দেশে প্রথমবারের মতো ৩ ইঞ্চি ফুটো করে এমআইসিএস পদ্ধতিতে হার্টের ডাবল ভাল্ব প্রতিস্থাপন
( Original Source : বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ)
দেশে প্রথমবারের মতো মাত্র ২-৩ ইঞ্চি ফুটো করে MICS পদ্ধতিতে হার্টের ডাবল ভাল্ব প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করেছেন একদল তরুণ চিকিৎসক। গত মঙ্গলবার (২৫ মে) হাসিনা বেগম নামে ৩০ বছর বয়সী এক নারীর দেহে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আশ্রাফুল হক সিয়ামের অধীনে এই সফল অস্ত্রোপচার করা হয়।
রোগীর সাথে ডা. আশ্রাফুল হক সিয়াম
ই অপারেশনে প্রায় ৮-১০ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন এবং ৪-৫ ঘণ্টায় তা সফলতার সাথে শেষ হয়। এই ডাবল ভাল্ব অপারেশন হার্টের অত্যন্ত জটিল অপারেশন এবং এই MICS পদ্ধতিতে মাত্র ২-৩ ইঞ্চি ফুটো করে ভাল্ব প্রতিস্থাপন সারা বিশ্বেই অত্যন্ত বিরল।
ডা. সিয়াম বলেন, সারা বিশ্বে মাত্র কয়েকটি হাসপাতালে এই ধরনের আধুনিক পদ্ধতিতে এই অপারেশন হয়ে থাকে। আজ আমরাও সেই মাইলস্টোনে পা দিতে পেরেছি এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পেরেছি। এখন আর বিদেশে নয়, বিদেশিরাই আমাদের দেশে হার্টের চিকিৎসা নিতে আসবে ইনশাআল্লাহ।
সারা বিশ্বেই চিকিৎসা বিজ্ঞান এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট MICS পদ্ধতিতে সরকারিভাবে প্রথম হার্টের ফুটো অপারেশনের মাধ্যমে পথচলা শুরু করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে ও সহযোগিতায় আজ আমরা দেশে প্রথমবারের মতো MICS পদ্ধতিতে মাত্র ২-৩ ইঞ্চি ফুটো করে ডাবল ভাল্বের মতো জটিল অপারেশন করতে পেরেছি। তাই তার কাছে কৃতজ্ঞতা এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যেন এই দেশে ভবিষ্যতে হার্টের ট্রান্সপ্লান্ট শুরু করতে পারি। এই অপারেশনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
কার্ডিয়াক সার্জনস সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ফারুক আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রথম অপারেশনের জন্য ডা. সিয়ামকে অভিনন্দন জানাই।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীর জামালউদ্দিন বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে আমরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এই ধরনের কসমেটিক সার্জারি শুরু করতে পেরেছি। এই পদ্ধতিতে অপারেশনের সুবিধা হলো রোগীর রক্তক্ষরণ কম হয়, ব্যথা কম অনুভব হয় ও দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি যেতে পারেন।
তার এই অপারেশনে অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অনেস্থেটিকস্ হিসেবে অধ্যাপক ডাঃ শাহনাজ, সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাম, সহকারী অধ্যাপক ডা. রোমেনা রহমান, ডা. আসিফ আহসান চৌধুরী, ডা. ইমরান, ডা. মন্জুর, ডা. ওয়াহিদা, ডা. রুবাইয়াত ও ডা. সৌরভ।
___________________________________________________________________________________________________________________
বাংলাদেশের চিকিৎসা ও একজনের অভিজ্ঞতা:
সংবাদটি ২৯মে, ২০২১ পড়ে মনটা ভাল হয়ে গেল। দেশ ছেড়ে বহুদূরে তবু দেশের ভাল কিছু শুনলে মন ভাল হয়, গর্ব হয়। আমি সে দলে নই যারা মনে করেন দেশ পিছিয়ে আছে, পঁচে গেছে, দূর্নীতিতে ডুবে আছে কোন আশা নাই ওই দেশের। ভালমন্দ সব মিলিয়েই তো দেশ। ভালও হচ্ছে কিছু তা জানতে ও জানাতে ইচ্ছে করে।
‘এখন আর বিদেশে নয় বিদেশীরাই চিকিৎসা হার্টের চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশে আসবে, ইন শাহ আল্লাহ’ কথাটা শুনে গর্ব হল খুব। এই খবরের সাথে প্রাসঙ্গিক একটি ব্যক্তিগত বিষয় তুলে ধরছি। বেশ কয়েক বছর আগের কথা। আমার বড় ভাইয়ের হার্টের সমস্যা নিয়ে ঢাকায় ডাক্তার দেখানো হল। ঢাকায় এই রোগ সংক্রান্ত সব রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ডাক্তারা যে মতামত দিলেন তা সঙ্গে নিয়ে ভাই গেলেন সিংগাপুর ডাক্তার দেখাতে। তার সঙ্গী হলেন অন্য দুই ভাইবোন। আবার সিংগাপুরেও ডাক্তাররা ওইসব একই রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করালেন। পরীক্ষার ফলাফল আসলো একই। এবং দুই দেশের ডাক্তাররা একই চিকিৎসার পরামর্শ দিলেন।
ভাই কাগজপত্রসব গুছিয়ে নিয়ে দেশে ফিরে এলেন। পরামর্শ ছিল যে প্রথম তারা বেলুনিং করে হার্ট মেরামত বা ভাল করার চেষ্টা করবেন। এতে কাজ নাহলে ওপেন হার্ট সার্জারীর পন্থা নেবেন। আমার বড়ভাই ঠান্ডা মাথায় ঢাকায়ই হার্টের চিকিৎসা করাবেন বলে ঠিক করলেন। এমনকি যখন তার অফিস তার সিংগাপুরের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে বলে জানালো তখনও তিনি তা বীনিত ভাবে প্রত্যাখান করে ঢাকায় চিকিৎসা করাবেন বলেই দৃঢ় রইলেন। ভাইয়ের কথা ‘আমার বাংলাদেশের ডাক্তাররা ডায়াগনোসিস যখন ঠিক করতে পেরেছে, চিকিৎসাও তারা করতে পারবে ইন শাহ আল্লাহ’।
ঢাকায় যেদিন ল্যাব এইডে দেশের ডাক্তারদের উপর গভীর প্রত্যয়ী আমার অত্যন্ত ভাল মানুষ ভাইটার হার্ট প্রসিডিউর শুরু হল পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা তার আপনজন আমরা জায়নামাজে বসে তার জন্য দোয়া ও তার বোকার মত সিদ্ধান্তের(ঢাকায় হার্ট অপারেশন!) জন্য আল্লাহর কাছে পানা চাইছিলাম। প্রায় দশ বারো বছর আগে বেলুনিং করে যখন কিছুই করা গেল না তখন তার ওপেন হার্ট সার্জারীই করা হয়েছিল এবং আমার ভাই বাংলাদেশে আজও ভাল আছেন, বেঁচে আছেন!
Related Articles
War Criminals: Trial
On 29th January 2009, Bangladesh Parliament adopted a resolution to try war criminals. On 25th March, the government decided to
Why Musharraf had to resign?
In a televised address on 18th August at 1 PM, President Musharraf told the nation that he would resign. After
Bangladesh-Australia Association Canberra Inc. Welcomes Bangla New Year 1417 at the Canberra Islamic Center
1. With tremendous enthusiasm, fanfare & vigour and a record turn-out of over 1000 (total) participants comprising inter-state participants from