আপনি আমি দামি-ই তো
আরিহ দাদা যা বলেছেন, মনের কথা, খাঁটিটা
আমরা খাবো দুগ্ধ পায়েশ, ওদের জন্য বাটিটা
ও কি রে ভাই? কে ওখানে? মানুষ পোড়া গন্ধ না?
পুড়বে না তো কি আর হবে? হরতালে সব বন্ধ না?
কত্ত বড় সাহস ওদের অবরোধটা মানছে না
ওদের জন্য আমরা ভালো, তবুও ওরা জানছে না
আহা দাদা, গন্ধ পেয়ে, জিভের মধ্যে জল এলো
ওরা অমন আছে বলেই, মোদের শরীর বল পেলো।
আসেন তবে ওদের নামে আরেক পেগ এ চিয়ার্স হোক
আহা দেশের আম জনতা, তোদের দুঃখে টিয়ার্স হোক