তার ছিল একুশ – দিলরুবা শাহানা
সে ছিল একুশের অস্থির ঝড়,
ঘর নয় জনপদই ছিল তার ঘর।
সাহসের সঙ্গীতে মাতিয়েছিল
লোকালয় আর প্রান্তর।
সাধ ছিল তার
আগুনের পাখায় উড়ে
অন্ধকার চিড়ে চিড়ে
আলোকিত করে দেবে
সব দুখীদের জীবন।
মেয়েটির ছিল ষোল
স্বভাবে লক্ষী সে চুপচাপ
নেই রৈ রৈ নেই কলরোল।
মনে মনে ভাবতো
বড় যবে হবে
একুশের সঙ্গ নেবে
একই গান সেও গাইবে।
একদিন ভয়ে ভয়ে বলেছিল
‘আমিও যাব গানও গাইবো
আমাকে নিও কিন্তু’।
একুশ তাকিয়েছিল শুধু।
একুশ নিখোঁজ
স্বাধীনতার খোঁজে;
ফিরে এসে শুনে
ষোল আর নেই ভুবনে।
একুশের বুকে উঠে হাহাকার
আফসোস্ হয় বার বার;
কানে কানে তার
যদি বলা যেতো একবার
“আমি তাদের জন্য
সূর্যের পানে চেয়ে থাকবার
অভ্যাসে যারা বন্য;
আমি তারও জন্য
কপালে জ্বালানো যে মেয়ের টিপ
রক্তের ছোপে ধন্য।”*
*খান মোহাম্মদ ফারাবীর লেখা কবিতার লাইন চারটি তাঁর এক বন্ধু শুনিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই অত্যন্ত মেধাবী তরুণ খান মোহাম্মদ ফারাবীর জীবনদীপ ক্যান্সার এসে নিভিয়ে দেয়।