‘বাদল-দিনে’ – মাথানষ্ট পর্ব ১ – কে তুমি ব্যাকুল করো হায়

‘বাদল-দিনে’ – মাথানষ্ট পর্ব ১ – কে তুমি ব্যাকুল করো হায়

আজ এই শ্রাবণ হাওয়ায় – কোন ধরণের সংগীত জ্ঞান ছাড়াই ভারতীয় উপমহাদেশের লাইট ক্লাসিকাল, ক্লাসিকাল গানের ভক্ত আমি। সেই ছোট বেলা থেকেই। শুনতে ভালো লাগে – তাই শুনি।

বিখ্যাত ক্লাসিক্যাল সংগীত গুরু পণ্ডিত তুষার দত্তের কথা প্রথম শুনেছিলাম রবিন (গুডা) দা’র কাছে। তারপর নেট ঘেটে তাঁর অনেকগুলি ক্লাসিকাল গান শোনার সুযোগ হয়েছিল। অপূর্ব! এক কথায় অপূর্ব তাঁর কণ্ঠ, অপূর্ব তাঁর গায়কী!! তুষার দত্ত, হি ইজ “দা” ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল ভোকাল।

Jalsha Studio থেকে ‘বাদল-দিনে’ বর্ষা ভিত্তিক অ্যালবামটির প্রথম গানটি যেদিন প্রকাশিত হলো – সত্যি বলতে, গানটির নেশায় পড়ে গিয়েছিলামI মনে হয় শতবার শুনেছি। এই এক এমন গান – মনে হবে – “কেন আরো ঝরো না হায়”। পণ্ডিত তুষার দত্তের কণ্ঠে সূক্ষ সুক্ষ কাজগুলি বেশ শ্রুতিমধুর, বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠে প্রতিবার। বার বার শুনতে মন চাইবে। গান প্রিয় শ্রোতাদের এই নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি।

গানটিতে সুর দিয়েছেন প্রিয় বন্ধু রবিন গুডা’। তাঁর সুর সম্পর্কে বেশি কিছু বলার নেই। পরিচিতরা তাঁর সৃষ্টিশীলতা সম্পর্কে ভালো ভাবেই জানেন। তবে এই টুকু বলতে পারি – তিঁনি শুধু এই গানের কথাগুলিকে সঠিক মূল্যায়নই করেননি, অপূর্ব দক্ষতায় সাথে তাঁর সুরের জাদুর ছোঁয়ায় ছুঁইয়েও দিয়েছেন। অদ্ভুত এক নেশা দেয়া আছে গানের পরতে পরতে।

রবিন তাঁর এই কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন – এই সুর, এই সঙ্গীত আয়োজন তাকে বাঁচিয়ে রাখবে সঙ্গীত দুনিয়াতে।

গানটির গীতিকার তুষার রায় I আমাদের তুষার রায়। আমাদের কবি তুষার রায়। একজন কবি যখন গান লিখেন – তখন – সেই গান তার ভিন্ন মাত্রা পেয়ে যায়। তেমনই হয়েছে “আজ এই শ্রাবণ হাওয়ায়” গানটিতে। দূরে মল্লারে কে যেন গায় – কে তুমি ব্যাকুল করো হায় – আসবে বলে রাখ ভরসায়! কবি তুষার রায় এর কাছ থেকে আরো আরো গান আসবে, আরো আরো গানের “ভরসায়” থাকলাম।

গানের লিংক: https://youtu.be/QK5A7XZi7xc
রেটিং: ৯/১০

Shahadat Manik

Shahadat Manik

Writer, poet, lyricist and social activist.


Place your ads here!

Related Articles

গুড মর্নিং বাংলাদেশ আয়োজিত বিগেস্ট মর্নিং এর সফল সমাপ্তি

আজাদ আলম: আমরাই পারি। ঝড় বাদল হোক, কনকনে শীত হোক বা সকাল দশটা না হতেই প্রখর রোদের তেজ হোক আমরাই

আমার মায়ের সাতটি মিথ্যা কথা

গল্পের শুরুটা ছিল শৈশব দিয়ে। যখন আমি ছোট.. দরিদ্রতার মধ্যে আমাদের বসবাস… পর্যাপ্ত খাওয়া জুটছিল না। যখন কিছু খাদ্যের সংস্থান

রক্তাক্ত জনপদ ও চরমপন্থীদের আত্মসমর্পন

ফজলুল বারী: দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থীদের নিয়ে কুড়ি বছর আগে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ শিরোনামে আমার  একটি সিরিজ রিপোর্ট জনকন্ঠে ধারাবাহিক ছাপা

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment