অষ্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপিত
বাংলাদেশের ৩৮তম বিজয় দিবসের স্মরণে গত ২০শে ডিসেম্বর রবিবার সিডনির লেকেম্বাস্থ পেরি পার্কে অবস্থিত অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল স্পোর্টিংক্লাব মিলনায়তনে “সৃষ্টি সুখের উল্লাসে” শিরোনামে অষ্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মিলনায়তনে বিপুল সংখ্যক অতিথির উপস্থিতিতে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণ, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আনন্দ ভোজন ছিল উল্লেখযোগ্য। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদ্ষ্টো এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথির ড. আব্দুর খালেক তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের বর্তমান ও ভবিষ্যত উনড়বয়ন কর্মসূচী তুলে ধরেন। তিনি প্রবাসীদের বাংলাদেশের দূত হিসবে উল্লেখ করে দেশের উনড়বয়নে তাদের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক ও শিশু কিশোর সংগঠক অধ্যাপিকা রাশেদা খালেক। তিনি তার সুদীর্ঘ বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা ও যুদ্ধে নারী বিরত্বের ইতিহাস তুলে ধরেন।
এছাড়াও সংখ্যাগরিষ্ঠ নারি সমাজকে জাতির উনড়বয়নে জনশক্তির অংশ হিসেবে বিবেচনা করে কাজে লাগানোর কথা বলেন। বিশেষ অতিথি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার নির্বাচক মন্ডলির প্রধানের দায়িত্ব পালন ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বিজয় দিবস উদযাপন উপ-কমিটির আহবায়ক হারুনুর রশীদ। এছাড়াও অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কলামিষ্ট অজয় দাশগুপ্ত। অজয় দাশগুপ্ত স্বাশত বাংলার শেকড় থেকে আজকের বাংলাদেশ ও আগামীর বাংলাদেশকে সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে অজেয় কির্তীর মহিমায় আর্দশ দেশ প্রেমিক হতে আহবান জানান। সদস্য সচিব শাহ আলম তার ভাষণে রাজনীতিতে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি বন্ধকরে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ‘৭১ এর বাংলাদেশকে বিশ্বের শীর্ষ কাতারে তুলে আনতে কাজ করার আহবান জানান। আল নোমান শামীম বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে ‘৭১ এর চেতনায় ৩০ লক্ষ শহীদের আদর্শে লালসবুজের পতাকার চীর উনড়বত শীরকে অবাধ রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্তি করেন। অনুষ্ঠানের মাঝ পর্যায়ে প্রধান অতিথিকে ষ্টিল গ্লাসের একটি ক্রেষ্ট উপহার দেন মোসলেউর রহমান খুশবো। অনুষ্ঠান উপস্থাপনাকারি তারিক আনজাম প্রধান অতিথির কাছে দাবি জানান আগামী নির্বাচনের আগে
যেন প্রবাসিদের ভোটার করা হয়। অনুষ্ঠানের সাবিক দায়িত্বে ছিলেন আ: হাকিম ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সেলিম। সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ অষ্ট্রেলিয়া শাখার আহবায়ক হারুন রশীদ আজাদ। সভাপতি তার সংক্ষিপ্ত ভাষণে ‘৭১ এর রণাঙ্গনে তার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগকে প্রতিবছর ২৩শে ফেব্রুয়ারিকে বঙ্গবন্ধু দিবস হিসেবে স্মরণ করার আহবান জানান। উল্লেখ্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক ১৯৬৯ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী কারাবন্দী থেকে মুক্তি পেলে ২৩শে ফেব্রুয়ারী সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তৎকালিন রমনা রেসকোর্সে ময়দানে আয়োজিত জনতার সমুদ্রের সামনে শেখ মুজিবুর রহমান-কে “বঙ্গবন্ধু” উপাধিতে ভূষিত করেন। আলোচনা শেষে শিশু কিশোরদের পুরষ্কার প্রদান করেন বিশেষ অতিথি।
সবশেষে ছিল মনোঙ্গ সঙ্গীতানুষ্ঠান। সঙ্গীত শিল্পীরা ছিলেন অভিজিত বড়–য়া, সাইদ আশিক সুজন, ফাতিহা সুমনা, জানড়বাত খান, অনির্ধারিত শিল্পী ছিলেন স্বয়ং অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. আব্দুল খালেক। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন অভিজিত বড়–য়া ও পিয়াসা বড়–য়া। সঙ্গীত যন্ত্রে ছিলেন ফারজানা লিজা ও আইরিন জানড়বাত শান্তা। সৌজন্যমূলক নৈশভোজের মধ্যদিয়েই বিষয় দিবসের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানে প্রচুর লোক সমাগম হয় এবং দিনটি সবাই উপভোগ করে।