এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত – ডঃ খায়রুল হক চৌধূরী
[যে মানুষটি তোমাদের স্বাধীনতা এনে দিল, তাকে কেন তোমরা হত্যা করেছ? (Germanyr Martin Luther University তে অনুস্টিত systemic functional linguistics conference এ আমাকে প্রশ্ন করে এক German একাডেমিক।)]
এখন সমস্টিগতভাবে অপমানবোধের সময়।
সময়ের এই প্রান্তে পুর্ববাংলার বাংগালীমাত্রই
শুধুই অপমানিত হবার আশা করে।
এখন আমাদের ভূমিকা হচ্ছে বসে থেকে অপমান হজম করবার।
কারণ আসলে আমরা নিজহাতে সেই পিতৃপুরুষকে হত্যা না করলেও
আমরা এই পাপবোধ থেকে নিশকৃতি পাব না।
এখন আমরা এক বদ-ইতিহাস থেকে আরেক বদ-ইতিহাসের জন্ম দিতে পারি।
ইহাকেই বলে payback system.
এবারে আমরা খুনীদের চরিত্র রুপায়ন করব।
তা না হলে সবকিছু হয়ে যাবে প্রচন্ডভাবে জটিল।
এখন আমরা পিতার খুনীদের উরদি পরিধান করব।
আমরা এই অধ্যায়কে বুঝতে পারি।
আমাদের কেউ কেউ আবার এই চরিত্র রুপায়নকে দারুন উপভোগ করে।
‘আমাকে হত্যা কর! আমাকে হত্যা কর!’ কেউ কেউ ক্রন্দনরত; আবার কেউ কেউ উল্লাস প্রকাশ করে।
‘আমাকে অপমান কর আমার পিতার জন্য’।
– আমাদের কাছে হূদয়ের রক্তক্ষরণ এবৎ হাততালি সাধারণ আচার অনুস্টান মাত্র।
এই পরযায় হবে অত্যধিক প্রতিশোধ নেবার;
আমরা তাও জানি।
অপমানিতরা অপমান করবে এবারে;
নিগৃহীতরা অত্যাচার চালাবে এবারে।
এই অধ্যায়ও উৎরে যাবে,
সমঝোতার জাল বোনা হয়ে গেছে।
হত্যাকারিদের সাথে আমাদের প্রতিযোগিতায় নামতেই হবে।
কারণ, সেই অধ্যায়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে ফিরে পাব।
তখন আমরা সব মুখোশ উন্মুচন করব
এবং অবশেষে জাতীয় অপরাধবোধের হবে অবসান^
@উলংওং: ১০ নভেম্বর ২০০৯