প্রানের মেলা পিঠা মেলায় মুখরিত ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল
আমাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সবটুকুই হৃদয়ের গভীরে ধারন করে ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল। সেই তাগিদ থেকেই আবহমান বাংলার চিরায়ত অনুষঙ্গ পিঠা পুলির স্বাদ দেশ ছেড়ে আসা প্রবাসীদের দেওয়ার মানসিকতায় প্রতি বছর আয়োজন করে পিঠা মেলা।
গত ৫ই আগস্ট রবিবার স্কুল প্রাঙ্গনে উৎসব মুখর পরিবেশে আয়োজিত হয়েছিল এবারের মেলা। বর্ধিত পরিসরে সম্পূর্ণ দেশজ আদলে অসাধারণ সাজ সজ্জায় এবারের আয়োজন অন্য যেকোনো পিঠা মেলাকে ছাড়িয়ে যায় নির্দ্বিধায়।
সকাল দশটায় স্কুলের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য নাজমুল আহসান খান, স্কুল সভাপতি আবদুল জলিল, পিঠা মেলা ২০১৮ আহবায়ক মাসুদ মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের পক্ষে উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান বাংলা স্কুল সাধারণ সম্পাদক কাজী আশফাক রহমান। সভাপতি আবদুল জলিল অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটান।
এবারের পিঠা মেলায় বাঙালির চিরায়ত পিঠা এবং অন্যান্য খাবারের ব্যাপক বৈচিত্র্য এবং পরিবেশনের নান্দনিকতা উপস্থিত সবার নজর কারতে সক্ষম হয়। খাবারের তালিকায় ছিল ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, পাটি সাপটা, চিতই পিঠা ও লটপটি, ছাঁচ পিঠা, মুখ পাকন,ঝাল পিঠা, কুলি পিঠা, নকশী পিঠা, চুটকি পিঠা, বিবি খানা,ফুল ঝুড়ি, নাড়ু,নান রুটি ও নেহারী; পরোটা মাংস, সবজি, বিরিয়ানি ইত্যাদি। বাহারি আয়োজনের এই বাঙালি খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে এবং আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে করতে সিডনির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোজনরসিক আর সংস্কৃতমনা বাঙালীরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় যোগদান করেন।
পিঠা মেলা চলাকালীন পুরো সময় জুড়ে পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের ছেলেমেয়েদের দৃষ্টি নন্দন উপস্থাপনার মাধ্যমে এই পর্বের সূচনা ঘটে। চারটি দলীয় সংগীতের পাশাপাশি একক সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করে আলিশা, রুশনান, অপলা ও অরূপা, নোয়া, নাশওয়া, এলভিরা, তাওহিদ। বৃন্দ আবৃত্তি করে তাওহিদ, স্বপ্নীল, ঋষিকা, রুশনান, দৃপ্ত। আরেকটি দলগত আবৃত্তিতে অংশ নেয় সাফিন, এথিনা, সুবাহ, সম্প্রীতি ও আরহান। নৃত্য পরিবেশনা করে অবনী। এর পরপরই শুরু হয় সিডনির জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশেন করেন শিশু শিল্পী মানাল আহমেদ, ফায়সাল শুভ, মিঠু, সুজন, জনি, দিব্য,পিউ, লনি, মিজান রহমান,পুলক খান, জনপ্রিয় সংগীত দল লাল সবুজের পক্ষে মাসুদ মিথুন, লুৎফা খালেদ, বিজয় সাহা, তানভীর, সজল, রহমান, আবৃত্তি করেন রুমানা সিদ্দিকী,নাসরিন মোফাজ্জল এবং শীর্ষেন্দু নন্দী। রাজশাহীর বিখ্যাত গম্ভীরা পরিবেশন করেন ফায়সাল শুভ এবং মেজবাহ আহমেদ। কৌতুক পরিবেশন করেন ওয়াসিফ শুভ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মেলা আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা স্কুলের অধ্যক্ষ রোকেয়া আহমেদ।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সেরা বাঙালি সাজের জন্য একজন পুরুষ, একজন মহিলা এবং একজন বালক একজন বালিকাকে পুরস্কৃত করা হয়। র্যাফেল ড্রতে বিজয়ীক ভাগ্যবানকে চমৎকার পিঠা সম্বলিত একটি ঝুড়ি উপহার দেয়া হয়।
পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাজ্জাদ চৌধুরী। উপস্থাপনায় ছিলেন রুমানা সিদ্দিকী। তবলায় সংগত করেন স্কুলের নির্বাহী সদস্য বিজয় সাহা। শব্দ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন আত্তাবুর রহমান। দেশজ মেলার আদলে করা লোকজ সাজসজ্জার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন মাসুদ মিথুন এবং আহমেদ সাগর। প্রচারে ছিলেন ইয়াকুব আলী। আপ্যায়নে সহযোগিতা করেন স্বপন,পুলক, ইলা, মোনা, ফেরদৌস, নিলা,হাসি, লিনা, রুপা, মোনা,সংগীত, মিলি ইসলাম, নাসরিন মোফাজ্জল, ইয়াকুব এবং দিশা।
আগামীতেও একই ধারাবাহিকতায় মেলা করার প্রত্যাশা নিয়ে পিঠা মেলা ২০১৮ আহবায়ক মাসুদ মিথুনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত মেলাটি বিকাল সাড়ে তিনটায় শেষ হয়।
(ছবিঃ বিপুল রয়, মিলি ইসলাম, নাভিদ এ নাদভি)
Kazi Ashfaq Rahman
ছেলেবেলা থেকেই শান্তশিষ্ট ছিলাম বলে আমার মায়ের কাছে শুনেছি। দুষ্টুমি করার জন্য যে বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন তা নিশ্চয়ই আমার ছিল না। আমার এই নিবুর্দ্ধিতা একসময় আমার মাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন আমার এই ছেলে জীবনে চলবে কি করে। এখন যেভাবে চলছি তাতে কোনও আক্ষেপ নেই। ভালই তো আছি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শিক্ষা, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যে অনন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারাকে জীবনের বড় অর্জন বলে মনে করি। আমার স্ত্রী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী, আমার শত বোকামী, আলসেমী আর বৈষয়িক না হওয়াকে প্রকারান্তরে প্রশ্রয় দেওয়াতে আমার আর মানুষ হয়ে ওঠা হয়নি। আমার দুই সন্তান, আমি চাই তারা আমার মত বোকাই থেকে যাক কিন্তু আলোকিত মানবিক মানুষ হোক যা আমি হয়তো হতে পারিনি।
Related Articles
প্রেস রিলিজঃ ২য় জন্মদিনে অষ্ট্রেলিয়ার বিশিষ্টজনের আগমনে আনন্দঘন পরিবেশ আপডেট বিডি নিউজ
শুভ সন্ধ্যা, অষ্ট্রেলিয়া বংলা সমাজের অনলাইন নিউজ আপডেট বিডি নিউজ ডট কমের ২য় জন্মদিন আজ। আনন্দঘন পরিবেশ সন্ধ্যার এই বিশাল
ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিলের Art Festival এ Best Award লাভ করেছেন আইরিন রহমান
সম্প্রতি ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিলের উদ্যোগে অত্র এলাকার অত্যন্ত জনপ্রিয় Festival of Fisher’s Ghost শেষ হয়েছে। প্রতি নভেম্বর মাসে ১০ দিনব্যাপী
রেনেসা ব্যান্ডের নকিব খান এখন সিডনী
রেনেসা ব্যান্ডের নকিব খান এখন সিডনী। আপডেট বিডি নিউজ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেখা হবে বাংলাদেশ কমিউনিটির সাথে। সবার আগে – সেরা
প্রিয় এই লেখকের সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করছি।