ক্যানবেরায় জেলহত্যা দিবস পালিত
গত ৫ নভেম্বর, সোমবার অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক যুবনেতা কামরুল আহসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ডাঃ পরাগ দাস, সুমন দাস, ডঃ অজয় কর, মুনীর হোসেন, ডঃ মইন উদ্দিন, প্রিয় অস্ট্রেলিয়া ওয়েবসাইটের পরিচালক ও কবি শাহাদাত মানিক, প্রমুখ। আলোচনা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা, নগর পরিকল্পনাবিদ ডঃ কামাল উদ্দিন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ৩রা নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বেদনাময়, কলঙ্কিত দিন। বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করবার পর বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশুন্য করবার জন্য এদিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রীয় হেফাজতে বন্দী অবস্থায় জেলখানার নিরাপদ আশ্রয়ে এধরনের বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র সভ্যবিশ্ব। অথচ ৩২ বছর পেরিয়ে গেলেও এই কাপুরুষোচিত হত্যা মামলার বিচারের রায় আজও কার্যকর হয়নি। এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের ধারায় গত ৩২ বছর ধরে দেশে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন অনুপস্থিত। সভাপতির ভাষনে কামরুল আহসান খান বলেন, জেল হত্যার বিচারের দাবীতে বাঙালি জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। এই অমানবিক হত্যাকাণ্ডের যথার্থ বিচার করতে না পারা পর্যন্ত আমরা কোনদিন দায়মুক্ত হতে পারবো না। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অচিরেই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার রায় কার্যকর হবে।
আলোচনা সভা শেষে তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘তাজউদ্দিন আহমেদ: নিঃসঙ্গ সারথী’ শীর্ষক প্রামান্য চিত্রটি প্রদর্শিত হয়।