রবীন্দ্রসঙ্গীত না গাওয়ার জন্যে অনিমা রায়কে হুমকি

রবীন্দ্রসঙ্গীত না গাওয়ার জন্যে অনিমা রায়কে  হুমকি

রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে মানা করে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী অনিমা রায়কে চিঠি লিখে হুমকি দেওয়া হচ্ছে । গত ১০এপ্রিল ২০১৬ কেনবেরাতে একুশে রেডিও’র সাথে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে অনিমা রায় একথা জানান।

ইদানিং, বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করায় একের পর এক ব্লগারদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে সেই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কন্ঠ শিল্পী’রা  যারা  গানের মাধ্যমে সুস্থ সমাজ গড়ার জন্যে কাজ করে যাচ্ছেন তারাও কি ব্লগারদের মত টার্গেট কিনা জানতে চাইলে অনিমা রায় এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, তাকে একবার নয় বেশ’কবার চিঠি লিখে হুমকি দেওয়া হয়েছে । তাকে বলা হয়েছে রবীন্দ্রসঙ্গীত ধর্মীয় প্রথা বিরুদ্ধ- কেন তিনি রবীন্দ্রনাথের গান করেন?

গত ১০এপ্রিল  এ,টি,এন -কেনবেরা কেনবেরার লাইনাম পারফর্মিং আর্ট সেন্টার -এ আয়োজন করেছিল রবীন্দ্র-নজরুল সঙ্গীত সন্ধ্যার। সেই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে গান গাইতে এসেছিলেন অনিমা রায় আর ইয়াসমিন মোস্তারী।  একই মঞ্চে পাশাপাশি বসে  অনিমা রায় গেয়েছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত আর ইয়াসমিন মোস্তারী গেয়েছিলেন  নজরুল সঙ্গীত। সে সন্ধ্যায় উপস্থিত দর্শকদের প্রায় সকলেই  ছিল বাংলাদেশের। এরা মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে এই গুনী শিল্পীদের অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন ।

‘বাংলার মাটি, বাংলার জল ।বাংলার বায়ু, বাংলার ফল। পুণ্য হোক, পুণ্য হোক হে ভগবান।‘  রবীন্দ্রনাথের এই গানটি দিয়ে অনিমার রায় সেই সঙ্গীত অনুষ্ঠানের শুরু করেন। ‘একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান’ এই নজরুল সঙ্গীতটি গেয়ে অনুষ্ঠানের শেষ করেন ইয়াসমিন মোস্তারী ।

একুশে রেডিও’র সাথে দেওয়া  সেই সাক্ষাতকারে অনিমা রায় বলেন, কোন দেশের সংস্কৃতি  সে দেশের মেরুদন্ড । আর স্বাধীনতা বিরোধীরা ভাল করেই জানে বাংলা সংস্কৃতিকে রুখতে গান একটা বিরাট অস্ত্র ।

রবীন্দ্রসঙ্গীত সুস্থ সমাজ গড়ায় সহায়ক’ বলেই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিরা বার বার হুমকি দিলেও  সেই হুমকি উপেক্ষা করে অনিমা রায় গেয়ে যাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথের গান ।


Place your ads here!

Related Articles

চালের দাম নিয়ে মন্ত্রীকে চালান করুন

ফজলুল বারী: চালের দাম নিয়ে বিশেষ একটি পরিস্থিতি চলছে দেশে। মোটা চালের দাম ৭০ টাকায় পৌঁছেছে। ওএমএস’র চালের দাম ১৫

জেফরীর নায়ক ও এ কেইস অন করাপ্সন – দিলরুবা শাহানা

-পড়ে শুনাও এবার আমি স্পষ্ট উচ্চারণে জোরালো গলায় পড়তে শুরু করলাম। এ ধরনের জরুরী অর্থপূর্ণ তবে প্রায় অর্থ শূন্য কাজে

স্বপ্ন-বিধায়ক (অন্তরা ২)

সাধারনত অপরিচিত নাম্বারের ফোন ধরেনা, অপরিচিত ফোনগুলো মাঝে মধ্যেই খুবই যন্ত্রনাদায়ক হয়, একবার এক ফোন ধরেছিল এরকম সৌদি আরব থেকে

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment