অস্ট্রেলিয়ায় মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

অস্ট্রেলিয়ায় মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

গতকাল রবিবার (৮ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে, মেলবোর্ন বাংলা স্কুল ও মেলবোর্ন বাংলাদেশি কম্যূনিটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক ‘ঈদ পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলবোর্ন বাংলাদেশী কমিউনিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আলহাজ্জ মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক (তিনি পেশাগত ভাবে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ও মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক)। তিনি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশী কমিউনিটির সঙ্গবদ্ধ হয়ে কাজ করার উপর গুরুত্ত্ব আরোপ করেন। তিনি মেলবোর্ন বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা ও ইতিহাস সবার কাছে তুলে ধরেন এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে ভাষা শিক্ষার উপর গুরুত্ত আরোপ করেন। আগামী প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশী কৃষ্টি-সভ্যতা ইত্যাদি পৌঁছে দেয়ার জন্যে মেলবোর্ন বাংলা স্কুলকে আর্থিক-মানবিক-সাংগঠনিক ভাবে সহযোগিতা করার জন্যে সকলের কাছে আহবান জানান।

প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেস্টা ড. মাহবুব আলম মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের উন্নয়নের স্বার্থে সবার আর্থিক ও মানবিক সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া সংগঠনের জন্যে ফলপ্রসূ কিছু উদ্যোগের উপদেশ প্রদান করেন সংগঠনের উপদেস্টা ড. মাহবুবুর মোল্লাহ, অভিভাবক ড. আফতাবুজ্জামান, ড. মনির উদ্দিন আহমেদ, ড. আমিরুল ইসলাম, মোঃ আদনান, মোহাম্মদ হাসান সহ অনেকে।

এরপর মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় যার মধ্যে ছিল  মিউজিক্যাল চেয়ার, স্পুন রেসিং ও পিলো পাসিং, ইত্যাদি। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার ভিতর দিয়ে এসব প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে অংশগ্রহন করে। সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন শিক্ষিকা মিসেস মিতা পারভিন, মিসেস নাসিমা খান, ড. মোসাম্মৎ নাহার, মিসেস জুবাইদা আলী, অভিভাবক মিসেস ইসমত আরা কাননসহ আরও অনেকে।

এরপর সবাই মধ্যান্য ভোজে অংশগ্রহন করেন ও বাংলা স্কুলকে ভবিষ্যতে আরও সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষ্যে কাজ করার জন্যে আলোচনা করেন।  

এরপর শুরু হয় ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। বড়দের মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় আয়েশা, দ্বিতীয় হয় জারীর ও তৃতীয় হয় সাদ, ছোটদের মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় আরিশা, দ্বিতীয় হয় জাফির ও তৃতীয় হয় সুমাইতা, পিলো পাসিং প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় সুমাইয়া হক, দ্বিতীয় হয় মানহা মাহবুব ও তৃতীয় হয় খাদিজা। এছাড়া স্পুন রেসিং প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় ইফতিখার আহমেদ। তাছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে বিভিন্ন পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কার বিতরন করেন আলহাজ্জ মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক, ড. আলম মাহবুব, আলহাজ্জ আবু জাফর মোহাম্মদ আলী ও ড. মাহবুবুর মোল্লাহ।

অনুষ্ঠানের শেষে সবাইকে অনুষ্ঠানে আসার জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জনাব আলহাজ্জ মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক। তিনি এই অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করার জন্যে মেলবোর্ন বাংলাদেশী কমিউনিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেস্টা ড. মাহবুব আলম, ড. মাহবুবুর মোল্লাহ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কবির আহমেদ, শিক্ষিকা মিসেস মিতা পারভিন, মিসেস নাসিমা খান, ড. মোসাম্মৎ নাহার, মিসেস জুবাইদা আলী, অভিভাবক মিসেস ইসমত আরা কানন, ড. মনির উদ্দিন, মোহাম্মদ সামদানী, মোঃ আদনান সহ এই অনুষ্ঠানে এসে তা সাফল্য মন্ডিত করার জন্যে সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ।


Place your ads here!

Related Articles

Tazuddin Ahmed not properly evaluated: Shimin Hussain Rimi

In an informal discussion session at Canberra, Mrs. Shimin Hussain Rimi, a researcher and the daughter of the first Prime

বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দানের আহবান

জাতিসংঘে’র কাছে  বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনা বাংলাকে জাতিসংঘের  দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দানের আহবান জানিয়েছেন। গত ২১ ফেব্রূয়ারী ২০১৬ কেনবেরাতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলখ্যে ‘একুশে রেডিও’র সাথে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে অস্ট্রেলিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাস্ট্রদুত হিজ   এক্সিলেন্সি কাজী ইমতিয়াজ  হোসাইন বলেন, বাংলাভাষাকে বাংলাদেশের  সর্বস্তরে চালু করার সরকারী পদক্ষেপের পাশাপাশি বাংলা ভাষার  আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্যে জাতিসংঘে’র কাছে  প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনা বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দানের আহবান জানিয়েছেন। বিশ্বজুরে বাংলা ভাষার ব্যপক ব্যপৃতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাস্ট্রদুত  হোসাইন বলেন, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ দেশে বাংলা ভাষা ভাষি লোকেদের বিচরন রয়েছে। এসব দেশে বাংলা’র প্রচলন ও চর্চার মধ্যে দিয়ে বাংলাকে আরো  ব্যপৃত করার সুজোগ রয়েছে। বাংলা ভাষার মধ্য দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয় আরো নিগুড় হবে বলে তিনি মনে করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে’র স্বার্থকতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন ১৯৯৯ সালে  এউনেস্কো ২১ ফেব্রূয়ারী’কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষনা করার পর পৃথিবীর সর্বত্রই  সব ভাষাভাষির লোকেরা গর্বের সাথে  এই দিন টিকে উদযাপন করে আসছে।মাজিক কর্মকান্ড সহ জন জীবনের প্রতিটি কাজে ভাষার প্রয়োজনীয়তাটাকে  স্মরন করার একাটা সুজোগ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন। বাংলাকে সর্বস্তরে চালু করার সরকারী উদ্দোগ থাকা স্বত্তেও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বাংলাভাষার ব্যবহার তেমনভাবে  দেখা যায় না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন- বাংলাদেশ একটা রপ্তানী মুখী দেশ। আর ব্যাবসায়িক 

Australia Day Annual Blood Donation Program

Australian Forum for Minorities in Bangladesh Inc. (AFMB) is non-profit organisation and is organising its annual blood donation program at

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment