বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল অস্ট্রেলিয়া শাখাও সহযোগি সংগঠনের উদ্দ্যোগে জিয়াউর রহমানের ২৮তম শাহাদতবার্ষিকী পালন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল অস্ট্রেলিয়া শাখাও সহযোগি সংগঠনের উদ্দ্যোগে জিয়াউর রহমানের ২৮তম শাহাদতবার্ষিকী পালন

সিডনি সংবাদ দাতা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল অস্ট্রেলিয়া শাখার উদ্দ্যোগে স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ২৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রবিবার ৩১শে মে সিডনির সেন্টপিটার্স লাইব্রেরি হলে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি মোসলেহউদ্দিন আরিফের পরিচালনায় ত্রক মিলাদ দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় ।

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি দেলোয়ার হোসেন বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির আওয়ামী প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। দেশের মানুষ তৎকালীন মেজর জিয়ার কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আওয়ামী লীগ দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি বলেই জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। জনাব দেলোয়ার কথায় বা বক্তৃতায় নয়- কাজের মাধ্যমে শহীদ জিয়ার আদর্শকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়া তাঁর চারিত্রিক গুণাবলী দিয়ে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের মন জয় করেছিলেন। জনাব দেলোয়ার বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকী পালনের সময় প্রাক্তন উপ-মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপর সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান।

মোসলেহউদ্দিন আরিফ বলেন, ইদানীং দেখছি আওয়ামী লীগের নেতারা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা তো স্বীকার করছেই না, তাঁর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণও অস্বীকার করছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টর ছিল না বলেও তারা বুলি আওড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ’৭১ সালের ৩০ এপ্রিল আম্রকাননে গিয়ে তাজউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন যে, জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে একটি ঐতিহাসিক কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ নেতারা মরহুম তাজউদ্দিনের ওই কথাকে অস্বীকার করবে কিভাবে? আওয়ামী লীগের যেসব নেতা মিথ্যাচার করছে তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি তারা কলকাতার হোটেলে বসে দিনের বেলায় কাটাতেন গল্প-গুজবে ।

আলোচনা সভায় দলমত নির্বিশেষে সিডনির সর্বস্তরের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশেষ আমন্ত্রনে উপস্থিত ছিলেন সিডনির বিভিন্ন সংবাদপত্র, ওয়েবসাইট, রেডিও, টিভির সাংবাদিকবৃন্দ। সভায় আরো যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে জিয়া পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি হুমায়ের চৌধুরী রানা, তারেক মুক্তি পরিষদের সভানেত্রী সাইয়েদা খানম আঙ্গুর, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সদস্য-সচিব মনজুর সারোয়ার বাবু, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অষ্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি মোসলেহউদ্দিন আরিফ, অস্ট্রেলিয়া যুবদলের আহ্বায়ক হাফিজুল ইসলাম তারেক, জিয়া পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি কুদরতউল্ল্যাহ লিটন, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেত্রী লাভলী আলম ,জাসাস অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি বেলাল হোসেন ঢালী, সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম খলিল মাসুদ, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশরাফুল আলম রনি , যুবদল অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম আাহ্বায়ক রাশেদুল হক, যুবদল অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম আাহ্বায়ক এস.এম.রানা, জিয়া পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সাধারন সম্পাদক মোবারক হোসেন, ছাত্রদল অস্ট্রেলিয়ার সি:সহ-সভাপতি এ.এস.এম. মাসুম, ওমর ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক সালাউদ্দিন মানিক, মোহাম্মদ হাফিজ, নিউ সাউথ ওয়েলস শাখার সভাপতি হাসান আল মামুন , সাধারন সম্পাদক মোস্তফা নিথুন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ওয়াজিয়া শারমীন ফারুক হোসেন , জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুর রহিম, আবুল বাসার মিলন, সজিব আহমেদ, সর্দার মো: খালেদ, জসিম উদ্দিন চৌধুরী , রক্সি, আবুল কালাম আজাদ , ফসিউল আলম জামাল, আমিনুল ইসলাম বাবু, রোমিও অন্যতম।


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment