র্দূনীতিবাজদের সঙ্গে সমঝোতা একটি উচ্চতর র্দূনীতি -ফরিদ আহমেদ

র্দূনীতিবাজদের সঙ্গে সমঝোতা একটি উচ্চতর র্দূনীতি -ফরিদ আহমেদ

সরকার গুণগত পরিবর্তনের আশা করছেন যখন, তখন সবুজ-সাথী বাবা নেই এবং আর কোনদিন ফিরেও আসবে না। তাদের বাবা রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হয়ে এতিম। সরকার আরোও প্রতাশা করছেন সদ্য কারামুক্ত জোটনেত্রী সহযোগিতা করবেন গণতন্ত্র বিকাশে। অথচ মুক্তি ৪৮ ঘন্টা পার না হতেই চামচা বেষ্টিত হয়ে ভিন্নমত অবলম্বনকারীদের দল থেকে বহি:ষ্কার করছেন এবং চামাচরা তাকে আজীবন দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিচেছ। ঐরুপ চামচারা কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে একদল করে ও রাষ্ট্রপতির কাছে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে ১৫ আগষ্ট হত্যার নেপথ্যে ছিল। ঐ চামচা বেষ্টিত পরিবেশে বেগম জিয়ার সকল গণতান্ত্রিক চেতনা-যদিবা কিছু তার মধ্যে জেগে থাকে জেলখানায় গিয়ে তা আবার নিভে যাবে দ্রুত। এমনি একটি পরিবেশে সরকারের এ প্রত্যাশা একটি বালুর চরে একটি ঝরণার প্রত্যাশা ও একটি পাথরের কাছে মধুর গানের প্রত্যাশা মত। সরকার আরোও প্রত্যাশা করছে তাঁরা দুই নেত্রীকে এক টেবিলে আনবেন। সেটা ছেঁড়া কাঁথায় বসে কোটিপতি হওয়ার মত দিবা ম্বপ্ন। জবাবদিহিতা নেই বলে রাজনীতিকে ব্যাপকভাবে দোষারোপ করে যারা এখন ক্ষমতায় তাঁরা কি জনগণের কাছে কোন জবাব দিচেছন বা স্বচছতা বজায় রেখে কাজ করছেন? তাঁদের কর্মকান্ড রাজনৈতিক সরকার থেকে কতটুকু গুণগতভাবে ভাল তা বলে আর বিরক্তি উৎপাদন করতে চাইনা। তাঁদের ব্যর্থতার দায়ভার তাদের নিজেদেরকেই নিতে হবে। র্দূনীতিবাজদের সঙ্গে সমঝোতা করে তারা আরোও একটি উচ্চতর র্দূনীতি করেছেন যার জন্য তাদেরকে জনগণের কাঁঠগড়ায় দাড়াতে হবে না তা কিভাবে ভাবতে পারছেন জানিনা।

অসংখ্য ব্যর্থতা ও অনিশ্চয়তার মাঝে একটি আশার আলো দেখি গণতন্ত্রের নবযাত্রায়। আশা করি যারা চারটি সিটি কর্পোরেশানের দায়িত্ব নিলেন তারা সততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে জাতির কাছে আদর্শ রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন। ১/১১-ও পরবর্তী ঘটনাবলী থেকে তারা নিশ্চয়ই এ শিক্ষাই পেয়েছেন যে জনগণ র্দূনীতি, পরিবারতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবহেলা পছন্দ করেন না। জনগণের পছন্দ উপযুক্ত মর্যাদা পাক, সমাজের সর্বস্তরে নীতি ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা পাক এ আশা গণতন্ত্র বিকাশের এই উষালগ্নে।

পরিশেষে শ্রদ্ধেয় ব্যারিষ্টার রফিকুল হক এর উদ্দেশ্যে বলতে চাই- আপনি কিভাবে দুই নেত্রীর সম্পর্কে বলছেন— আবার যদি ওনারা পাগলামি শুরু করেন… এবং কেন আপনি আইনজ্ঞ হয়ে ও সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের শিক্ষক হয়ে আপনার মক্কেলদের সঙ্গে কি কথা হয়েছে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করছেন? এটা কি একটি অনৈতিক কাজ নয়? আপনি শিক্ষক হয়ে যদি অনৈতিক কাজ করেন তবে কিভাবে অন্যদের কাছ থেকে নৈতিক আচরণ প্রত্যাশা করেন? আমার প্রশ্ন হয়তো আপনার কাছে পৌছাবে না। তবে এ সরকার প্রধান ড. ফখরুদ্দিন আহমদ বলেছিলেন সমাজের সর্বস্তরে নীতি ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠাই এবারের সংগ্রাম। সরকার প্রধান দেখলেনতো কি গুণগত পরিবর্তন আমাদের হয়েছে। আপনাদের আশা কেবল মিষ্টভাষণ হয়ে আমাদের ম্মৃতিতে সংরক্ষিত থাকবে।

লেখক: ন্যায় ও সুশাসন গবেষক মেলবোর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে।


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment