পবিত্র লাইলাতুল কদর
সন্মানিত ও মহিমান্বিত রজনী লাইলাইতুল কদর। লাইন ও কদর দুটিই আরবী শব্দ। লাইল শব্দের অর্থ হলো রাত আর কদর শব্দের অর্থ শব্দের অর্থ সম্মান। পূর্নাঙ্গ অর্থ হলো সম্মানিত রাত। এই রাত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে
লাইলাতুল কাদরে খাইরুম মিনব আলেিফ শাহার অর্থাৎ কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।
এই লাইলাতুল কদর রাত্রিতেই পবিত্র কুরআন নাজল হয়েছিল। ৬১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে রমজানের এ রাতে রাসূলে করীম (সঃ) কুরআনের বানী নিয়ে এসেছিলেন
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন হযরত জিবরাই (আঃ) লাইলাতুল কদর কুরআনুল মাজীদকে লাওহে মাহফুজ হতে দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে বাইতুল ইজ্জত পর্যন্ত একত্রে নিয়ে আসেন এবং হযরত জিবরাইল (আঃ) অন্য ফেরেশতাদের দিয়ে লিপিবদ্ধ করান। এপর ২৩ বছর কুরআনুল করীমের কিছু কিছু অংশ নিয়ে রাসূলে পাক (সাঃ) এর কাছে হাজির হতেন।
লাইলাতুল কদরের ফজিলত অনেক। এই রাতের গুরুত্ব বুঝাতে আল্লাহ ১টি র্পূনাঙ্গ সূর আল কদর গুরুত্ব বুঝাতে আল্লাহ ১টি পূর্নাঙ্গ সূর আল-কদর নাযিল করেছেন। এ সূরা নাজিল হওয়ার শানেনুজুল হচ্ছে একবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবীগনকে বনি ইসরাইলের আবিদ-জাহিদ নামক এক লোকের ইবাদত সম্পর্কে বলেছিলেন। সে লোকটি হাজার মাস বিরতিহীনভাবে সারা রাত জেগে ইবাদত বন্দেগি করতেন। এবং সারাদিন সিয়াম পালন করতেন। আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করতেন। সাহাবিগণ ঐ লোকটি বৃত্তান্ত শুনে নিজেদর স্বল্প আয়ুর কথা ভেবে আাফসোস করেছিলেন। এ সময় সূরা কদর নাজিল হয়্ হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন একবার রমজান মাস উপস্থিত হলে রাসূল (সাঃ) বললেন তোমাদের সামনে এমন ১টি মাস এসেছে যার মধ্যে ১টি রাত রয়েছে যা হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। যে ব্যক্তি এ রাতে ইবাদত থেকে বঞ্চিত হলো, সে যেন যাবতীয় মঙ্গল হতে বঞ্চিত হলো। একমাত্র হতভাগ্য ব্যক্তিই এ রাতের মঙ্গল থেকে বঞ্চিত থাকে। (ইবনে মাজাহ)
লাইলাতুল কদরের আমল সম্পর্কে হযরত আয়শা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বললাম ইয়া রাসূলূল্লাহ। আমি যদি লাইলাতুল কদর পেয়ে থাকি তাহলে সে রাতে কি দোয় করব? উত্তরে রাসূলুল্লাহ বললেন তুমি বলবে
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা ফু আন্নি। (হাদিস গ্রন্থ মিশকাত)
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করা পছন্দ করেন। আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করা পছন্দ করেন।
সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন।
কদরের রাতের বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কদরের রাতে ঈমান সহকারে সওয়ারের আশায় ইবাদত করে তার আগের গুনাহ গুলো মাফ করে দেয়া হয়। (সহীহ বুখারী)
কাজেই আসুন আমরা প্রত্যেকে এ মহামূল্যবান রাত ইবাদাতের মাধমে অতিবাহিত করি।