রায় ষ্টুডিও
যেদিন তুমি বললে,”চলে যাচ্ছি”
বুকের ভেতর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লো কিছু একটা ।
নদীর পাড় কি এমনি ভেঙে পরে তারপর সব শুনশান শুধু ছলাৎ ছলাৎ জলের বয়ে চলা।
তেমনি চোখের কোলে জলের ধারা।
বললে ,”একবার শেষবার দেখা করতে চাই”!
খুব জোড়ে যেমন হাওয়া ঘুরে ওঠে,ব্যাকুল বাতাসে বৃক্ষরা দোলে,ছিন্ন পাতার ছোটাছুটি চলে-
বিক্ষিপ্ত মন ছুটছে তোমার কাছে,আঁকড়ে ধরতে চাই
কোনো ঠাঁই নাই-
আমার দীর্ঘশ্বাস ঠিকানাবিহীন আমাকেই খুঁজে ফেরে।
একবার মুখ তুলে চেয়ে বললে,”এবার তবে যাই “
মুহূর্তেই শরতের সব শিউলিরা ব্যাথাতুর ঝড়ে পরলো একসাথে-
সারা গাছ জুড়ে যে শূন্যতা তা চেপে বসলো আমার বুকে।নি:শ্বাস বন্ধ ,তোমার ছায়াও অদৃশ্য ।
তুমি চোখের আড়াল হলে।
সেই শেষবার আশ্বিনের সকালে তোমার সাথে আমার রায় স্টুডিওতে দেখা হয়েছিল-
আর তারপর থেকে আমার জীবনে তুমি নেই নদী নেই বৃক্ষ নেই শিউলি নেই – শুধু নেই আর নেই
তুমি না থাকাতে আসলে শূন্যতা ছাড়া আমার আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
Related Articles
Americanisation
এমেরিকায়ন মা ছেলেকে স্নেহ করে ……প্রত্যহ লেমিনেক্স প্রাতরাশ টেবিলে মাতাসুলভ সেই স্নেহের বহিঃপ্রকাশ একজন শিশুর পক্কে অস্কিকার করা কি সম্ভব?
তারুণ্যই পারে
তারুণ্য পারেশুধু তারুণ্যই পারেদানবের কালো থাবা উড়িয়ে দিতেনিমেষ ফুঁৎকারে। তারুণ্য পারেশুধু তারুণ্যই পারে। তারুণ্য পারে ভেঙে দিতে বিষদাঁতযা পারেনি কেউ
পূজোর মেলায়
পূজোর মেলায় লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সাঁঝের বেলায় পূজোর মেলায় চলিছে সার্কাস খেলা, মেলার ভিড়ে বন্ বন্ করে ঘুরিছে নাগর দোলা।