ক্যানবেরায় সম্মিলিত কণ্ঠে ধ্বনিত হল জাতীয় সঙ্গীত
সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। থেমে থেমে বৃষ্টি। সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিন কিংবা আবহাওয়ার প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ক্যানবেরায় বসবাসরত অসংখ্য বাংলাদেশী মিলিত হয়েছে শহরের প্রাণকেন্দ্রে ক্যানবেরা থিয়েটার চত্বরে। কারো হাতে জাতীয় পতাকা, কারো হাতে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে বাংলা – ইংরেজীতে লেখা প্লাকার্ড, কেউ পরেছে লাল-সবুজ রঙের শাড়ি, কারো গায়ে লাল পাঞ্জাবি। কেউবা মুখে এঁকেছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সবার মুখ।
ঘড়ির কাঁটা একটা পনেরোর ঘর ছুঁতেই শহরের ব্যস্ততা কিংবা থিয়েটার চত্বরের কোনে লুকিয়ে থাকা নির্জনতাকে ভেঙে দিয়ে উপস্থিত বাঙালিদের সবাই সম্মিলিত কণ্ঠে গেয়ে উঠল ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রাণে, ওমা আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি’। বুকের মধ্যে তখন সবার দ্বীপের মত জেগে উঠেছে সহস্রাধিক মাইল দূরত্বের বাংলাদেশ, প্রিয় মাতৃভূমি। আকস্মিক গানের শব্দে পথচারীদের অনেকেই তখন থমকে দাঁড়িয়েছে, কেউ কেউ প্লাকার্ডগুলো পড়বার চেষ্টা করছে।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন শেষে অস্ট্রেলিয়াস্থ বাংলাদেশের সম্মানিত হাই কমিশনার লেঃ জেনারেল (অবঃ) মাসুদউদ্দিন চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের আহবানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কামরুল আহসান খান, বোরহান আহমেদ ,ডঃ এজাজ মামুন, ডঃ কামালউদ্দিন, কবি আবুল হাসনাৎ মিল্টন, ক্যানবেরাস্থ বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আস-সাঈদ, ডঃ নাসিম আহমেদ, নাজমা আক্তার, সেহেলী সাবরীন, শামীমা পারভীন, অভিলাষ চাকমা, কামরুন নাহার এলিস ,জিয়াউল হক বাবলু, তারিক জামান , পান্না জামান, পিডিসন প্রধান, জালালুদ্দিন আনিস ,ফৌজিয়া আনিস ,সামসুল হুদা , সালমা তৃনা, স্বপ্না শাহনাজ ,তপন কুন্ড ,সালমা সোনিয়া ,সামা সায়িদ ,ওমর রহমান, মনিরুজামান, তপতী আদিত্ত্য, জিনাত জেবিন, ডাঃ শাহরিয়ার ,তুষার রায় , ডঃ মোহাম্মদ মইনুদ্দিন, ম রহমান সুজন ,ম মহিদ্দিন, অনূপম সেন, তাজনিন লোপা ,নায়লা রেজুয়ানা , রাফাত বিতা , লুনা পিউরোফিকেসন, শেখ লানা , তপতী আদিত্ত্য বুশরা খানম ,লুত্ফন নাহার,আব্দুল মান্নান , রুপন্তি ,শামীন প্রমুখ। হারমোনিয়াম বাজিয়ে গানের নেতৃত্ব দেন রিফাত বিতা ।