অষ্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ারের উদ্যোগে ঈদুল আয্হার জামাত অনুষ্ঠিত
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সিডনীর অধিকাংশ স্থানে গত ৮ ই ডিসেম্বর সোমবার মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সারা বিশে^র সুখ, শান্তি, অগ্রগতিসহ দেশ ও জাতির উন্নতি কামনায় আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজাত করেন।
ত্যাগের মহিমায় ভাস্কর এ ঈদ। মুসলিম উম্মাহর দুটি বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম ঈদুল আজহা। চান্দ্র বর্ষের হিসেবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানির মাধ্যমে ঈদুল আজহার আনুষ্ঠানিকতা সম্পনন হয়ে থাকে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মতো অষ্ট্রেলিয়ার মুসলমানরাও এ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করে আনন্দ ও উৎসাহের মধ্য দিয়ে।
গত ৮ ডিসেম্বর সোমবার অষ্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টারের উদ্যোগে প্রথমবারের মত পবিত্র ঈদুল আয্হার জামাতের আয়োজন করে। ম্যাকুয়ারী ফিল্ডস (সিলেক্টিভ) হাই স্কুল হলে ঠিক ৭.১৫ মিনিটে ঈদের জামাত শুরু হয়। ক্যাম্বেলটাউন, হোলসওয়ার্দি, গ্ল্যান ফিল্ড, লিউমিয়া, মিন্টু, ইঈলবার্ণ সহ সাউথ ওয়েষ্ট এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলাদেশীসহ ভিন্ন দেশী মুসল্লীরা ঈদের জামাতে শরীক হয়। কর্মদিবস হওয়াতে জামাত শুরু হয় ঠিক সময়েই। ফলে অনেক মুসল্লি প্রথম জামাতে শরীক হতে পারেনি, ফলে দ্বিতীয় জামাতের ব্যবস্থা করা হয়। দ্বিতীয় জামাতের ইমামতি ধরেন মিন্টু মসজিদের প্রাক্তন পেশ ইমাম শেখ আমিন। মূল জামাতের খুতবা এবং ইমামতি করেন বাংলাদেশ সেফটন মসজিদের প্রাক্তন ইমাম ও ইসলামিক এডভাইজার ড. আবু ওমর ফারূক আহমদ। তিনি খুতবায় মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার ংরমহরভরপধহপব তুলে ধরেন। খুতবার পর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. আনিছুল আফছার সংক্ষিপ্ত আকারে সকলের সামনে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম, এ পর্যন্ত সংগৃহীত সদস্য সংখ্যা এবং অর্থের পরিমাণ সকলের সামন্য প্রকাশ করেন। তিনি মসজিদ প্রকল্পে সকলকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। বাংলাদেশ ও অষ্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মার জন্য দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মিন্টু মসজিদের প্রাক্তন ইমাম শেখ আমিন। নামাজের পর একে অপরের সাথে কোলাকুলি করেন। পরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বারো মাসের সুদৃশ্য নামাজের ক্যালেন্ডারও মুসল্লিদের মাঝে বিতরণ করা হয়। হাসি আর আনন্দের মধ্যে দিয়ে সকলে বাড়ী ফিরে যান। উল্লেখ্য, অষ্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টার সাউথ ওয়েষ্ট এলাকায় বিশেষ করে বৃহত্তর ক্যাম্বেলটাউনে একটি মসজিদ, কমিউনিটি হল, খেলাধুলার ব্যবস্থাসহ একটি কমপ্লেক্র তৈরীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ বৎসর ইসলামী শরীয়াহর নীতিমালা অনুযায়ী কোরবানী সহীহভাবে সম্পন্ন করার সুবিধার্থে সংগঠন কোরবানীর ব্যবস্থা করে ছিল।