কনভেনশনে বাধা পেলে তাৎক্ষণিক অবস্থান নেবেন সেক্টর কমান্ডাররা

কনভেনশনে বাধা পেলে তাৎক্ষণিক অবস্থান নেবেন সেক্টর কমান্ডাররা

ঢাকা, মার্চ ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে ২১ মার্চ জাতীয় কনভেনশন করতে সরকার বাধা দিলে ‘যেখানেই বাধা সেখানেই অবস্থান’ কর্মসূচি পালন করবে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম।

মঙ্গলবার বনানীর কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক সেনা প্রধান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, "কনভেনশন আয়োজনে কোনো বাধা আসলে, যেখানে বাধা দেওয়া হবে সেখানে অবস্থান নিয়েই আমরা আমাদের বক্তব্য জাতিকে জানিয়ে দেব।"

সরকারের শর্ত মেনে ঘোষিত তারিখে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় কনভেনশন আয়োজনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, "ওই তারিখে কনভেনশন আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে এখনো কোনো অনুমতিপত্র পাওয়া যায়নি।"

১৫ মার্চ কনভেনশন করতে না দেওয়ার ব্যাপারে এম হারুন অর রশীদ বলেন, "আমরা ঘরোয়াভাবে সম্মেলন করার অনুমতি পেলাম না, আর একটি দল লাঠিসোঠা নিয়ে বিক্ষোভ করলো তাতে কিছু হলো না- একই দেশে দুই আইন চলতে পারে না; আইন সবার জন্যে সমান। দুই ধরনের আইন আমরা ঘৃণা করি, প্রত্যাখ্যান করি।"

রাষ্ট্রীয়ভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে- এ দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি আজ জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে।"

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের বিচারের কাজটি সরকার করবে না- এমন নয়। কমিশন গঠনের মাধ্যমে অথবা জাতিসংঘে বিচারের আবেদনের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হোক- এমনটিই আমরা চাই।"

যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে ও সামাজিকভাবে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, "বাংলাদেশে দূতাবাসগুলোকেà

¦“ যুদ্ধাপরাধীদের কোনো ধরনের সহায়তা, বিশেষ করে ভিসা না দেওয়ার জন্যে আহ্বান জানিয়েছি। ইতোমধ্যেই কয়েকটি দূতাবাস এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে।"

ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডা. সারওয়ার আলী, জামিল ডি আহসান, ম. হামিদ. হারুন হাবিব, নুরুল আলম প্রমুখ।

গত ১৩ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে এই জাতীয় কনভেনশন হওয়ার কথা ছিল। তবে মাত্র একদিন আগে অনুমতি পাওয়ায় সে সময় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়নি। পরে ১৫ মার্চ কনভেনশন করার অনুমতি চেয়ে গত ১৪ জানুয়ারি আবেদন জানায় ফোরাম। তবে আইন শৃঙ্খলা অবনতির কথা উল্লেখ করে ১৩ মার্চ অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি ফোরামকে জানানো হয়।

১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাক হানাদারের হত্যাযজ্ঞের নির্মমতা স্মরণে আগামী ২৫ মার্চ রাত ১২টায়, এক মিনিটের জন্য সারাদেশে ‘ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচি এবং স্বাধীনতা দিবসে (২৬ মার্চ ) আলোর পথে এগিয়ে যেতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছে ফোরাম।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/এএল/এমএ/১৭১৫ ঘ. | link posted by Kamrul Ahsan Khan


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment