Few important Hadid about Qurbani
কুরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কিছু হাদিস
কুরবানী ও ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন
তোমার প্রতি পালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কুরবানী কর (সূরা কাওসার-২)
আর আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ পালন করা ওয়াজিব।
রাসূলে করীম (স:) বলেছেন
“যে ব্যক্তি সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কোরবানী করেনা সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারে না আসে ”
(ইবনে মাযাহ-৩১২৩)
লোক কুরবানী করতে ইচ্ছা করে সে যেন যিলহজ্ব মাসের প্রথম জন্মদিন চুল, নখ না কাটে
হযরত উম্মু সালমা (রা:) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (স:) বলেছেন যাহার কাছে কুরবানীর পশু থাকিবে এবং সে তাহাকে কুরবানী যিলহজ্জ্ব মাসের প্রথম ১০ দিন আসলে তোমাদের কে কুরবানী করার মনস্থ করলে যে যেন চুল এবং নখের কিছু স্পর্শ না করে।
(মুসলিম ৪৯৫৬)
(দাউদ শরীফ-২৭৮২)
(ইবনে মাসাহ-৩১৪৯)
কুরবানীর জন্তুর বয়স কত হইবে সম্পর্কে
হযরত জাবির (রা:) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল (স:) বলেছেন তোমরা মুসিন্নাত (১ বছরের বয়সের পশু) ছাড়া যাবাই কর না। কিন্তু তা সংগ্রহ করা যদি তোমাদের জন্য কষ্ট সাধ্য হয় তবে ছয় মাস বয়সের মেষ ভেড়া জবাই কর (ইবনে মাজাহ-৩১৫১, আবু দাউদ-২৭৮৮) [মুসলিম-৪৯২৩]
কুরবানীর অনুপোগী জন্তু প্রসঙ্গে
বারা ইবন আযিব (র:) হতে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল (সা:) ৪টি আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে বলেছেণ চার ধরনের পশু কুরবানী করা যায়েজ নয়, যথা- ১) স্পষ্ট কানা, ২) অসুস্থ বা রোগগ্রস্থ যা স্পষ্ট বুঝা যায় ৩) লেংড়া যাহা বাহ্যত দেখা যায় ৪) এত দুর্বল যে হাড্ডি বাহির হয়ে গেছে (আবু দাউদ-২৭৯৩) (ইবনে মাযাহা-৩১৪৪)
কেউ কুরবানীর জন্য উত্তম পশু ক্রয় করন (অত:পর) এর খুতি হলো
হযরত আবু সাইদ খুদরী (রা:) হতে বর্ণিত আমরা কুরবানীর উদ্দেশ্যে ১টি মেষ খরিদ করলাম। অত:পর নেকড়ে বাঘ তা নিতন্ত অথবা কান কেটে নিয়ে গেল। আমরা নবী (সা:) এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞসা করলে তিনি আমাদেরকে তা কুরবানী করার নির্দেশ দিলেন (ইবনে মাজাহ-৩১৪৬)
কুরবানীর ওয়াক্ত বা সময়
হযরত বারা (রা:) হতে বর্ণিত নবী করীম (সা:) বলেছেন, এ দিনে আমরা সর্ব প্রথম যে কাজটি করব তা হলো নামায আদায় করব। অত:পর ফিরে এসে কুরবানী করব। যে ব্যক্তি এভাডযতো আদায় করে সে আমাদের নিয়মনীতি অনুসরন করলো। আর যে আগ যবেহ করল সে তার পরিবারবর্গের জন্য গোলনের ব্যবস্থা করল। এটি কিছুতেই কুরবানী বলে গন্য হবে না।
কুরবানীর সময় শেষ হয় যিলহজ্জ্ব মাসের তেরো তারিখের সূর্যাস্তের সাথে সাথে। অতএব কোরবানীর পশুর জবেহ করার সময় হলো ৪দিন। যিলহজ্জ্ব মাসের দশ, এগারো, বার ও তেরো তারিখ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন-
যাতে তারা তাদের কল্যানের পর্যন্ত পৌঁছে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরন করে। তাঁর দেয় চতুসন্নাদ জন্তু জবেহ করার সময় (সূর হজ্জ্ব-২৮)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বোখারী রহ: বলেন: ইবনে আব্বাস (রা:) বলেছেন এ আয়াতে নির্দিষ্ট দিনগুলো বলতৈ বুঝায় কোরবানীর দিন ও তার পরবর্তী তিন দিন।
(ফাতাহুন বারী, ২য় খন্ড, পৃ:৫৬১)
উট ও গরুতে কতজন শরীক হওয়া যায়
ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত আমরা এক সফরে আল্লাহর রাসূল (সা:) এর সাথে ছিলাম। ইতিমধ্যে কুরবানীর ঈদ উপস্থিতি হলো, আমরা ১টি উটে দশজন এবং ১টি গরুতে ৭জন শরীক হয়ে কুরবানী করি।
(ইবনে মাজাহ-৩১৩১)
হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা:) থেকে বর্ণিত আমরা আল্লাহর রাসূল (সা:) এর যুগে হজ্জ্বে তামাওু আদায় করতাম এবং ১টি গাভী কুরবানীতে সাতজন শামিল হতাম এবং আমরা উট কুরবানীতেও সাত ব্যক্তি শামিল হতাম।
(আবু দাউদ-২৭৯৮)
উপরোক্ত হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ আলেমগন অংশীদারীর ভিত্তিতে কোরবানী করা যায়েজ বলে মত দিয়েছেন। তবে উপরোক্ত হাদীসে সফর অবস্থায় অংশীদারী কোরবানী করার কথা বলা হয়েছে। সফর ভিন্ন অন্য কোন সময় নবী (স:) অংশীদারির ভিতিত্তে কুরবানী করেননি।
কাজেই এর পরিপ্রেক্ষিতে আলেমদের ভিন্ন মতও রয়েছে।
কুরবানীর গোশত সঞ্চয় করে রাখা
সালাম ইবনে তাকওয়া (র:) বলেন হুজুরে পাক (স:) ইরশাদ করেছেন তোমাদের মধ্যে কুরবানী কারী ব্যক্তি যেন তৃতীয় রাতের পর তাহার গৃহে কুরবানীর কিছু জমা না রাখে। ইহার পরবর্তী বৎসর লোকন বলিল ইহা রাসূল্লাহ (সা:) আমরা কি গত বৎসরের ন্যায়ই করিব? তিনি বলিলেন না। সেই বৎসর তো মানুষ খুবই দুর্দাশাগ্রস্থ ছিল। তাই আমার উদ্দেশ্যে ছিল প্রত্যেকের নিকট গোশত পৌঁছে যায়। (মুসলিম-৪৯৪৯)
হযরত আয়শা (রা:) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল দুর্ভিক্ষজনিত কারনে লোকদেরকে কুরবানীর গোশত জমা করে রাখতে বারন করেছিলেন এবং (পরে আবার জমা করে রাখার অনুমতি দেন) (ইবনে মাজাহ-৩৫৯ বুখারী-৫১৭২)
কুরবানীর পশুর উপর দয়া করা প্রসঙ্গে
হযরত শদ্দাত ইবন আওস (রা:) থেকে বর্ণিত যে নবী (স:) বলেছেন
“আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সকল বিষয়ে সকলের সাথে সুন্দর ও কল্যানকর আচরনের নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব তোমরা যখন হত্যা করবে আর যখন জবেহ করবে তখনও তা উত্তমরূপে করবে। তোমাদের উচিঃ হবে যবাইর সময় ছুরিকে ধারাল করা এবং কুরবানীর পশুকে আরাম দেয়া।
(আবু দাউদ-২৮০৫)