ও ঘুঘু, ও ফাঁদ…
ঘুঘুটা হঠাৎ উড়ে এসে কানে কানে বলে, ‘লেখালিখি ধুয়ে-মুছে ফেলো…
হতচ্ছাড়া পাখি! সে কিনা বলছে কৌতুকে,
ফেসবুকে নাকি বাজে কথা লিখি!
আমি চাই সে এসে দেখুক—
ক্রমাবনতির শব্দ পড়ে নিক সে,
জানুক, সোনার নূপুর কেন বেঁধেছে পায়ে,
জেনে যাক, কত তৃষ্ণা নিয়ে
দুচোখ লেহন করছে নীল…
কেন লিখি অন্ধকার কচুবনে
মেঘ করে আসলে,
জানে কিছু ছন্নছাড়া পাখিটা?
যাকে অতিরিক্ত মনে করি,
সে তো লাটিমের মত ঘোরে এখানে;
কবি পুরুষের মতো খোঁজে অর্থ শব্দে-শ্লেষে-গালবাদ্যে…
ওরে… ও হতচ্ছাড়া পাখি, আমি কি আর এমনি এমনি লিখি?
সে চায় দেখতে অমন করে :
পানাপুকুরে ভেজা গা,
বুকের পেটিকা,
ঠোঁটের কৌণিক হাসি…
জানলি তো, কেন হাসি, কেন গাই, কেন আঁকি, কেন লিখি?
ফেসবুক আমার বাক্স-পুটলি নিয়ে মাঝরাতের চেপে বসা ট্রেন,
আমার বাউল ব্যাগের ভালোবাসা…
আর বলবি, কেন লিখি?
ঘুরে দেখি—পাখি নেই, শব্দ নেই!
একটা থমথমে বাতাস
আমার কাঁধের চুলগুলোকে দোল দিচ্ছে…
Najmin Mortuza
দার্শনিক বোধ তাড়িত সময় সচেতন নিষ্ঠাবান কবি। চলমান বাস্তবতাকে ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরম্পরায় জারিত করে তিনি কাব্য রূপান্তরে অভ্যস্ত। কাব্য রচনার পাশাপাশি ক্ষেত্রসমীক্ষাধর্মী মৌলিক গবেষণা ও কথাসাহিত্য সাধনায় তাঁর নিবেদন উল্লেখ করার মতো। গবেষণাকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ফোকলোর ও লিখিত সাহিত্যঃ জারিগানের আসরে "বিষাদ-সিন্ধু" আত্তীকরণ ও পরিবেশন পদ্ধতি শীর্ষক গ্রন্থের জন্য সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১২ অর্জন করেছেন।
Related Articles
শরতের আগমনে
শরতের আগমনে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী শরতের সোনারোদ দোলা দেয় মনে, ফুটিল কমল কলি কমল কাননে। কমল কাননে ফোটে কুমুদ কমল,
তবু বেঁচে থাকার আশ্বাস!
ক্রমশই বিষাক্ত হয়ে আসছে চারিপাশ। নি:শ্বাসে বিষের গন্ধ, মুখ ভর্তি তেতো স্বাদ। বিষমাখা ছুরি হাতে ঘুরছে আদম হাওয়ারা, ছোটখাটো ত্রুটিতেই
আমারে কে নিবি… দিলরুবা শাহানা
বিক্রিবাট্টা শেষ হাঁট ভাঙ্গতে শুরু করলো; অপরূপা মেয়েটি তখনো বসে আশা জেগে আছে তার, হয়তো পাওয়া যাবে কাউকে শেষ পণ্য