বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরা-তে “গণহত্যা দিবস” ২০১৮ পালন
(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি): ক্যানবেরা, ২৫ মার্চ ২০১৮ – বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরাতে “ গণহত্যা দিবস ”-২০১৮ পালিত হয়। শুরুতেই একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ০১ মিনিট নীরবতা পালন এবং নিজ নিজ ধর্ম ও মত অনুসারে মৌন প্রার্থনা করা হয়। তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ দিবস উপলক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর পাকিস্তানী হানাদারবাহিনী কর্তৃক সংগঠিত হত্যাযজ্ঞ ও নির্মমতার উপর “একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি” প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা পর্বে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশগ্রহন করেন এবং দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বক্তারা সকল রাজনৈতিক দল, মত, ধর্ম, বর্ণ সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং গণহত্যার বিষয়ে অধিকতর সচেতনতা সৃষ্টির জন্য অস্ট্রেলিয়ায় বৃহত্তর পরিমন্ডলে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার সুফিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন যে, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের গণহত্যার ক্ষেত্র শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তাান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় থেকে। বর্ণবৈষম্য পরবর্তীতে বর্ণবাদ ও কৌলন্যবাদে পরিণত হয় এবং বাঙ্গালীদের অধিকার হরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে এ গণহত্যা ঘটে।
তিনি বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের হত্যাযজ্ঞকে বিশ্বের অন্যতম গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বিশ্ববাসীর সামনে এ গণহত্যাকে তুলে ধরার জন্য সরকারি, বেসরকারি পর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহন চলমান রয়েছে। তিনি জাতিগত, ধর্মীয় বৈষম্য ভুলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। জাতিগত নির্মুল, গণহত্যার ফলে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে রক্ষার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কথা উল্লেখপূর্বক এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের সোচ্চার ভূমিকা নিয়ে তিনি বিশদ আলোচনা করেন। তিনি সমাজে বৈষম্য দূরীকরণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবতার দৃষ্টিকোন থেকে পররাষ্টনীতির উপর আলোকপাত করেন।
পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়।
Related Articles
কেম্বেলটাউন এলাকায় নতুন সংগঠন : বাংলাদেশী অষ্ট্রেলিয়ান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (BAWS)
বাংলাদেশী অষ্ট্রেলিয়ান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি একটি সম্পুর্ন অরাজনৈতিক সংগঠন । বাংলাদেশী কমিউনিটি ও এবং অন্যান্ন কমিউনিটির মধ্যে সুদুর সম্পর্ক ,পারষ্পরিক সহযোগিতা
রংধনু অজ-বাংলা এর উদ্যোগে আয়োজিত সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী সন্ধ্যা।
রংধনু অজ-বাংলা কালচারাল সোসাইটি ইনক্ এর উদ্যোগে আয়োজিত সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী সন্ধ্যা।গত ৪ঠা মে ২০১৩, শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়ে