Americanisation
এমেরিকায়ন
মা ছেলেকে স্নেহ করে ……প্রত্যহ লেমিনেক্স প্রাতরাশ টেবিলে মাতাসুলভ সেই স্নেহের বহিঃপ্রকাশ একজন শিশুর পক্কে অস্কিকার করা কি সম্ভব?
‘শূশ …..চুপ . . . .’ মায়ের স্তুলকায় কায়া শাসায় ছেলেকে
যখনই নিরুদিষ্ট কোন কিছু হারানোর বেদনা বালক কে আহত করে এবং তার কান্না আসে।
মা অবশ্যই তাঁর শিশুপুত্রকে ভালবাসে . . . . . কিন্তু তাই বলে তো ছেলেকে বাড়ীর বাইরে যেতে তো দেয়া যায় না।
‘রাস্তাঘাট সবর্ত্র বিরাজ করছে নোংরা গাড়ীঘোড়া এবং লোভাতুর পুরুষেরা,’
মা (কানে কানে) বালককে জানায় এবং প্লাষ্টিকের প্রক্কালন পাত্রে ছেলেকে বসিয়ে দেয়।
বালকের চোখ দুটি গোল হয়ে আসে, তার পাকস্তলি মোচড় দিয়ে উটে
সে সুবোধ বালক হবার আপ্রাণ চেস্টা চালায়।
কিন্তু হায়! চাইলেই সুবোধ বালক হওয়া যায় না –
তার জন্য চাই অনেক অনেক দিনের ট্রেনিং . . . . .
‘আজ’, মাথায় রোদ টুপি চড়িয়ে মা ছেলেকে জানায়
(মা একজন অক্কমকে পরিচরযা করতে যাছেছ যা রুপকাথের্
এই পৃথিবী)
‘আজ সত্যি সত্যি তোমাকে মায়ের জিনিস নিয়ে খেলতে দেব।’
খেলনা গুলো বালকের কুদ্র জীবন-প রিক্রমার সাক্ষ্য বহন করে;
‘মায়ের জিনিস! এর সাথে কিসের তুলনা!’
বাবা-কামরার মেঝেতে একটা কাগজের বাক্সে ঠাসা
মায়ের দুনিয়ার জিনিসপত্রের সমাহার
পেপসি কলার বিজ্ঞাপনকন্যা থেকে শুরু করে রাজ্যের সামগ্রী – – –
(১ সজীব চিন্তা, বৃহৎ চিন্তা, সেহেতু আমি ১ জন)
চুইং-গাম, হটডগস, বিদুত্যিক-মগজ
একজন অতি সাধারণ শিশুর এর চেয়ে বেশী কি চাওয়ার আছে?
দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা
বালক একা একা খেলেই যায়,
নীচে গাড়ীর আওয়াজ সে শুনতে পায়, শিশুদের কোলাহল সে শুনতে পায় – বাড়ীর বাইরে
শিশুরা চেচামেচি ছুটাছুটি করছে
রাস্তায় (নিশ্চয়ই অনেক আনন্দ)
ছোটট বাবা-কামরা অন্ধকার হয়ে আসছে
ভয়ের অন্ধকারে সে শুনতে পায় . . .
ঐ যে পায়ের আওয়াজ এগিয়ে আসছে,
সহসা বালকের যুক্তিবুদ্ধি তাকে ভীত করে
ভেলভেটের উপর দিয়ে হেটে আসছে . . . . .
দরজার হাতল ঘুরল, বালক দেখতে পায় মায়ের প্রকান্ড
হাতীসদৃশ শ রীর এগিয়ে আসছে — – – –
সে পালাবার চেষ্টা করে; কিন্তু মায়ের বীশাল হা ত তাকে ধরে ফেলে – – –
মা ছেলেকে স্নেহ করে – – – এবং এইসব ভীতিকর সত্যিগুলো প্রকঠ হয়ে উঠে!
Bruce Dowe এর Americanisation এর অনুবাদ
এমেরিকায়ন
অনুবাদকঃ ডঃ খায়রুল হক
অনুবাদক স্তান ও কালঃ এমবারভেইল – ৯ সেপ্টেম্বর ২০১০।