স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী

ক্যানবেরায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্্যাপনের সূচনা ক্যানবেরা, ২৬ মার্চ ২০২১ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরা কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানসূচির সূচনা হয় ক্যানবেরার প্রসিদ্ধ সিটি ওয়াকে সকাল ৭.৩০ মিনিটে বাংলাদেশ এবং অষ্ট্রেলিয়ার জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। দুপুরে অষ্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠিত হয়। ফেডারেল ও এসিটির সংসদ সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রীবৃন্দসহ রাজনৈতিক সদস্যবৃন্দ, ভারত ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতগণ, ফেডারেল ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাসহ অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার সুফিউর রহমান ও এটর্নি জেনারেল সেন রতনবারি এবং অষ্ট্রেলিয়ার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চিফ অব প্রটোকল ইয়ান মেককোনভিল এবং বাংলাদেশ-অষ্ট্রেলিয়া এসোসিয়েশন ক্যানবেরার প্রেসিডেন্ট জনাব আমিনুর রশীদ। জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার , ভারতীয় হাইকমিশনার গিতেষ শর্মা, এটর্নি জেনারেল এবং উঋঅঞ এর ফাস্ট এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী। অনুষ্ঠানে অষ্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত দু’জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। দুপুরের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় দু’দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

তিনি অষ্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে দু’দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীরতার কথা তুলে দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক অদূর ভবিষ্যতে আরো জোরালো হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। ফাস্ট সেক্রেটারী গ্যারি কাওয়ান দু’দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরালো হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন। অতি সাম্প্রতিক অষ্ট্রেলিয়ার গত ৬০ বছরের মধ্যে ভয়াবহ বন্যা হওয়ায় সকল সংসদ সদস্যকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করতে (অপর পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য) হচ্ছে বিধায় অষ্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারিয়ান গ্রæপের ভাইস চেয়ার ও অষ্ট্রেলিয়ান ফেডারেল সংসদ সদস্য জোয়ান রিয়ান এক ভিডিও বার্তা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অষ্ট্রেলিয়ার গভর্ণর জেনারেল ডেভিড হারলি কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন চিফ অফ প্রটোকল। এ উপলক্ষ্যে অষ্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং বিরোধী দলীয় নেতা এন্থনী আলবানিজ বিশেষ বার্তা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে অষ্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি গ্রæপের সংসদ সদস্যদের প্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক সদস্যবৃন্দ, ভারত ও রাশিয়াসহ বিশজনের অধিক রাষ্ট্রদূতগণ এবং অষ্ট্রেলিয়ান ফেডারেল কর্মকর্তাসহ অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিগণ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। করোনা ভাইরাস জনিত মহামারির কারণে ১২০ জন ব্যক্তি আনুষ্ঠানিক এই অভ্যর্থনায় অংশগ্রহণ করেন। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং উন্নয়নের উপর বিভিন্ন প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর অংশ হিসেবে ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় ক্যানবেরাস্থ কামবা’র এওয়াকেন চার্চ অডিটরিয়ামে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ক্যানবেরাস্থ সাংস্কৃকিত সংগঠন কাব্যকথন ও ধ্রæপদ গান, কবিতা এবং সিডনী থেকে আগত শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করবেন। ২৮ মার্চ ক্যানবেরার ককিংটন গ্রিণ গার্ডেনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের মিনিয়েচারের উদ্বোধন করা হবে যাতে প্রধান অতিথি হিসিবে ভার্চ্যুয়ালী উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এম পি। সংযুক্তিঃ অনুষ্ঠানের ছবি।


Place your ads here!

Related Articles

Bangladesh community in Australia, is going to participate in the National Multicultural Festival-2019

Dear all, We are very delighted to inform that Bangladesh High Commission in Canberra, in association with Bangladesh community in

ক্যানবেরায়ন্যাশনালমাল্টিকালচারালফেস্টিভালেবাংলাদেশেরঐতিহ্য, সংস্কৃতিওউন্নয়নকর্মকান্ডপ্রদর্শন

ক্যানবেরা, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩: অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত তিনদিনব্যাপী ন্যাশনাল মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভালে বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রদর্শন করা হয়।গত

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment