রবীন্দ্রনাথ ও অচেনা আত্মজ

রবীন্দ্রনাথ ও অচেনা আত্মজ

যখন মৃদু তিরষ্কারে
নির্দেশ মেনে নেয় নির্বিচারে
ওকে আমি চিনি।
যখন আগুন মেখে চোখে
প্রতিবাদ করে অন্যায়ের
ওকে আমি চিনি।
শক্ত চোয়ালে যে ক্ষণে
মনোযোগী অংকের সমাধানে
ওকেও আমি চিনি।
যখন তৃষিত দু’চোখে
ক্রিকেটের ব্যাট দেখে
ওকে আমি চিনি
তাকে আমার চিনতেই হবে
যত্নে গর্ভে রেখেছি ন’মাস
বুকে রেখেছি তারও চেয়ে বেশী,
ছড়া বলেছে যখন তখন
আমার বলার তালে।
এ আমার আত্মজ!
আনতে গিয়ে ওকে
মৃত্যুর সাথে লড়াই হয়
হারাতে পারেনি
ছিনিয়ে নিয়েছি জয়।

জানলার পাশে দোল চেয়ারে বসে
ভাবনার ঘুড়ি উড়াই আকাশে;
ভাবনার মজা এই
কোথাও যেতে বাঁধা নেই
দেশ থেকে দেশান্তরে
যেতে পারে গ্রহান্তরে!

হঠাৎ পায়ের চকিত আওয়াজে
চেতনে ফিরে তাকাই সহজে;
সে চাহনির মানে বুঝে নিতে
কাছে এসে সে হাটু গেড়ে বসে।
চাদর সরিয়ে হাত দু’টো দেখে
চুপ করে আছি, ভেবেছে তাতে
তাসবীহ্ রয়েছে হাতে।
অবাক হয়ে উঠে সে দাড়ালো
যত্নে চাদরে আমাকে জড়ালো।
অদ্ভুত চোখে চেয়ে চলে গেল।

                 মনে হল চেনার মত
                 এবার তাকে চিনিনাতো!
                 হঠাৎ ওর চাহনির মাঝে
                 রবীঠাকুরের বাণী উঠে বেজে।

‘মনে হয় তোর মুখে চেয়ে তুই যেন কোন দেশের মেয়ে,
যেন আমার অনেক কালের অনেক দূরের মা।
………………………………………
কোন্ দেশে তোর বাড়ি ছিল কোন সাগরের কোলে!
ফিরে যেতে ইচ্ছা করে অজানা সেই দ্বীপের ঘরে
তোমায় আমায় ভোর বেলাতে নৌকোতে পাল তুলে।’


Place your ads here!

Related Articles

আমরা সেই সে জাতি – আহমেদ সাবের

– – – – – – – – – – – – – – আমরা সেই সে জাতি – আহমেদ

আত্মহত্যা

মা, আত্মহত্যা করেআমায় একা ফেলে মা হীন নরকে কেন রেখে গেলে আমাকেও তো পারতে নিতে তোমার সাথে মা তুমি কেন চলে গেলে মাগো তোমার

মন্দ হবে না

ভোরের আলোয়, আলতো রোদে মাঝখানে রং চা তুমি আমি, মুখুমুখী খুব মন্দ হবে না! হাতটি ধরা, তুমি আমি চোখে, নরম

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment