বাংলাদেশ মেডিকেল সোসাইটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস’ (বিএমএস)-এর বার্ষিক বনভোজন
নানা আয়োজনে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ মেডিকেল সোসাইটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস’ (বিএমএস)-এর বার্ষিক বনভোজন। দিনভর আনন্দ উৎসব, খেলাধুলা, আড্ডা আর গল্পের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো এ আয়োজন।প্রবাসী বাংলাদেশী চিকিৎসক,তাঁদের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবরা যোগ দেন এই বনভোজনে।ফলে বনভোজনটি রূপ নেয় প্রবাসী বাঙালীদের মিলনমেলায়।গত ২৫ নভেম্বর সিডনি শহরের অদূরে অবস্থিত মাউন্ট আনান-এ অস্ট্রেলিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন লেক ভিউ প্যাভিলিয়ন পার্কে অনুষ্ঠিত হয় বাৎসরিক এ বনভোজন।
সংগঠনের সভাপতি ডা. মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ডা. মিরজাহান মাজু ও সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. শায়েক খানের স্বাগত ভাষনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বনভোজনের কার্যক্রম। দিনব্যাপী এ আয়োজনে উপস্থিত সকলে নেচে-গেয়ে উৎযাপন করেন।লেক্ সাইড প্যাভিলনের গা ঘেঁষে সবুজ ঘাসের আঙিনায় সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে প্রাণের উৎসবে পরিনত হয়েছিলো সেদিন।এক পাশে বিস্তির্ন লেক এবং অন্য পাশে সবুজ অরণ্যের হাতছানি সবকিছুই ছিল বনভোজনের নির্মল অনুসঙ্গ।সব বয়সের মানুষেরা মেতে ছিল বনভোজনের আনন্দে।
ডা. মিরজাহান মাজু,ডা. মতিউর রহমান,ডা. শায়েক খান,ডা. শায়লা জাহিদ, ডা.জেসি চৌধুরী,ডা.জেসমিন শফিকের তত্ববধানে বিকেল তিনটে পর্যন্ত চলে খেলাধুলার অনুষ্ঠান।বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন খেলা ছিল উপভোগ্য।খেলাধুলার মধ্যে ছিল বয়স ভেদে ভাগ করে দৌড় প্রতিযোগিতা, তারমধ্যে ১০০ মিটার দৌড়,বিস্কিট দৌড়,মার্বেল দৌড় ও পায়ে পা বেঁধে যুগ্ন দৌড় ছিল উল্লেখযোগ্য। সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় বনভোজনের সবচাইতে আকর্ষনীয় ইভেন্ট বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ গ্রুপদের জন্য শাড়ি পড়া ও মহিলাদের জন্য নির্ধারিত ছিল টিপ পরানো। শাড়ি পড়া পর্বটি পরিচালনা করেন ডা.ফাহিমা সাত্তার,মুনমুন,লীনা খান এবং টিপ পরানো পর্বটি পরিচালনা করেন ডা.শায়লা জাহিদ,ডা. জেসমিন শফিক,ডা.জেসি চৌধুরী,ডা. ইশরাত জাহান,ডা. রেবেকা মনি ও শাকিলা সুলতানা ।
খেলাধুলার পর মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন অতিথিরা। মধ্যাহ্নভোজ তদারকিতে ছিলেন ডা. শায়লা জাহিদ,ডা. মতিউর রহমান, ডা. মিরজাহান মাজু, ডা.আয়াজ চৌধুরী,ডা.শায়েখ খান সহ আরও অনেকেই। খেলাধুলায় বিচারক ছিলেন – ডা. জেসি চৌধুরী, ডা. জেসমিন শফিক, ডা.ইশরাত জাহান শিল্পী,ডা. রেবেকা মনি,মুনমুন, শাকিলা সুলতানা, লিনা খান, উম্মুল বাপ্পি,মিতু ও লিপি।
মধ্যাহ্নভোজের পরপরই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মিরজাহান মাজু ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. শায়েখ খানের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়। এতে সঙ্গীত/গান/কবিতা ও ছায়াছন্দ পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।উপস্থাপনা করেন ডা. এশা আবেদিন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহযোগিতায় ছিলেন ডা.সাব্বির সিদ্দিকি ও ডা.রিফাত আরা।
