BNP'r Balkilla Rajniti O Sharkarer Tritio Borshe Podarpon
বিএনপির বালখিল্য রাজনীতি ও সরকারের তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ —–
১.
সাউথ অস্ট্রেলিয়া পুলিশের রিক্টুট সংক্রান্ত কোর্সের একটি বিষয় ছিল – কনটেমপ্রোরারী সোস্যাল ইস্যূ । এই কোর্সের ৬টি মূল বিষয়ের একটি ছিল হোমলেসন্যাস বা সোজা বাংলায় যাকে বলে বাস্তুহারা। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত বিষয়টি সিলেক্ট করেছিলাম আমার পেরেজেন্টেশনের জন্যে তা ও মাত্র এক মাসের ও কিছু বেশী সময় হবে ব্যাপারটি । অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের বিরোধী দলের নেত্রী নিজেকে বাস্তুহারা ঘোষণা দিয়ে চারিদিকে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন। আমি কিছুতেই নিজেকে বুঝাতে পারছি না যে, তাহলে বাস্তুহারা বলতে আসলে কি বুঝায় ? আমার নিজের সাথে নিজের শিক্ষা বিষয়ে এখন বড় ধরনের দ্ধন্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে । নিজেকে নিজের কাছে এখন বড় ধরনের বিভ্রান্তিকর ব্যক্তি মনে হয় বা হচ্ছে । তাহলে কি এত দিন বই – পুস্তক ঘেটে বাস্তুহারা বিষয়ের যে জ্ঞান অর্জন করলাম সব কি মিথ্যে , সব কি ভূল ।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ৬ নং শহীদ মইনুল রোডের বাড়ী থেকে নিজের ইচ্ছায় চলে গিয়েছেন অবশ্য ওনার বাড়ী ত্যাগ ব্যাতিত অন্য কোন গত্যন্তর ও ছিল না ; কারন হাইকোর্টের রায়ে ঐ বাড়ীর লিজ বাতিল বৈধ ঘোষনা করা হয়েছে । বাড়ীর লিজ বাতিল ঘোষণার পর ঐ বাড়ীতে খালেদা জিয়ার অবস্থানের আইনগত অধিকার ও খর্বিত হয়েছে এবং এটা ওনি বুঝেই আপনা থেকে ঐ বাড়ী ছেড়ে চলে গিয়েছেন ; এতে খালেদা জিয়ার প্রতি আইনী শ্রদ্ধাবোধ দেখে , ওনার প্রশংসা পাওয়ার বদলে ওনার প্রতি একরাশ ঘৃণা জন্ম নিয়েছে । ওনি বাড়ি ছাড়ার পরপরই অভিযোগ করলেন – সেনাবাহিনীর লোকজন নাকি ওনাকে এককাপড়ে ঐ বাড়ি থেকে জোড় করে তাড়িয়ে দিয়েছেন । অন্যদিকে আইএসপিআরের ভাষ্যে বলা হচ্ছে ওনাকে সেনাবাহিনীর লোকজন এক কাপড়ে ঐ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবার ব্যাপারটি পুরোপুরি মিথ্যে । তাহলে আমাদের কাছে প্রশ্ন হোল কে সত্যি কথা বলছে – খালেদা জিয়া নাকি সেনাবাহিনী ? পরবর্তি ঘটনাবলী থেকে আমাদের খালেদা জিয়ার ভাষ্য সত্য মনে হচ্ছে না , কারন ওনি তারই কিছুদিন পর কূটনীতিবিদ ও অন্যান্যদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত এক সম্বর্থনা অনুষ্টানে বলে বসলেন ওনি নাকি এখন বাস্তুহারা , একথাটা বলে ওনি নিজেকে যেটুকু না সহানুভূতি পাবেন আশা করে ছিলেন , তারচেয়ে বড় কথা হোল ওনি এতে তার দল ও দেশকে খাটো করার চেয়ে নিজের মূর্খতা সবার সামনে সাড়ম্বরে জাহির করলেন ।কারন যার নামে সরকারের বরাদ্দকৃত আরো একটি বাড়ি রয়েছে এবং যিনি বিরোধী দলের প্রধান হিসেবে একটি সরকারি বাড়ি পাওয়ার কথা তারপর ও ওনি কিভাবে এবং কোন তত্ত্বের ভিত্তিতে নিজেকে বাস্তুহারা বলেছেন – এর ব্যাখা আমাদের দেবেন কি ?
ঘটনা ঐ পর্যন্ত হলে ও চলত । কিন্তু তা নয় , ঘটনার রেশ আরো অনেকদূর –। ওনার দল বিএনপি খালেদা জিয়ার বাড়ি ত্যাগের জন্যে ঈদের আগে হরতাল দিয়ে বসলেন , কিন্তু প্রশ্ন হোল রাজনৈতিক দলের কাজ কি জনগণের কল্যাণে কাজ করা নাকি ব্যক্তিস্বার্থে দলকে ব্যাবহার করা ? যদি জনগণের কল্যাণে কাজ করা বুঝায় তাহলে ওনারা কোন আক্কেলে ঈদের ঠিক পূর্ব মূহুর্তে হরতাল আহবান করলেন এবং তা ও আবার নিছক খালেদা জিয়ার বাড়ি ত্যাগের ইস্যূতে । বাংলাদেশের রাজনীতির নষ্ট পুরুষ জনাব মওদুদ আহমেদ এখন বলছেন – ওনারা নাকি হাইকোর্টের রায় মানেন না , এর ফয়সালা নাকি রাজনীতির মাঠে হবে , যদি রাজনীতির মাঠের কথাই ওনারা এখন বলেন ; তাহলে সরকার যখন ঐ বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করলেন তখন ওনারা রাজনীতির পথে না গিয়ে আইনের পথে গেলেন কেন ? এখন রায় ওনাদের বিপক্ষে যাওয়াতে ওনারা কোর্টের রায় মানেন না , কি চমৎকার যুক্তি ! এইসকল নষ্ট লোকগুলোকে রাজনীতি ছাড়া করতে না পারলে দলের ও কিছু হবে না , দেশ ও রসাতলে যাবে । দেশের জন্যে না হউক নিজের দলের জন্যে হলেও বিএনপির উচিত হবে এসকল নষ্টগুলোকে কালবিলম্ব না করে , পারলে আজকেই দল থেকে তাড়াঁনো । তা না হলে বি এনপি এই মওদুদের কথা মত বিচারপতিদের বয়স বাড়ানোর ফাঁদ এটে যেভাবে তত্ত্ববধায়ক সরকারের কনসেপ্টটার বারোটা বাজিয়ে মঈন- ফখরুদ্দিন জাতিয় সরকারদের পথ প্রশস্ত করে বি এনপির আজ এই করুন দশা করিয়েছেন , ঠিক তেমনি আগামীতে বিএনপির জানাজা পরে হাত -মুখ ধোঁয়ে অন্য কোন খেলা খেলেন তা একমাত্র আল্লাহ পাক জানেন ।
তবে বিএনপি তথা জাতির জন্যে সুুখবর হলো অনেকদিন পরে হলেও বিএনপির আপদ ও কুখ্যাত রাজাকার সাকাচৌ এবার জালে আটকা পরেছে , পৃথিবীর কোন শক্তি নেই , এবার তাকে বাঁচানোর । আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারিদের ন্যায্য বিচার । বিচার প্রক্রিয়া অবশ্য ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে । এ বিচার প্রক্রিয়া হউক স্বচ্ছ , নিরপেক্ষ ও আবাধ । এর জন্যে যদি সময় ও নিতে হয় , নেয়া হউক ; তবু ও যেন তাড়াহুড়ো না করা হয় । কারন তাড়াহুড়ো করে একটি বিচার সম্পূর্ণ করলে পুরো বিচার প্রক্রিয়াটিই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পরবে , এতে জাতির উপকারের চেয়ে অপকারই হবে বেশী । যথাযথ বিচারে কেউ যদি নির্দোষ প্রমান করে বেরিয়ে আসতে পারেন , ওনাকে সুু -স্বাগতম । পাশাপাশি আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে , জাতির জনক ও ওনার পরিবারের সদস্য , জাতীয় চারনেতা ও ৭৫য়ে নিহত অন্যান্য সকল সামরিক ও বেসামরিক লোকজনের হত্যার বিচারের আরো ব্যাপক তদন্ত হওয়া উচিত । সেই সাথে সাথে জাতির জনকের হত্যাকারীদের ,যারা এখনো পালিয়ে রয়েছে ; আমাদের নিশ্চিন্ত বিশ্বাস সরকার জানে ঐ সকল কুলাঙ্গগাররা কে কোথায় লুকিয়ে রয়েছে ।আগামী ১৫ই আগষ্টের মধ্যে আমরা চাই সকলকে পাকড়াও করে বিচারের রায় বাস্তবায়ন করা হউক । ঐ সকল কুলাঙ্গগাররা যদি কারোর ছত্রছায়ায় লুকিয়ে ও থাকে তাহলে আমাদের দাবি মার্কিণ বিমান বাহিনী যেভাবে রাত্রের অন্ধকারে পানামার নরিয়েগাকে তার দেশ থেকে তুলে এনেছিল প্রয়োজনে সরকার ঐ পথে এগুক ।
একটি বিষয় যা আমাদের মাথায় ছিল না , তা প্রিয় লেখক ও আমার ও প্রিয় লেখক ফরিদ ভাইয়ের (ডঃ ফরিদ আহমেদ ) অতি সাম্প্রতিক প্রিয় অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত একটি লেখা থেকে আমাদের চিন্তা জগতে ঘোরপাঁক খাচ্ছে তা হোল উনি ৬ নং মইনুল রোডের বাড়িটিকে ১৯৭৫ থেকে শুরু করে অদ্যাবধি সকল অপকর্মের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন , প্রশ্ন হোল আসলে কি তাই ? আমার মনে হয় নবীন গবেষকরা এ বিষয়ে গবেষণা করতে পারেন । আমি নিজে ও ফরিদ ভাইয়ের লেখার সাথে একমত , ৬ নং মইনুল রোডের বাড়িটি সমস্ত অপকর্মের নীরব সাক্ষী ও প্রতীক ।
২.
আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হিসেবে আমরা একটি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শভিত্তিক শক্তিশালী রাজনৈতিক দল চেয়েছিলাম মনে প্রানে , দেশের রাজনীতির স্বার্থে । কিন্তু আজ এতকাল পর জাতি দেখতে পাচ্ছে বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধের দল ভেবে জাতি কি ভূলটাইনা করেছে । বিএনপিতে যারা সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন তারা এখন নীরবে শুধু কাদেঁন , তাদের ভ্রমের কারনে । কারন বিএনপি ক্রমে ক্রমে নিজের আত্মপরিচয় খোলাসা করছে । এটা যে মুক্তিযোদ্ধার লেবাসে পরাজিতদের প্লাটফর্ম জাতি এখন তা সূর্যের আলোর মত অবলোকন করছে । সত্যের সাথে যেমন মিথ্যের মিলন হয় না , আলোর সাথে যেমন আঁধারের । ঠিক তেমনি মুক্তিযোদ্ধার , যুদ্ধের নীতি আদর্শের সাথে পাকি – জামাতিদের কোন আপোষ হতে পারে না । যারা আপোষের চেষ্ঠা করেন তারা হয় ভন্ড মুক্তিযোদ্ধা , না হয় পরাজিতদের দালাল বৈ অন্য কিছু নয় । যারা জাতির জনকের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেন , মুক্তিযুদ্ধের লেবাস গায়ে জড়িয়ে যুদ্ধের বিরোধীদের পুর্ণবাসিত করেন এবং ক্ষমতার হালুয়া রুটি খাওয়ান ওনাদের আর যাই হউক সঠিকমনের রাজনৈতিক দল বলা যাবে না , মুক্তিযোদ্ধার দল তা ত অনেক দূর —। অবৈধভাবে ক্ষমতা ও রাজনৈতিক দল গঠন করে , দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থেকে ও যারা আজ সঠিক রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা দিতে পারছে না , তাদের জন্যে সত্যিই করুনা ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই । কারন সত্য হোল সর্বগ্রাসী অগ্নি , এটাকে সাময়িক চাপা দেয়া গেলেও পুরোপুরি ধ্বংস সম্ভব নয় , করা যায় না । অবৈধভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যূত করা গেলেও যারা সঠিক ও ন্যায়ের রাজনীতি করে তাদের জয় যে অবশ্যাম্ভাবী , আওয়ামী লীগ হোল তার জ্বলন্ত প্রমান । জয় হউক সত্যের , জয় হউক বাংলার খেঁটে খাওয়া নিপীড়িত মানুষের ।
অল্পকিছুদিনের মধ্যেই বর্তমান ক্ষমতাসীন মহাজোট তাদের ক্ষমতার দুই বৎসর অতিক্রম করতে যাচ্ছে । ওনাদের আগাম শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ , ওনাদের সঠিক নেতৃত্বের জন্যে , জাতিকে শত ষড়যন্ত্রের ম,ধ্যে ও সঠিক দিক নির্দেশনার জন্যে । সরকার অনেক ভাল ভাল কাজ করেছে গত দুই বৎসরে এটা যেমন সত্য , ঠিক তেমনি জাতির প্রত্যাশার অনেক কিছুই এখন ও পূর্ণ হয়নি এটা ও সত্য । তবে এর জন্যে সরকারের ঢালাও সমালোচনা না করে সরকারকে সাহায্য করা উচিত ; সমর্থন দেয়া উচিত । আমাদের মনে রাখতে হবে উন্নয়নের অপর নাম হোল সময় । উন্নয়নের সাথে সময়ের সম্পর্ক । উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে হলে আমাদেরকে সময় দিতে হবে , এর কোন বিকল্প নেই এবং সংক্ষিপ্ত পথ ও নেই । যে জিনিসটা দরকার তাহলো আমাদের দেখতে হবে সরকার আন্তরিক কিনা , সঠিক পথে এগোচ্ছে কিনা , নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নয় । কৃষি থেকে শুরু করে শিক্ষা , বাণিজ্য , বিদ্যুৎ , পররাষ্ট্র সর্বক্ষেত্রে কিন্তু সরকারের আন্তরিকতা চোখে পড়বার মত , তবে ব্যাপারটা হোল আমরা চাচ্ছি দ্রুত , কিন্তু এটা কি ম্যাজিকের মত সম্ভব ? নাকি হয় ?
সরকারের অনেক দুর্বলতা থাকলে ও আমাদের উচিত হবে সরকারকে সঠিক পথে রাখা , যাতে কোনভাবেই গণতন্ত্রের আগ্রযাত্রা ব্যাহত না হয় । কারন গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হলে জাতির কি দশা হয় তা অতি নিকটে ১/১১ জাতি অবলোকন করেছে । ১ / ১১ জাতিয় ব্যাপার উচিত নয় এবং কাম্য ও নয় । কারন এতে লুটপাটের নতুন নতুন দরজা জানালা খুলে মাত্র , জাতির অগ্রগতি তা ত অনেক দূর –। যারা ১ / ১১ জাতিয় কথাবার্তা বলে তারা আর যাই হউক জাতির কল্যান চায় না , তারা চায় তাদের ও গুটিকতক লোকের উন্নতি , ক্ষমতা , জনগণের নয় । গত ১/১১ য়ের সময়ে বারী , মাসুুদ জাতিয় প্রাণীকূলদের যে সকল রথী- মহারথীরা নেপথ্যে ও আইনী পরামর্শ দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ওনাদের আমরা চিনি এবং জানি । ডঃ কামাল হোসেন জাতিয় ঐ সকল রথী -মহারথীরা আবার ও আমাদের হুমকি দেয় ১ / ১১ য়ের , তবে জাতিকে ঐ সকল রথী – মহারথীদের সম্পর্কে সজাগ থাকার পাশাপাশি শুধু এইটুকু বলব ন্যাড়া দ্বিতীয় বার বেল তলায় যায় না ।
৩.
বর্তমান সরকার প্রধান ও মহাজোটের নেত্রী শেখ হাসিনাকে অগ্রিম শুভেচ্ছা ওনার সরকারের আসন্ন দুই বৎসর পূর্তিতে । শেখ হাসিনা যে অসীম দূরদর্শিতা ও সাহসিকতার সাথে দেশ পরিচালনা করছেন তার জন্যে ওনাকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা আমাদের মত নিরীহ ও প্রবাসে বসবাসরত লক্ষ লক্ষ খেঁটে খাওয়া মানুষের পক্ষ থেকে । আমরা সকলে আর কিছু পারি বা না পারি মন খুলে আল্লার কাছে দোয়া করছি ওনার সুুস্বাস্থ্যের ও সঠিক নেতৃত্বের জন্যে । আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেেেশ সঠিক ও মুক্তবুদ্ধির রাজনীতির চর্চার শেখ হাসিনাই হলেন সর্বশেষ ভরসা । বাংলাদেশ তথা বর্তমান পুরো বাংগালী জাতির অভিভাবক ও ভরসার শেষ আশ্রয়স্থলটি হলেন শেখ হাসিনা (ভারত উপমহাদেশে একক বৃহত্তর জাতি হলো বাংগালীরা প্রায় ২৫কোটির ও উপরে , পাকিস্তান ও ভারতসহ পাঞ্জাবীরা হলেন প্রায় ১৫কোটি , গুজরাটিরা হলেন প্রায় ৫কোটি , শ্রীলংকা ও ভারত সহ তামিলরা হলেন প্রায় ৭কোটি , রাজপুতরা হলেন প্রায় ৫ কোটি ভারত মহাদেশের অন্যান্য জাতি সমূহের হিসেব আর এখানে দিলাম না কারন সংখ্যা বিচারে কেউই আমাদের চেয়ে বেশী নন )। আসুুন আমরা সকলে জাতির জনকের স্বপ্ন ও সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় যার যার অবস্থানে থেকে সরকারের ভাল কাজের প্রশংসা ও দৃষ্টিকটূ কাজের সমালোচনা করে সরকারকে তার আরাধ্য লক্ষ্যে পৌঁছুবার পথে আমাদের সাহায্যের হাত বাঁড়িয়ে দেই ।
সরকারের দুই বৎসর পূর্তির এই লগ্নে শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে আমাদের অনুরোধ দেশ ও জাতির বৃহৎত্তর স্বার্থে এবার কঠোর হউন ,যেখানে মানবিকতা দেখানোর দরকার সেখানে ১১০% মানবিকতা দেখান , যেখানে কঠোর হওয়া দরকার সেখানে জিরো টলারেন্স প্রদর্শণ করুন ।এই জাতির ললাটে ১৯৭৫য়ের পর থেকে ক্রমান্বায়ে জমে উঠা ক্লেথ , অনাচার , অভিচার ,দূর্ণীতির বিষবৃক্ষকে সমুলে উৎপাঠিত করবার সমস্ত শক্তি নিয়োগ করুন । কারন আপনি ছাড়া এই মূহুর্তে এই জাতির আর কোন কান্ডারি নেই , আপনি আমাদের একমাত্র ভরসা এবং সর্বশেষ আশ্রয়স্থল ।ইতিহাস বলে রাষ্ট্রনায়কদের সঠিক সিদ্ধান্ত যেমন জাতি তথা দেশকে শত শত বৎসর এগিয়ে নিয়ে যায় , ঠিক তেমনি তাদের এতটুকু ভূল জাতিকে শত শত বৎসর পিছিয়ে ও নিয়ে যায় । প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই রাষ্ট্র পরিচালনা কোন চ্যারিটি সংস্থা বা বাবসা প্রতিষ্ঠরান পরিচালনা নয় । অনেক ব্যাপক এবং বড় একটা ব্যাপার , প্রয়োজনে এখানে যেমন কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হয় , ঠিক তেমনি মানবিকতার পুরোটাই প্রয়োজনে ঢেলে দিতে হয় ; লাভ – ক্ষতি এখানে বিবেচ্য বিষয় নয় । আমরা এও জানি যে পৃথিবীর সমস্ত বড় কাজে কখনো মৃত্যু ভয় ছিল না এবং থাকতে নেই ।মৃৃত্যুকে ভয় করলে হবে না , কারন মানুষের জন্মই হয়েছে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্যে , জীবনের সহজ ও সরল সত্যটির নাম হলো মৃত্যু , আর সবচেয়ে কঠিন ব্যাপারটি হলো বেঁচে থাকা ।
বাংগালী জাতির জয় অবশ্যাম্ভাবী কারন এ জাতি পরাজয় জানে না , এজাতি জয়ী হয়েছে ভাষার লড়াইয়ে , এ জাতি জয়ী হয়েছে মুক্তির লড়াইয়ে , এ জাতি বার বার জয়ী হয় বন্যায় , খড়ায় , গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় , নোবেল পুরস্কার ছিনিয়ে আনে সাহিত্যে , অর্থনীতিতে ,দারিদ্র দূরীকরণের মডেল প্রতিষ্ঠায় । অতএব ভিশন ২০২১ প্রতিষ্ঠায় এ জাতি জয়ী হবেই , হবে ইনশাল্লাহ ——-।
সর্বশেষ আমার প্রিয় পাঠকরা যারা এতক্ষণ ওনাদের মূল্যাবান সময় ব্যয় করে লেখাটি পড়েছেন , ওনাদেরকে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও আভিনন্দন , সেই সাথে সাথে সকলকে ইংরেজী (খ্রীঃ )নববর্ষের শুভেচ্ছা , যে যেখানে থাকুন ভাল থাকুন , সুুস্থ্য থাকুন । এই কামনায় ———।
লেখক :-
আরশাদ হোসেন ভূঁইয়া ।
এডেলেইড , অস্ট্রেলিয়া –
১৮ ই ডিসেম্বর ২০১০