মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কি সুদ মুক্ত সমাজ চান?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কি সুদ মুক্ত সমাজ চান?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি আপনি সংসদে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু গুরুতপূর্ণ কথা বলেছেন। দৈনিক আমাদের সময় বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ড. মোহাম্মদ ইঊনুস এর যোগাযোগকে রাজনৈতিক মূল্যায়ন করে একটি সংবাদ ছাপে। আর এই সংবাদটি সমাজের সর্বস্তরে একটি গুঞ্জন তোলে যে বিএনপি বুঝি ড. ইঊনুসকে এনে ১/১১-র হারনো ইমেজকে পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। তারেক-কোকো এঁটা চাইতেই পারে। কারণ তাদের একটি অবলম্বন দরকার। তবে তাদের ভাবতে হবে বাঘকে যেন কম্বল মনে না করে আঁকড়ে ধরে। কেবল ভাবীজানই নয় আপা আপনাকেও সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোন ষড়যন্ত্র সফল না হতে পারে। আসলে ড.ইঊনুসকে রাজনীতিতে আনতে চান তৃতীয় একটি ধারা গড়ে তোলার জন্য। তারা ঐ মাইনাস পন্থী এব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তারাই চালাকী করে আপনাকে ড. ইঊনুস এর বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলতে এবং ড. ইউনুসে মন বুঝতে ঐ সংবাদটি সুকৌশলে ছেপেছে। ড. ইঊনুস যদি চান দেশের রাষ্ট্রপতি হবেন, তবে তা তিনি পারবেন। কারণ আমাদের অর্থনীতি এখনও বিদেশী সাহায্য নির্ভর। দাতারাও চান ড. ইঊনুস দেশের কর্ণধার হন। তাই তাকে নানা পুরস্কার দিয়ে বিখ্যাত বানাচ্ছেন। তবে তিনি জানেন দুই নেত্রী বেঁচে থাকলে সেটা সম্ভব হবে না। কারণ দুই দল এই দুই নেত্রীকে খুবই শ্রদ্ধা করে। আমার মনে হয় ড. ইঊনুস জাতিসংঘের মহা সচিব বা বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান হতে চাইছেন বা চাইতে পারেন। কারণ সেখানেও একজন তল্পিবাহক দরকার যারা উন্নত বিশ্বের আরোও উন্নতিতে অবদান রাখবেন। সুতরাং, তিনি নিজেই ঐ রিপোর্টের জবাব দিয়েছেন। ড. ইঊনুসের একটি জগত আছে। সেটি একটি ভিন্ন জগত। যারা তাকে রাজনীতিতে আনতে চান তারা আসলে মাইনাসপন্থী। তিনি যে ওদের ফাঁদে পা দেবেন এমন বোকা তিনি হননি। সুতরাং, তাকে নিয়ে কোন রাজনৈতিক দল চিন্তা না করলেই ভাল। চিন্তা করতে হবে যারা এই ধুঁয়া তুলেছে তাদেরকে নিয়ে। কারণ তারা আপনার সরকারকে এগুতে দেবে না। আপনি সফল হলে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে সেজন্য দেশী ও বিদেশী দাদারা খুবই চিন্তিত।

আপনি বলেছেন বাড়ীর সামনে একটি গাছ লাগিয়ে দেখতে কত সময় লাগে তাতে ফল ধরতে। আপনার এ জবাব হয়তো তাদের মনপূত হয়নি। আপনাকে আরোও ধৈয্য ধরতে হবে। আপনি জাতির জনকের কন্যা। আপনি সবাইকে হাসিমুখে রাখবেন বলে আশা করে যেমন পিতা তার সন্তানদেরকে হাসিমুখে রাখতে চেষ্টা করেন। আমরা মানি পদ্মা ব্রিজ করতে ৫ বছর লাগবে। কিন্তু ঢাকা শহরের যানজট নিরসন করতে ৩ মাসই যথেষ্ট। বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানে সময় লাগবে তবে সরকার এব্যাপারে যে নিয়ত কাজ করছে তা কিন্তু জনগণ জানতে পারছে না। তাই আপনাকে প্রশ্ন করছে। আপনি ওদের প্রশ্নে বা চাতুরীর কাছে রাগবেন না।

আপনি যাদের নিয়ে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছন সেই সব সহকর্মীদেরকে বাদ দিয়ে মন্ত্রী পরিষদ করেছেন । নতুন মুখ সবাইকে চমক দিলেও তারা কিন্তু ভীতু। তাই তারা নিজ দায়িত্ব নিয়ে কিছু করছে না। তারা আপনার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমার এই অনুমান যদি সত্যি হয় তবে নতুন মুখ এর সাথে কিছু পুরাতন মুখও যোগ করা যেতে পারে। আর প্রশাসন থেকে কিছু গোলডেন হ্যান্ড শেক দিতে হবে। সেখানে আছে কিছু অকর্মণ্য ও পেশাজীবি রাজনীতিবিদ। তারা কথা বলে বেশী আর কাজ করে কম।

আর আপনি যদি চান তবে সুদ মুক্ত অর্থনীতি চালু করতে পারেন। কারণ বিদেশী ব্যাংগুলিও সেই দিকে যাচ্ছে। সুতরাং, আপনি যদি ভেবে থাকেন ইসলামের পথে হাটলে ওরা যদি আপনাকে সন্দেহ করে বা সরিয়ে দিতে চায় তা বোধ হয় ঠিক নয়। কারণ আজকের যুগের মানুষ বোঝে বাধ্যতামূলক লাভ একটি নিকৃষ্ট বাণিজ্যিক প্রত্যয়।

সরকার ৭২ এর সংবিধানে ফিরতে চাইছে। অস্ট্রেলিয়ার খবর হল ধর্মীয় স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আর যুক্তরাষ্ট্রও তাই করে আসছে। তাই দাদাদের বা রাশিয়ান সমাজতন্ত্রীদের ফাঁদে পা না দেওয়াই ভাল। ধর্মনিরপেক্ষতা নয় চাই ধর্মীয় স্বাধীনতা । পরিশেষে বলতে চাই সরকারের ধীরগতিতে চলো নীতি কিন্তু হতাশা সৃষ্টি করছে। ভাল কাজের জন্য দেরী করতে নাই। আসুন ভাল কাজ গুলি শুরু করি।


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment