বাংলাদেশে অনুমতি ছাড়া গ্রামেও বাড়ি করা যাবে না

বাংলাদেশে অনুমতি ছাড়া গ্রামেও বাড়ি করা যাবে না

সরকারের অনুমোদন ছাড়া গ্রামেও কেউ বাড়িঘর নির্মাণ করতে পারবে না। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি সংস্থা থেকে এ অনুমোদন নিতে হবে। দেশে আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাওয়ার কারণে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে।

জাতীয় সংসদে বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মো. আবুল খায়ের ভূইয়া এবং বেগম আশরাফুন নেছা মোশারফ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি রহমত আলী বলেন, দেশের আবাদি জমি রক্ষা করতে সরকারকে বাড়ি নির্মাণের নীতিমালা তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে। ওই নীতিমালায় বাড়িঘর নির্মাণে সরকারি অনুমোদন বাধ্যতামূলক করার জন্য বলা হয়েছে। আর এ অনুমোদন দেয়ার জন্য একটি সংস্থাও করার জন্য বলা হয়েছে। শুধু বাড়ি নয়, যে কোনো ভবন ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান করতে অবশ্যই ওই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।

বৈঠকে বুড়িগঙ্গাকে দূষণের কবল থেকে রক্ষায় নদীটির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে স্যুয়ারেজ সংযোগ স্থাপন, সব লাইন বিচ্ছিন্ন করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সংযোগ দ্রুত বন্ধ করে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটির পক্ষ থেকে ঢাকা ওয়াসাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কমিটির সভাপতি বলেন, বুড়িগঙ্গার সঙ্গে স্যুয়ারেজ লাইন স্থাপন করে নদীর পানিকে দূষিত করা হচ্ছে। আর এ স্যুয়ারেজ লাইন সরকার ও ব্যক্তিমালিকানায় তৈরি হয়েছে। তাই রাজধানীর পরিবেশকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ওই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। এ কাজটি দ্রুত শুরু করতে কমিটির পক্ষ থেকে ঢাকা ওয়াসাকে বলা হয়েছে।

রহমত আলী আরো জানান, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) অধীনে গৃহীত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প আবার চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারণ দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রাম উন্নয়নের প্রথম সোপান হিসেবে পরিচিত এ প্রকল্পটির কার্যক্রম বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বন্ধ করেছিল। তাই প্রকল্পটির বর্তমান অবস্থায় শুরু করতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তার একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য বিআরডিবি কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

বৈঠকে ঢাকা ওয়াসার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, পানি নিষ্কাশন, খালের উন্নয়ন ও বিআরডিবির উন্নয়ন কর্মকা- এবং লোকবল নিয়োগ সংক্রাক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ত্বরিত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। বৈঠকে জানানো হয়, ঢাকা শহরের ড্রেনেজ ব্যবহার উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পানি নিষ্কাশন খালের প্রবাহ সচল করার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসা এ পর্যন্ত নগরীর ২৬টি খালের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ও সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বৈঠকে সমন্বিত কর্মসূচির মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন খালের দখলদারমুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়।

Link requested by Amin Rahman | original source


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment