পরবাসীর মন
১৪ বছর আগে কোনো এক মন খারাপ করা ঘোলাটে সন্ধ্যায় সিংগাপুর এয়ারলাইন্সের প্লেনটি অবতরন করেছিল অজনা অচেনা সিডনি এয়ারপোর্টে।ঢাকা টু সিডনি সারা উড্ডয়ন সময় ভেজা চোখে বুকভাঙা কস্ট চেপে বসে ছিলাম।কিছুতেই যেন কস্টের চাপ কমাতে পারছিলাম না।এয়ারপোর্টে ছোট ভাইয়ের কান্না,নিজের দেশ আর পরিচিত সব প্রিয় মুখ গুলো বার বার ভেসে উঠছিল।আমার ইচ্ছায় আমি এই দেশে আসিনি।ইচ্ছের পুরোটাই মান্নুর ছিলো।আর ছিল সমাজের চাপ।সেই চাপেই সেও কিছুটা বাধ্য হয়েছিল।
সেন্টার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এসেছিলাম।মনে মনে ভেবেছিলাম লেখাপড়া শেষ করেই ফিরে যাবো।আমার কর্মক্ষেত্র থেকে শিক্ষাকালীন ছুটিও পেয়েছিলাম।কিন্তু কে জানতো আসলে দেশে ছাড়া মানে “ওয়ান ওয়ে জার্নি”।আর ফেরা হয় না ,নাকি ফেরা যায় না।কয়েকবার চেস্টা করেছি ফিরে যাবার।ফিরতে পারিনি।
পড়ালেখা শেষ করে এই ১৪ বছরে অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশানের বহু নিয়ম নীতির উত্থান পতনের চড়াইউৎড়াই পাড়ি দিয়ে এই দেশের ভালোমন্দ কত কিছু দেখে,শিখে,সয়ে আজ এখানে এসে দাড়িয়েছি। নিচের ছবিটি আমাদের সিটিজেনশিপ সার্টিফিকেট সিরেমোনির ।আজ পেলাম।
ক্যাম্পসির ওরিয়ন হলে মেয়র যখন বললেন,দাড়িয়ে শপথ পাঠ করতে আর অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত গাইতে।সেই সময় আমার দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পরলো।ঢাকা বিমানবন্দর ছেড়ে প্লেনটি বেরিয়ে যাবার সময় যেই কস্ট,সেই একি রকম কস্ট।পাশে থেকে ছেলে বললো মা কাদঁছো কেনো?তুমি স্যাড কেনো?তুমি হ্যাপী না !ছেলেকে উত্তর দিতে পারলাম না কেনো কাঁদছি।
আমার কেবলি মনে হচ্ছিল আমি আমার প্রিয় বাংলাদেশ থেকে দুরে আরো দুরে,পরবাসে থেকে আরো পরবাসী হয়ে গেলাম।
Related Articles
এই সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার দেশ
সজিব ওয়াজেদ জয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সফরে ব্যস্ত থাকায় কয়েকদিন পোস্ট দিতে পারিনি। একটু আগে সিলিকন ভ্যালি থেকে ফিরলাম। সেখানে আমাদের
ক্যানবেরার খবরঃ লেঃ জেঃ মাসুদ দায়িত্ব গ্রহন করেছেন
গত ৪ নভেম্বর লেঃ জেঃ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ক্যানবেরাস্থ বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব গ্রহন করেছেন । বিগত রাস্ট্রদুত জনাব হুমায়ুন কবিরের
হরেক রকম আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ
কিছু মানুষের টাকা কড়ির ঝঞ্ঝনানি শুনি, শুনতে চাইনা, “তাহারা শুধায়” তাই বাধ্য হয়ে শুনতে হয়। ‘থ্রি ইডিয়েটস’ মুভির “প্রাইস ট্যাগ”