এবার আমাদের থামতে হবে -ফরিদ আহমেদ

এবার আমাদের থামতে হবে -ফরিদ আহমেদ

আমরা এক সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই। যেখানে অনায়াসে মানুষ বেঁচে থাকবার অবলম্বন খুঁজে পাবে। যেখানে প্রতিটি শিশু নিরাপদে স্কুলে যাবে এবং পরিতৃপ্ত ও আলোকিত মন নিয়ে ঘরে ফিরে আসবে, যেখানে প্রতারিত হবে না কোন রোগী বরং সুস্থ হয়ে কাজে ফিরে যাবে প্রতিটি নাগরিক, যেখানে থাকবে সুন্দর সবুজ মনোরম পরিবেশ যা দেখে মানুষ ভুলে যাবে তার সকল কষ্ট। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে পথের ধারে একটি শিশু হাত পেতে দাঁড়াবে না ভিক্ষার জন্য। বরং, প্রতিটি মানুষের থাকবে একটি ঘর, একটি ঠিকানা। সেই সুখী বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ আবার দুই নেত্রীর কাছে এসেছে। জনগণ তাঁদের ভাল কাজের পুরষ্কার এভাবে দিয়েছে। আর সেই ভালবাসার মূল্যায়ন কিভাবে তাঁরা করবেন এটা তাদের স্বাধীনতা। ওনারা ওদের সঙ্গে চলবেন-যারা বিপদের দিনে চাচা আপনজান বাঁচা নীতি অনুসরণ করে ও র্দূনীতির বোঝা চাঁপিয়ে দেয় তাঁদের উপর, দেশ ও দলের উপর, নাকি যারা সততার সঙ্গে কাজ করে ও বিপদের দিনে সকল চ্যালেঞ্জ মোকবেলা করে তাদেরকে মুক্ত করে আনে সেই সৎ মানুষের সঙ্গে।

আজ তাদের সামনে অপেক্ষা করছে কোনটি তাঁরা বেছে নেবেন: ধ্বংস ও আত্মহত্যার পথ নাকি সৎ ও সুন্দর গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ। ১/১১র পর তাঁরা বেছে নিয়েছেন আইনের পথ এবং পরিত্যাগ করেছেন সন্ত্রাস ও রাজপথের আন্দোলনের পথ। তাঁরা আগামী দিনগুলি সেই ন্যায়ের পথে চলবেন না কি অন্যায়ের ফাঁদে ও গর্তে হোঁচট খাবেন তা জাতি দেখতে চায়। জাতি দেখতে চায় রাজনীতিবিদরা বিদেশে যাবেন আদর্শ আনতে বা চিকিৎসা নিতে নাকি তাঁরা জনতার সাথে মিশে কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশ গড়বেন।

আর এ সিদ্ধান্ত তাদেরকেই নিতে। আমরা যারা অতি ঊৎসাহী তাঁদের এখন থামতে হবে। আর সেই থামবার আহবান দিয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। আসুন এবার আমরা থামি এবং রাজনীতিবিদদেরকে তাঁদের পারদর্শিতা দেখাতে সুযোগ দেই। মনোনিবশে করি নিজেদের কাজে।

আমরা আমাদের আশা-আকাংখা গুলি তাদের কাছে পৌছে দিয়ে অপেক্ষা করি। তাঁদেরকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েই কেবল আমরা সুশীল নাগরিক প্রমাণ করতে পারি। আমরা বেশী হস্তক্ষেপ করে তাঁদের স্বাধীনতাকে কেঁড়ে নিচ্ছি এবং তাতে কিন্তু আমরা আর সুশীল নাগরিক থাকছি না। আমাদের অনাধিকার চর্চা আমাদের ও জাতির জন্য অমঙ্গল বয়ে আনতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। মনে রাখতে হবে, যার যার কর্তব্য তা পালন করা ও অন্যের কাজে হস্তক্ষেপ না করাই হল ন্যায়- বলেছেন দার্শনিক প্লাটো তার বিখ্যাত রিপাবলিক গ্রন্থে সেই হাজার হাজার বছর আগে।

লেখক: ন্যায় ও সুশাসন গবেষক মেলবোর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে।


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment