গণজাগরণ মঞ্চ-অস্ট্রেলিয়ার জাগরণী সমাবেশ
এক স্বত:স্ফূর্ত এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতিশব্দ আজ শাহবাগ আন্দোলন।’৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সমগ্র বাংলাদেশীদের এক অভূতপূর্ব আন্দোলন এই শাহবাগ।গণ-মানুষের এই প্রাণের দাবির সাথে একাত্ততা পোষণ করেই সুদূর অস্ট্রলিয়ার মাটিতে গঠিত হেয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ-অস্ট্রেলিয়া।দেশপ্রেম আর ন্যায়বিচারের দাবি যখন দেশের সীমানা পেরিয়ে যায়, তখনি তা হয়ে ওঠে বিশ্বমানবতার দাবি।তাই ‘৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হেয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ-অস্ট্রেলিয়া।ধারাবাহিক এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে তারাও আয়োজন করে চলেছে একের পর এক বিভিন্ন প্রতিবাদ ও গণজাগরণ মূলক কর্মসূচী । তারই ধারাবাহিকতাতে আজ ১৭ই মার্চ রোববার সিডনির শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মার্টিন প্লেসে আয়োজন করা হয়েছে এক জাগরণী সমাবেশ।তরুণ, যুবা, শিক্ষার্থী,পেশাজীবী, প্রবীণ, মা-বাবার হাত ধরে শিশু, কিশোর-কিশোরী, তথা বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ তাদের প্রাত্যহিক বাস্ততার মাঝেও নিজ বিবেকের টানে ছুটে এসেছে ন্যায়বিচারের দাবিতে সংহতি প্রকাশ করতে।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় পবিত্র কোর্’অন-বাইবেল-গীতা-ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে।বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু।তারা কখনই ধর্মীয় উগ্রতাকে প্রশয় দেয়না।ধর্মান্ধতা তারা প্রত্যাখ্যান করে ঘৃণা ভরে।তাই সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেই সূচিত হয় গণজাগরণ মঞ্চ-অস্ট্রেলিয়ার অনুষ্ঠান।এরপর পরিবেশিত হয় আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। কারণ আমরা যে সবাই মনে প্রাণে বাংলাদেশী।বাংলার জল-হওয়া-কাদামাটিতে আমাদের যে সংস্ক্রতি গড়ে উঠেছে, গল্প-গান-কবিতা-উপন্যাসে সমৃদ্ধ আমাদের যে সাহিত্য ভান্ডার ও ঐশ্বর্য রেয়েছে-তার তুলনা মেলা ভার। তাই তথাকথিত নেতানেত্রীর মত গালভরা কোনো জালাময়ী বক্তৃতা নয়, অস্ট্রলিয়ার গণজাগরণ মঞ্চে একে একে পরিবেশিত হলো বাংলা ভাষায় রচিত কবিতা, গান, নাটক।একই সাথে শত কন্ঠে উচ্চারিত হলো রাজাকারদের ফাসির দাবি।শুভবুদ্ধির জাগরণে অন্যায় পরাভূত হবে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে-এই আসার বাণী প্রতিদ্ধনিত হলো গণজাগর মঞ্চ- অস্ট্রলিয়ায় অংশ নেয়া প্রতিটি মানুষের কন্ঠে।তাদের এই প্রচেষ্টা ওব্বাহত থাকবে পরবর্তী আরো ধারাবাহিক কর্মসূচীর মাধ্যমে।