শান্তির নোবেল
যখন শান্তির নোবেল বাংলাদেশে, তাক লাগালো সবার চোখে
ডঃ ইউনুছের ঐ পদক ঘিরে, তখন এটা-সেটা কম বলেনি লোকে
তিনি অর্থনীতিবিদ সফল ব্যবসায়ী, কেন নোবেল পেলেন শান্তিতে?
দেশে গরিব কেন গরিব থাকে? কেন সুদের ঘানি টানছে ওরা ক্লান্তিতে?
বাংলাদেশের দরিদ্রতা বিমোচনে গ্রামীন ব্যাংকের ভুমিকা
বহিঃবিশ্বেই সুনাম কদর, বাস্তবে নাকি উন্নয়নের মরীচিকা!
গ্রামীনের মন্ত্র শুনে,চড়া সুদে কিস্তি গুনে,বাড়ছে দেশে মাইক্রোঋণ –
– এসব কথা সয়ে, তবু শান্তির খেতাব লয়ে,দেশবাসীর কাটছে সুদিন ।
লোকে বলে,শিক্ষকতা ঘুম পাড়িয়ে স্যারের সওদাগরিতে বাজিমাত
কিন্তু নোবেল জিতে তিনিই বলেন,এবার রাজনীতিতে দিবেন হাত
দেশের দরিদ্রতা তাড়িয়ে দিবেন,-সম্বর্ধনায় জাতির কাছে অঙ্গিকার
এবং ব্যাপক তত্বকথার ফুলঝুরিতে স্বপ্ন দেখান আকাশ ছোবার
‘বাংলাদেশের রাজনীতিকরা দূর্নীতিবাজ’’-নিজের মুখের বুলি
তাই সংস্কারের কুইনান ঢেলে, দেশবাসীর সমর্থন চান হাত তুলি
দেশজুড়ে সোরগোল,রাতারাতি পালটে ভোল,বেক-গিয়ারে শান্তির দূত
যেই লাউ সেই কদু,খূজে ভ্রমর ফুলের মধু, খামোখাই দিন গড়ালো বহুত
হালে পরাজিত দলের সাথে আবার হচ্ছে গোপন দরাদরি
দেশের ‘নেক্সট প্রেসিডেন্ট’ পদটা তিনি চাচ্ছেন সরাসরি
বেশ সুপ্রসন্ন ভাগ্য বাংলার,দেশ চালাবেন নোবেল লরিয়েট
পরিবর্তনের গ্রামীন সুখে ,নিশ্চয় ভরবে জাতির ক্ষুধার পেট ।
তবে বর্তমানে বাংলাদেশের নোবেল নিয়ে কচকচানির পালা শেষ
কারণ বারাক ওবামার নোবেল জয়ে থমকে গেছে সকল দেশ
আলফ্রেড সাবের পিচ প্রাইজের দিনে দিনে হচ্ছে একি দশা?
অবদানের আগেভাগে মূল্যায়নে কর্তৃপক্ষ পাচ্ছে কোথা ভরসা!
এযেন অতি সাবধানী ‘বদনা ভাঙ্গায়’ হয়ে গেছে দিশেছাড়া
তাই বুঝি তার হাগুর আগে সচু সারায় লেগেছে খুব তাড়া
নাকি অতিরিক্ত তেলমর্দনে সুপারম্যানকে কোন বাইন্ডিংসে ফেলা?
বুশ গেছে জুতা লয়ে,জনাব আপনি নোবেল জয়ে- থামান যুদ্বের খেলা
বিশ্বের নামিদামী সন্মানী পুরুস্কার- হায়রে শান্তির নোবেল
তোষামোদীর অশান্তিতে বাছারে তুই বড্ড আজি ঘায়েল
সুযোগে মেঙ্গো- পাবলিক ব্যঙ্গ সুরে কয়,- ওবামার নোবেল জয়
বুঝিয়ে দিলো; ‘ইউনুছ নামা’’-য় নিন্দুকেরা কেন উলটাসিদা কয় //
২০০৯ ১০ ১০