Bangla Article by Arshad Bhuiyan

Bangla Article by Arshad Bhuiyan

এসব সন্ত্রাসীদের বিচার কি ? ——–

১.

একজন ধার্মিকের নিকট তার ধর্ম ,ধর্মগ্রন্থ খুবই পবিত্র একটি বিষয় ।ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থ নিয়ে যেমন কটাক্ষ করা যায় না বা করা উচিত নয় ।ঠিক তেমনি রাষ্ট্র তথা রাষ্ট্রের সংবিধান ও একজন নাগরিকের নিকট খুবই স্পর্শকাতর ও পবিত্র একটি বিষয়ের ন্যায় পরিগণিত ।একজন ব্যাক্তিকে তার ব্যক্তিগত ব্যাপারে গালিগালাজ করলে ও সে ব্যাপারটি তেমন আমলে নেয় না, কিন্তু ব্যাক্তিকে যদি তার জাত-পাত তুলে গালি দেয়া হয় , তখন কিন্তু সেটা তার ইগুতে নাড়া দেয় ।এর ফলে সে প্রতিবাদী হয় , এমনকি রক্তক্ষয়ী ভয়াবহ কান্ড ও করে বসতে পারে । কাজেই ব্যাক্তির জাত-পাত তুলে কোন সচেতন লোক কখনো কিছু বলতে চায় না বা ব্যাপারটা সযত্নে এড়িয়ে চলে । ঠিক তেমনি রাষ্ট্র তথা রাষ্ট্রের সংবিধান নিয়ে কেউ যখন কটাক্ষ করে তখন কোন নাগরিকের মাথা ঠিক থাকতে পারে না । কোন অসচেতন লোক যদি মন্তব্য করে ও বসে তৎক্ষণাৎ সে এবিষয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিতে ও কার্পণ্য করে না ।

ঠিক সেরকম একটি কান্ড হয়ে গেল বাংলাদেশে , সরকারের পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী নিয়ে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন – সংবিধান ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হবে । তখন কিন্তু আমাদের নড়াচড়া করে বসা ছাড়া উপায় থাকেনা । ব্যাপারটি রাজনৈতিক মন্তব্য এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই , কিন্তু তাই বলে কি যেকোনো বিষয় নিয়ে যা খুশী তা বলা যাবে , না বলা উচিত ? খালেদা জিয়ার সরকারের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে দ্বিমত থাকতেই পারে , কিন্তু তাই বলে ওনি কি তা ছুঁড়ে ফেলে দেবার অধিকার রাখেন । ওনি বলতে পারতেন, আমরা যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারি এবং আমাদের উপযুক্ত সমর্থন থাকে তাহলে আমরা তা সংশোধন করব ,তা না বলে ওনি যদি এধরনের বক্তব্য দেন , তা হলে দেশের সাধারণ লোকের অবস্থা কি হবে ? যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টে । সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফাউল বক্তব্য তথা মন্তব্য দেন এটা সর্ব্বজনবিধিত। সংসদে দাঁড়িয়ে ও ওনি মাননীয় সংসদ সদস্যদের বেয়াদপ বলতে কসরুত করেন না । কাজেই ওনার নিকট এজাতীয় ফাউল মন্তব্য আশা করা বিচিত্র কিছু নয় । মিথ্যা ফাউল বলতে বলতে ওনি যখন আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে ফাজলামি করবেন এবং আমিনী জাতিয় তথাকথিত মাওলানাদেরকে ও উৎসাহিত করবেন এটাত হতে পারে না । সেটা ওনার দলের অনেকে কিংবা গণ্ডারের চামড়া ওয়ালা অনেকের নিকট সাধারণ ব্যাপার মনে হতে পারে । কিন্তু কোন সচেতন লোক যদি ব্যপারটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে বসেন, তাহলে ব্যাপারটা কতদূর গড়াতে পারে তা কি আমরা ভেবে দেখেছি ?

২.

সে রকমই হতে চলেছে – এখন এ বিষটি নিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন দেশের একজন সচেতন সাহসী ব্যাক্তি শাহরিয়ার কবীর সাহেব । এটা ওনার নাগরিক অধিকার এবং দেশের প্রতি গভীর ভালবাসা তথা মমত্ববোধের প্রকাশ । যেটা আরো অনেকের করা উচিত ছিল , কিন্তু আমরা কাপুরুষেরা তা কখনো পারি না এবং পারব ও না । ওনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ন্যায়বিচার পাবার আশায় যে, সংবিধান নিয়ে এধরনের বক্তব্য ওনাকে মর্মাহত করেছে কাজেই এব্যাপারে আদালত কি বলেন ? এখন দেখা যাচ্ছে যে আদালত আর বলবে কি, আদালতের উপরই আক্রমণ এসে বসেছে ; কেন আদালত এব্যাপারে এধরনের কথা তথা রায় দিচ্ছেন । দুটো ব্যাপার এখানে গুরুত্বপূর্ণ এক . আদালতকে তার কাজে অবৈধভাবে বাধা দেয়া হয়েছে । দুই . যারা একাজটি করেছে তারা দেশের তথাকথিত সচেতন লোক এবং ওনারা ব্যাপারটি ভাল করেই জানেন যে , কারো কাজে অন্যায় হস্তক্ষেপ অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ । যে ধরনের অপরাধ বিডিআরের জওয়ানরা করেছে , ঠিক সে ধরনের এবং এর চেয়ে ও ভয়ংকর অপরাধ । যা রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান স্তম্ভের একটির প্রতি সরাসরি আঘাত । অবৈধ সেনা হস্তক্ষেপ যেমন রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতার উপর আঘাত , ঠিক তেমনি মঙ্গলবারের হাইকোর্টের বিচারপতিদের উপর হামলা ও সে ধরনের একটা কিছু । আমরা সরকারের কাছে এর ন্যায় বিচার প্রার্থনার পাশাপাশি ঐ সকল কুলাঙ্গারদের আইনি সনদ আজীবনের জন্য বাতিল ঘোষণার জন্য এ ব্যবস্থার সাথে জড়িতদের নিকট জোরালো আহবান জানাচ্ছি । পাশাপাশি খালেদা জিয়া তথা আমিনীকে এধরনের মন্তব্যের জন্যে জাতির নিকট ক্ষমা চাইতে বলছি ।

৩.

আমার এ লেখা কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় , শুধুমাত্র একজন সচেতন নাগরিকের নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ জাত অভিব্যক্তি । যদি আমরা এর যথাযথ প্রতিবাদ না করি তাহলে ব্যাপারটি ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের উপর থু থু নিক্ষেপের সামিল হবে।যা জাতি হিসেবে হবে অত্যন্ত নিচুঁতার পরিচায়ক ,যার দায়ভার আপনাকে , আমাকে সকলকে বহন করতে হবে ।সংবিধান ছুঁড়ে কিংবা ডাস্টবিনে কেবল তারাই নিক্ষেপ করতে পারে যারা বাংলাদেশের অস্তিত্ব , স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না । আর যারা এদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করেনা , তাদের এদেশে বসবাসের ও কোন যোগ্যতা নেই । অনেক সহ্য করেছি আর নয় , নীল হতে হতে আমাদের সমস্ত শরীর এখন অবশ হতে চলেছে ; কাজেই এবার য়ের একটি বিহিত হওয়া দরকার ।


আরশাদ হোসেন ভূঁইয়া –

৫ই আগস্ট ২০১১ –

এডেলেইড , অস্ট্রেলিয়া ।

2011/pdf/terrorist_184930904.pdf ( B) 


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment