মেলবোর্নে মায়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত
স্থানীয় সময় গত ১৪ই অক্টোবর (শনিবার) মেলবোর্নের স্টেট লাইব্রেরির সামনে মেলবোর্ন বাংলাদেশী কম্যুনিটি ফাঊণ্ডেশন (এমবিসিএফ) এর উদ্যোগে মায়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের হত্যার প্রতিবাদে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে মেলবোর্ন বাংলাদেশী কম্যুনিটি ফাঊণ্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফেলো মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক বলেন, “বহুবছর ধরে মায়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে অত্যাচার, ধর্ষণ, হত্যা চলছে। সেই অত্যাচার ইদানীং বেড়েই চলেছে এবং রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রাণের ভয়ে তারা পালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, এছাড়া আরও ১০ লক্ষ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার এই অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সহায়তায় রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের জন্যে মায়ানমার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন। আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতি মায়ানমার সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও মায়ানমার সরকারের উপর কুটনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহবান জানাই”।
এরপর মেলবোর্ন বাংলাদেশি কম্যুনিটি ফাঊণ্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রধান উপদেষ্ঠা ড. আলম মাহবুব মায়ানমার আর্মী কর্তৃক রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গনহত্যা ও রোহিঙ্গা জাতী নিধনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এ সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি এ সঙ্কট মোকাবেলায় বংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রসংসা করেন এবং তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও সমর্থন ব্যাক্ত করেন।
অস্ট্রেলিয়া বার্মিজ রোহিঙ্গা অরগানাইজেসনের হাবিবুর রহমান তার বক্তব্যে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি কনসেন্ট্রেসন ক্যাম্পের সাথে তুলনা করে রোহিঙ্গাদের সাহায্যার্থে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেলবোর্ন বাংলাদেশী কম্যুনিটি ফাঊণ্ডেশনের উপদেষ্টা মোঃ মফিযুল ইসলাম, বাংলাদেশী কম্যুনিটির সদস্য ও মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খন্দকার সুফি সালেক এবং মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএচডি গবেষক ইফতি রশিদ।
প্রতিবাদে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেলবোর্ন বাংলাদেশী কম্যুনিটি ফাঊণ্ডেশনের সাধারন সম্পাদক নুরুল হক টিকু, মেলবোর্ন বাংলাদেশী কম্যুনিটি ফাঊণ্ডেশনের কবির হোসেন, মিতা পারভিন, বাংলাদেশী কম্যুনিটির সদস্য সেহেরুন্নেসা রুনা, অনুপ মণ্ডল, শহিদুল ইসলাম, দেবরঞ্জন নন্দী বাধন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশীরা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় অনেক অন্যান্য কম্যুনিটির মানুষদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
সবশেষে মেলবোর্ন বাংলাদেশী কম্যুনিটি ফাঊণ্ডেশনের সভাপতি মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
Related Articles
Observance of the National Mourning Day 2010
Bangladesh High Commission, Canberra | Press Release (16 August 2010) Observance of the National Mourning Day 2010 Bangladesh High Commission
চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার ঈদ পুনর্মিলনী ও বার্ষিক বনভোজন
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ (তারিখঃ ০৮/০৯/২০১৮) চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার ঈদ পুনর্মিলনী ও বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগ