বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার বিশাল প্রতিবাদ সভা
এম. মোরশেদ অস্ট্রেলিয়া থেকে: ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক পিলখানা হত্যাকা-ের ঘটনার সাথে বিরোধীদলীয় বেগম খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে ও জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে সংসদে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে গতকাল ৩১ শে জানুয়ারী সিডনির মেরিকবিলস্থ অস্থায়ী কার্য্যালয়ে অস্ট্রেলিয়া বিএনপি ,যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল, জিয়া পরিষদ,জাসাসের উদ্দ্যোগে এক বিশাল প্রতিবাদ সভা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অস্ট্রেলিয়ার আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল অস্ট্রেলিয়া শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি মোসলেহউদ্দিন আরিফের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ড.ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ের চৌধুরী রানা , বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুল কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক ইব্রাহীম খলিল মাসুদ, জিয়া পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সাধারন সম্পাদক এম. এ ইউছুফ শামীম, অস্ট্রেলিয়া যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, বিএনপি নিউ সাউথ ওয়েলস শাখার সাধারন সম্পাদক আশরাফুল আলম রনি, অস্ট্রেলিয়া যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এ এন.এম মাসুম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ছাঅস্ট্রেলিয়ার আহ্বায়ক মোস্তফা মোরশেদ নিথুন , যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহমুদুল হাসান ,স্বেচ্ছাসেবকদল অস্ট্রেলিয়ার সাংগঠনিক সম্পাদকদ মোনায়েম খান মিশু, আবুল বাসার মিলন , মাহমুদুল আলম প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক পিলখানা হত্যাকা-ের ঘটনার সাথে বিরোধীদলীয় বেগম খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে ও জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে সংসদে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, একবছরে সরকার জনগণকে দেয়া একটি ওয়াদাও পূরণ করতে পারেনি। সকল ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে দেশের স্বার্থবিরোধী যেসব গোপন চুক্তি করেছেন, দেশের মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বার্থবিরোধী এসব চুক্তি থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে শেখ হাসিনা জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে সংসদে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছেন। জাতীয়তাবাদী শক্তি তার এই অশালীন বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। নেতৃবৃন্দ আর ও বলেন,স্বাধীনতার পর পরই হত্যাকান্ডের রাজনীতি প্রথম আওয়ামী লীগই শুরু করেছিলো। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যা সাথে জড়িত তৎকালীন স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের সাথে রাতের অন্ধকারে আঁতাত করে ৮৬ সালের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ এবং বর্তমানে আবারও সেই স্বৈরচারীকে দোসর হিসেবে নেয়ার মাধ্যমে বর্তমান শাসক গোষ্ঠি দুর থেকে এরশাদের সাথে শহীদ জিয়ার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো বলে দেশবাসী সন্দেহ পোষন করে। শহীদ জিয়া ও তার পরিবারের নাম শুনলেই আওয়ামী নেত্রী যে ভাবে আচরণ করেন তাতেই সেই সন্দেহ আরো ঘনিভূত হয়।