বিএনপি রোপনকৃত রাজনীতির বিষবৃক্ষ জঙ্গিবাদ উদপাদনের কারখানা – হাসানুল হক ইনু
বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বর্তমান সম্মানিত সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনীতির বিষবৃক্ষ বিএনপি রোপন করেছে। সেই বিষবৃক্ষ জঙ্গিবাদ উদপাদনের কারখানা।’ ‘ধর্ম ভিত্তিক মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের অর্থনীতি : শোভন সমাজের অশোভন প্রতিপক্ষ’ শিরোনামে বাংলাদেশ ইকোনোমিক এসোসিয়েশন (বি,ই,এ)-এর অনলাইন ভিত্তিক আলোচনায় (ওয়েবিনারে) অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
ওয়েবিনারে প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশের বর্তমান বিপর্যয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনীতির বিষবৃক্ষ বিএনপি রোপন করেছে। সেই বিষবৃক্ষ জঙ্গিবাদ উদপাদনের কারখানা। হেফাজত, জঙ্গী, জামাত সবকিছু ধ্বংসের পর বাংলাদেশে যদি বিএনপি থাকে তবে আবার জামাত তৈরী হবে, নব্য রাজাকার তৈরী হবে। বি,ই,এ- এর সেই ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বাংলাদেশে ধর্ম ব্যবসা শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান মনেপ্রাণে ছিলেন পাকিস্তানপন্থী।
বাংলাদেশে পশ্চাৎপদ চিন্তার প্রভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, ভারতে ৭০ বছর গণতন্ত্রের চর্চার পরে সেখানে সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ত্ববাদ আরএসএস এর উত্থান হচ্ছে। আধুনিক ইরানে চলছে খোমেনীবাদ। সুতরাং শুধুমাত্র পেটে ভাত দিলেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে দাঁড়িয়ে যাবে একথাটা ঠিক না। পশ্চাৎপদ চিন্তা পিছনের দিকে নিয়ে যায় ।পশ্চাৎপদ চিন্তায় ডুবে থাকলে সেই সমাজ যেকোন সময় যেকোন দিকে ঝুঁকতে পারে। আধুনিক বাঙালিয়ানার চর্চা, অসাম্প্রদায়িক চর্চা এবং লোকসংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে বাঙালিকে পরিচয় সংকট থেকে যদি বের করা না যায় তাহলে বাঙালি হিন্দু সাম্প্রদায়িকতায় আর মুসলমান সাম্প্রদায়িকতায় ডুবে যাবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় বিএনপি, আওয়ামীলীগ এমনকি বামপন্থী যাঁরা – তারাও কিন্তু ভোট পাবার আশায় মাথায় একটা টুপি দিয়ে মসজিদে ঢুকে পরেন। তাই জামাতকে খালি বোকলে হবে না। বাংলাদেশে
মৌলবাদের ভবিষ্যত পরিণতি কি এমন এক প্রশ্নের উত্তরে হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশে বাঙ্গালিত্বটা আছে। একুশে ফেব্রুয়ারিতে, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে এবং পয়েলা বৈশাখের মেলাতে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশের ঘটনা থেকে তার বিশ্বাস বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক মৌলবাদ কখনও জনগণের সমর্থন পায় নি, পাবে না। তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম হচ্ছে জামাতি ইসলামের আরেকটা অঙ্গ সংগঠন। হেফাজতে ইসলামের কিংবা জামাতে ইসলামের সমাবেশ খেয়াল করলে দেখা যাবে মাদ্রাসার ছেলেরা ছাড়া তাদের সমাবেশে সাধারণ জনগণ যায় না। সুতারং, এই রাজনৈতিক মোল্লারা ইসলামের যেহেতু প্রতিনিধি না তাই এদেরকে ফাঁসি দিলে কোনো অসুবিধা নাই। তিনি বলেন, হেফাজতি ইসলাম নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার হুমকি দিচ্ছে।
বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানো এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙ্গা রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের হুমকির অপরাধে হেফাজতের বিরুদ্ধে দুটি মামলাতে অভিযুক্ত করে তাদের সাজা দেওয়া হলে বাংলাদেশে মৌলবাদ ধ্বংস হয়ে যাবে। সুতরাং এদের ভবিষ্যৎ পরিণতি হচ্ছে ধ্বংস।
Related Articles
আবুল বাজানদারের চিকিৎসা সংগ্রাম
ফজলুল বারী: একাত্তর টিভির একাত্তর জার্নালে শুক্রবার রাতে বৃক্ষ মানব আবুল বাজানদারকে আবার নিয়ে আসা হয়েছিল। এরজন্য প্রিয় ফারজানা রূপা
Hilary Clinton’s visit to India Not in Bangladesh
Secretary of State Hillary Clinton’s choice of India for a visit of three days (17-19 July) in South Asia implies
মিয়ানমারের গণহত্যা : অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনী
‘ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশন ’‘ব্রুটালিটি এগেইনস্ট হিউম্যানিটি’ শিরোনামে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের উইন্ডহ্যাম পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে ৬ জানুয়ারী ২০১৮ এই বিশেষ প্রদর্শনীর