Independence and National Day 2011 Celebration in Canberra
ক্যানবেরাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উদযাপন
ক্যানবেরাতে বাংলাদেশ দূতাবাস গত ২৬ মার্চ, শনিবার বাংলাদেশের ৪০তম স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উদযাপনের আয়োজন করে। দিবসটির তাত্পর্য্য নিয়ে আলোচোনা শুরুর আগে মান্যবর রাস্ট্রদুত লেঃ জেঃ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী সকাল ৯ টায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন ক্যানবেরায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
যাদের জীবনের বিনিময়ে আজ থেকে ৪০ বছর আগে দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই ত্রিশ লক্ষ শহীদ’দের শ্রধ্যাভরে স্মরন করে রাস্ট্রদুত বলেন, দেশের মানুষ যে ‘স্বনির্ভরতার’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিল তা ভি্যেতনাম, মালায়েশিয়া আর থাইল্যান্ড-এর মতো দেশ গুলির স্বনির্ভরতা অর্জনের গতির তুলনায় অনেক কম। দেশের স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের ভার আমাদের নেতৃবৃন্দেকেই নিতে হবে।
উন্মুক্ত এই আলোচোনায় দর্শক শ্রোতাদের মধ্যে প্রথমেই বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ডঃ আবেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের গতি বাড়াতে জাতীয়তাবোধ ও ধর্মীয়বোধ-এর ভিত্তিতে দেশের যে বিভক্তি রয়েছে তা কমিয়ে আনতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন যে বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন কাজে কর্মরত প্রায় ৮০ লক্ষ বাংলাদেশীদের মধ্যেও এই বিভেদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা কিনা দেশের সার্বিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে। ডঃ কামাল উদ্দিন বলেন যতদিন না বিভক্তি কমিয়ে আমরা জাতি হিসাবে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবো ততোদিন বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। মিস সাকিবা রাহমান বলেন স্বাধীনতার চেতনা আমাদের সন্তানদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশের উন্নয়নে আরো বেশী ভুমিকা রাখার আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ডঃ মোহম্মাদ এ কাদির।
দিনটির তাত্পর্য্য নিয়ে আলোচোনার শুরুতেই দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোঃ আজাহারুল হক উপস্থিত বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাস্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের ‘বানী’ পড়ে শোনান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বানী’ পড়েন দুতাবাসের ১ম সচিব মোঃ মোশারফ হোসেন, আর পররাস্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির ‘বানী’ পড়েন দূতাবাসের ২য় সচিব শামিমা পারভীন।
– অজয় কর । ক্যানবেরা থেকে ।