পরদেশী – আহমেদ সাবের
এখানে যতই থাকি, যত না সুখে
পরান এসেছি ছেড়ে, মেঘনার বুকে –
যেখানে জলের বুকে ভাসিয়ে ভেলা,
কেটেছে কিশোর মোর, বেলা অবেলা।
বৈশাখী রাতে ওই কাল বোশেখী,
উড়ালো ঘরের চাল, প্রভাতে দেখি
বুকটি ভেঙ্গেছে ঘর হারানোর দুখে।
তবুও চোখের জল আবার মুছে,
গড়েছি নতুন ঘর, দুঃখ ঘুচে।
দিয়েছে সবাই হাত, পাড়া প্রতিবেশী।
আবার এসেছে মেঘ, কালো এলোকেশী।
শ্রাবন ধারায় ফুলে কালো কাল্লীদহ,
খেয়েছে ধানের জমি, ব্যাথা দুঃসহ।
দুঃখ ভুলেই পুনঃ দাঁড়িয়েছি রুখে।
কখনো ভায়ের সাথে হয়েছে বিরোধ,
আবার মিলেছে গলা ভুলে সব ত্রেুাধ।
কখনো বিনাশী খরা খেয়েছে ফসল,
আবার নেমেছি মাঠে মুছে আঁখি জল
তুলেছি যতন করে সোনা রং ধান,
গেয়েছি নতুন করে ফসলের গান,
দেখেছি মধর হাসি কিষানীর মুখে।
এখানে কলের মত দিন চলে যায়।
সে আকাশ, সেই নদী পাব কোথা হায়!
দেখিনা সাঁঝের বেলা জোনাকীর মেলা।
কোথা সেই ধান ক্ষেত, চাষীর কাফেলা?
ভাই এর স্নেহ কই, বোনের আদর?
পাশাপাশি থাকি তবু, সকলেই পর
পরদেশী হয়ে আছি, বড়ই অসুখে।
Sydney May 3, 2009