মেলবোর্নে বাংলাদেশের ৪৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

মেলবোর্নে বাংলাদেশের ৪৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশীদের উদ্যোগে গতকাল (২৬শে মার্চ) বাংলাদেশের ৪৯তম  স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। অন্যান্য বছরের মত এবারও মেলবোর্ন শহরের প্রাণকেন্দ্র ফেডারেশন স্কয়ারে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এই উদযাপন শুরু হয়। ২৬-শে মার্চ সারাদিন ব্যাপী ফেডারেশন স্কয়ারে এই পতাকা উড়তে থাকে যা দেখে বাংলাদেশীদের বুক গর্বে ফুলে উঠে। সারাদিন বাংলাদেশীদেরকে উড়ন্ত পতাকার সাথে ছবি তুলতে দেখা যায়।

২৬শে মার্চ মঙ্গলবার কর্মদিবস থাকায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টায়। মেলবোর্নে বসবাসরত বাংলাদেশীদেরা প্রচণ্ড আগ্রহ, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। মেলবোর্নে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অনুষ্ঠানে আসতে পেরে তারা যার পর নাই খুশি বলে জানান।

মেলবোর্ন ও মোনাশ  বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষক ও অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী (ঐতিহ্যগত) মালিক ও তাদের বিগত ও বর্তমান মুরুব্বীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার স্বাগত বক্তব্য শুরু করেন। তিনি স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে সাহায্য করার জন্যে ফেডারেশন স্কয়ার কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ হাই কমিশনকে ধন্যবাদ জানান। তিনিতার বক্তব্যে  স্বাধীনতা যুদ্ধে তিরিশ লক্ষ শহীদ ও সাড়ে চার লক্ষ মা-বোনের  ত্যাগ স্মরণ করেন। তিনি কবি শামসুর রাহমানের “স্বাধীনতা তুমি”কবিতা আবৃত্তি করে শোনান।

অনুষ্টানের অন্যতম উদ্যোক্তা ও আয়োজক এবং মেলবোর্ন প্রবাসী বাংলাদেশী ড. মাহবুবুল আলম তার বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতার স্থপতি ও বাঙালীর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, সাত বীরশ্রেষ্ঠ সহ তিরিশ লক্ষ শহীদ ও সাড়ে চার লক্ষ মা -বোন যাদের আত্মত্যাগ ও সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি নিজেকে বাংলাদেশের একজন গর্বিত নাগরিক উল্লেখ করে বলেন আমাদের উচিত আমাদের সন্তানদেরকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংষ্কৃতি শিক্ষা দেয়া। তিনি সবাইকে এই প্রবাসে মিলে-মিশে একত্রে আমাদের জাতীয় দিবসগুলো পালন করার আহবান জানান।

এরপর সবাই সম্মিলিত কণ্ঠে প্রথমে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও পরে বহু সংস্কৃতির দেশ অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত অন্যান্য দেশের লোকদের মধ্যে এতে খুব সাড়া পরে এবং তারাও উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে অনুষ্ঠান উপভোগ করে। এরপর অনুষ্ঠানে আগত শিশু-কিশোররা বাংলাদেশ নিয়ে তাদের আবেগ, ভালোবাসা ও উচ্ছ্বাস বাংলা ভাষায় প্রকাশ করে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে অন্যতম উদ্যোক্তা সালাউদ্দিন আহমেদ, তাজ উদ্দিন, জেমস খান সহ আরও উপস্থিত ছিলেন ড. নাহার, সাদিয়া খান, হাসিনা চৌধুরী মিতা, নুরুল হক টিকু, মিতা পারভী্‌ন, মোরশেদ কামাল, ইসরার উসমান, মিরাজ উদ্দিন, আবরার শাহরিয়ার সহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক। ব্যাস্ত কর্মদিবসেঅনুষ্ঠানে আসার জন্য ও অনুষ্ঠান সফল করার জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন।


Place your ads here!

Related Articles

‘প্রভাত ফেরী – কবিতা বিকেল বাংলা সংস্কৃতি উৎসব’ “বাংলা ফেস্ট সিডনী” অনুষ্ঠিত হবে ২রা নভেম্বর ২০১৯

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কবিতা বিকেল প্রবাসে শুদ্ধ বাংলা সংস্কৃতির চর্চা ও প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছর থেকে সিডনির

New Discriminatory Rule in Australian Migration Regulations

Lodging a protest for the new discriminatory rule in Australian migration regulations for General Skilled Migration: The new Australian General

Observance of the National Mourning Day 2010

Bangladesh High Commission, Canberra | Press Release (16 August 2010) Observance of the National Mourning Day 2010 Bangladesh High Commission

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment