Independent’s day in Paris
প্যারিসে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত। আয়োজনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ ফ্রান্স : ওয়াসিম খান পলাশ প্যারিস থেকে
গত রোববার প্যারিসের শহরতলীর লাকোরর্নভে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ ফ্রান্স শাখার উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষ্যে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
সাল ফিলিপ রোহতে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানটি জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়। আলোচনা সভায় ফ্রান্স প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধাদের আমন্ত্রন জানানো হয়। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধকালীন সময়ে তাদের যুদ্ধের বীর গাথা ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন। গর্বিত বাঙালী আজ স্বরন করে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অবদানে আজ আমরা পেয়েছি একটি দেশ, একটি পতাকা ও পার্সপোর্ট। পেয়েছি আমাদের জাতীয় স্বত্তা, আমরা বাংলাদেশী। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা আলোচনায় অংশ নেন।
অধিকাংশ বক্তা অনতিবিলম্বে যোদ্ধাপোরাধীদের বিচার সম্মন্ন করার আহবান জানান। যুদ্ধাপ রাধী সে যে দলেরই হোক অপরাধ প্রমানিত হলে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় হাজির করার আহবান জানানো হয়। মুক্তিযোদ্ধা জনাব মনুরুল হক বলেন, শেখ মুজিবর রহমানের নির্দেশে এবং আহবানে বাংলার জনগন যেমন মুক্তি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করে, পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভুমিকারও প্রশংসা করেন। ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যাতে বিফলে না যায় সেদিকে সকলের সতর্ক দৃষ্টি এবং সোনার বাংলাদেশ গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সক্রিয় অংশগ্রহন কামনা করেন। দেশের প্রতিটি এলাকায় ব্যক্তিগত খরচে মুক্তিযোদ্ধা তোরণ নির্মান ,প্রবাসে বসবাসরত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধদের তালিকা করে তা সংরক্ষনের আহবান জানানো হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জনাব,জামিরুল ইসলাম মিয়া ( সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ ফ্রান্স ) , মনুরুল হক, আনোয়ারুল হক, জনাবা জান্নাতুল তনু প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে নবগঠিত কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। জ়নাব জামিরুল ইসলাম মিয়াকে সভাপতি ও মোহাম্মদ জাফর শাহকে সাধারন সম্পাদক করে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
সর্বশেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অংশ গ্রহনে ছিল ফ্রান্সের বাঙ্গালী সাংকৃতিক গোষ্ঠী সারগাম ও স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ। রবিবারের ছুটির এই বিকেলে প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।