বিশ্ববীণা হারমোনি উইথ টেগর ইনক এর আয়োজনে সংগীত সন্ধ্যা “তোমায় গান শোনাবো” অনুষ্ঠিত
বিশ্ববীণা হারমোনি উইথ টেগর সংগীত,সাহিত্য ও বাদ্যযন্ত্রের সংযোগকে বুদ্ধিদিপ্ত বিকাশের মাধ্যমে বাংলার ভারতীয় ভাষার সংস্কৃতিকে উদ্দীপিত করার লক্ষ্যে গঠিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে বিশ্ববৈচিত্র্য-এই সংগঠনটি অস্ট্রেলিয়ার একটি আনুষ্ঠানিক রবীন্দ্র কেন্দ্রের অভাব পূরণের লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করছে। একটি রবীন্দ্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বদাই নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য,বাদ্যযন্ত্র,বাংলা ও বিশ্ব সাহিত্যের অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
গত ৭ই জুলাই ২০১৮ শনিবার সন্ধ্যায় সিডনির ডুরাল পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে বিশ্ববীণা হারমোনি উইথ টেগর ইনক এর আয়োজনে উদীয়মান ভারতীয় সংগীত শিল্পী সৌনক চট্টোপাধ্যায়ের পরিবেশনা “তোমায় গান শোনাবো” চমৎকার যাদুকরী এই সন্ধ্যাটি হল পরিপূর্ন দর্শক মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেছেন।
অনুষ্ঠানটি বিশ্ববীনার কর্ণধার নিলাঞ্জনা সিনহার পরিচালনায় শুরু হয়। শুরুতেই তিনি বলেন বয়সে ছোটো হলেও এই সংগঠনটি ইতিমধ্য দর্শক সমাদ্রিত হয়েছে। বিশ্ববীণার বয়স চার বছর হলেও তাদের অক্লান্ত চেস্টায় তারা আজ এখানে এসে দাড়িয়েছে এবং তাদের মুল শক্তি হল দশকদের আন্তরিক ভালবাসা। এছাড়া তিনি আরও বলেন সংগঠনটির বিশ্ববীণা নামকরন করেছিলেন সৌনক চট্টোপাধ্যায়, যে কারনে তিনি আজ ভীষন আনন্দিত বিশ্ববীণার এই মঞ্চে সৌনককে উপস্থিত করতে পেরেছেন। এর পর সৌনক চট্টোপ্যাধায় ও যন্ত্রশিল্পীদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি মূলত: দুটি পর্বে ছিল। তবে প্রথম পর্বের একটি অনুপর্বও ছিল। যেটি বিশ্ববীণা পরিবারের নিজস্ব পরিবেশনা। সৌনক চট্টোপাধ্যায় কে স্বাগতম জানানোর জন্য তাদের এই আয়োজন। তিনটি গান ও তার সাথে নাচ পরিবেশন করে পরিবারের কিশোরী নাচিয়েরা। গানে অংশগ্রহন করেছেন নীলাঞ্জনা সিনহা, সাকিনা আক্তার, অন্যন্যা অনিন্দিতা, মালা ঘটক চৌধুরী, সেতু গুপ্ত, মিনাক্সী চক্রবর্তী ও এ্যান্জ্লীনা ঢালী। নাচে ছিল মিশা, অর্চি, নিশি নকশি, পাপড়ী পায়েল, শ্রেস্ঠা। এদের সাথে যন্ত্রে ছিলেন তবলায় প্রেমেন্দু ঘোষ কীবোর্ডে সুরজিৎ চক্রবর্তী নীলাদ্রী চক্রবর্তী মন্দিরায় লোকমান হাকিম। বিশ্ববীনার শেষ গানটির সাথে গান গাইতে গাইতে সৌনকের মঞ্চে প্রবেশ টা ছিল দারুন আকর্ষনীয়।
সৌনক বর্তমান সময়ে এক উদীয়মান সংগীত শিল্পী। রবীন্দ্রনাথের গানের সাথে ভারতীয় বিভিন্নরাগের মিশ্রন রবীঠাকুরের গানকে এক নতুন ধারা তৈরী করছে। এই পর্বে তিনি একে একে ৫টি গান পরিবেশন করেন। প্রতিটি গানের সাথেই তার মৌলিক বান্দিশ পরিবেশনা শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে।
২য় পর্বে তিনি ৪টি গান পরিবেশন করেন। রবীন্দ্র সহ কাজী নজরুল ইসলামের রাগ ভিত্তিক গান, মো: রাফি এবং মান্না দের গান গেয়ে শোনান। এছাড়াও এই পর্বের বিশেষ চমক ছিল বিশ্ববীনা পরিবারের বিশেষ সদস্য নীলাদ্রী চকরবর্তী। নীলাদ্রী সম্পর্কে সৌনক বলেন তিনি খুব আনন্দিত যে ইন্ডিয়ার বাইরে তিনি একটি সংগীতের প্রদীপ জ্বালাতে পেরেছেন। নীলাদ্রীর গানের শেষ অংশে তিনিও গান গেয়ে গানটি শেষ করেন। এছাড়া সৌনকের তিনটি গানে সাথেও অপূর্ব নৃত্য পরিবেশন করে বিশ্ববীণার নৃত্যশীল্পীরা।
সৌনকের অপূর্ব গায়কীর সাথে অসাধারন তবলার বোল আর কীবোর্ডের ঝংকার যেন সত্যি এক যাদুকীর সন্ধ্যায় শ্রোতাদের নিয়ে গিয়েছিল।
Related Articles
BSPC’s Shyama Puja Festival on Saturday 17th October 2009
On behalf of the Executive Committee of Bangladesh Society for Puja and Culture Inc (BSPC), I am delighted to invite
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগস্ট ২০১০
বছর ঘুরে আসছে আগষ্ট, শোকের মাস। আমাদের জাতীয় জীবনে সবচেয়ে বেদনাবিধুর এই মাসের ১৫ তারিখে স্বাধীনতাবিরোধীদের কাপুরুষিত হত্যাকান্ডের শিকার হোন