ক্যানবেরায় যথাযথ মর্যাদা এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস পালন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
ক্যানবেরা, ১৫ আগস্ট ২০১৮: বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরায় যথাযথ মর্যাদা এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশের মাধ্যমে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সন্ধা ৬:৩০ ঘটিকায় হাইকমিশন প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ”। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার, মিস ফরিদা ইয়াসমিন ও উপস্থিত অন্যরা। এর পরই উপ¯িহত সবাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে ০১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন এবং নিজ নিজ ধর্ম মত ও প্রথা মোতাবেক মৌন প্রার্থনা করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের উপর একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনাপর্বে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের প্রতি শোকাহত চিত্তে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে ১৫ আগস্ট এক কলঙ্কিত অধ্যায়। জাতির পিতা ছিলেন জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রুপকার। এই মানুষটির জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরোও বলেন যে, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ নির্মানের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বিশাল কর্মকান্ড গ্রহণের পাশাপাশি গ্রহণ করেছিলেন “ সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’- এই পররাষ্ট্র নীতি। সেই সাথে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় ও আর্ন্তজাতিক সংস্থাসমূহের সদস্যপদ অর্জন করেছিলেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাতির জনকের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর আদর্শকে পৌছে দেয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান। একই সাথে বর্তমানে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদাত্ত আহব্ান জানান।
আলোচনা সভায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশগ্রহন করেন। তাঁরা জাতির পিতাকে কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন এবং উল্লেখ করেন যে, জাতির পিতার দূরদর্শী, সাহসী নেতৃত্বের কারণে বাঙ্গালী জাতি আজ স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে। ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙ্গালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে। তাঁরা শোককে শক্তিতে পরিণত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য কাজ করে যাবেন মর্মে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ইতোপূর্বে সকাল ৭:০০ ঘটিকায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ এবং ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দু’আ ও মোনাজাত পাঠ এর মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচী শুরু হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন। সকলের উপস্থিতিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়।
পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়।
সংযুক্তিঃ অনুষ্ঠানের ছবি।
Related Articles
Junior cricket organised by BAAC
Dear All, Australian summer involves a number sports, but cricket certainly dominates the summer. A good number of kids already
জালাল আসছে ক্যানবেরায়
জালালের গল্প বাংলাদেশের ছবি ৷ এবারের অস্কার প্রতিযোগিতায় মনোনয়ন পেয়েছে এটি ৷ তার মানে অস্কারে ছবিটি দেখানোর জন্য শর্ট লিস্টেড
Interactive session between the Bangladesh State Minister and expatriate Bangladesh Community
Bangladesh High Commission Canberra | Circular This is to inform you all that Advocate Abdul Mannan Khan, MP, Hon’ble State