শেষ বিকেলে বিকেলে নাস্তা – সিঙ্গারা,ফুচকা,ফল ও চা পরিবেশন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় পুরষ্কার বিতরণী ও রাফেল ড্র।
সবশেষে সংগঠনের সভাপতি ডা.মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ডা.মিরজাহান মাজু ও সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা.শায়েক খান বনভোজনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রিত অতিথি,সংগঠন ও বনভোজন কমিটির সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।মতিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন_ সংগঠনের সকল সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজকের এই মিলনমেলা স্বার্থক ও সফল হয়েছে। আজকের এই আয়োজনের ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। মিরজাহান মাজু বক্তব্যে বলেন_ পরস্পর সম্প্রীতি আর সহমর্মিতা দিয়ে কমিউনিটিকে এগিয়ে নেওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এখানকার কর্মব্যস্ত জীবনে পরিবার,বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের সাথে সময় কাটানোর সহজে ফুসরত মেলেনা। এধরনের আয়োজন পরস্পরের মধ্যে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ফলে প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্ম ও আমাদের সন্তানেরা স্বদেশীয় কৃষ্টি ও কালচার চর্চার সুযোগ পাচ্ছে। সকলের সহযোগিতা পেলে এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এ প্রতিশ্রুতির মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, কার্যকরী কমিটির কর্মকর্তারা হলেন; সভাপতি ডা. মতিউর রহমান, সহসভাপতি ডা. রশিদ আহমেদ, ডা. শফিকুর রহমান ও ডা. সাব্বির সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক ডা. মিরজাহান মাজু, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মেহেদি ফারহান ও ডা. কাজী শাহরিয়ার রানা, কোষাধ্যক্ষ ডা. জেসমিন শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শায়লা ইসলাম, শিক্ষা সম্পাদক ডা. নাজমুন নাহার, সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. শায়েক খান এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. ফখরুল ইসলাম। কার্যকরী সদস্যরা হলেন; ডা. রফিকুর রহমান (বাবুল), ডা. আয়াজ চৌধুরী, ডা. শরীফ উদ দৌলা, ডা. জেসি চৌধুরী, ডা. শফিকুল বার চৌধুরী, ডা. আমিন মুতাসিম, ডা. মামুন চৌধুরী, ডা. রেজা আলী, ডা. জান্নাত নাইম, ডা. জাকির পারভেজ, ডা. মইনুল ইসলাম, ডা. খালেদুর রহমান, ডা. শামসুল আলম ও ডা. আইরিন কবির,আয়শা আবেদিন,হোসেন আহমেদ প্রমুখ।
হ্যাপি রহমান
সিডনি,অস্ট্রেলিয়া
২৮.১১.২০১৭ইং
Related Articles
বহে যায় দিন – সেই যে আমার নানান রঙের দিনগুলো
> বহে-যায়-দিন সকল প্রকাশিত পর্ব > ৷৷ তিন ৷৷ সেই যে আমার নানান রঙের দিনগুলো আশির দশকের মাঝামাঝি ক্যাপিট্যাল হিলের ওপর
Good Bad News about Copenhagen Climate Conference
The Copenhagen climate change conference generated much heat across the world but the outcome has disappointed many because there was
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি যারা দিয়েছে তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় এরা কোন মুক্তিযোদ্ধা?
ফজলুল বারী: প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে দীর্ঘদিন ধরে আমি দেশের মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। এখন বিদেশে থাকলেও অনলাইন যুগের কারনে কার্যত দেশের মিডিয়া থেকে