ঘৃনিত জীবন

১)
নিশুতি রাত। চারদিকে স্তব্ধ। দূরে কোথাও ঝি ঝি পোকার ডাক শোনা যাচ্ছে। এছাড়া আর কোন জনমানবের উপস্থিতি অনুভব করা যায় না। শহরের এক কোণে ঝুপড়ির মত একটি বস্তি। সেই বস্তিরই একটি ঘরে শুয়ে আছে মনিলাল। বস্তির সবাই ঘুমে অচেতন। এমনকি পাশে মনিলালের বউ-মেয়ে, একটু দূরে মা-বাবা ও একমাত্র ছোটবোনও যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তখন মনিলালের দু’চোখে ঘুম নেই। শুধু চুটকির ভবিষ্যতের ভাবনা তাঁর মাথা কুরে কুরে খাচ্ছে। চুটকি মনিলালের একটিই মাত্র মেয়ে। তাঁর ভবিষ্যত ভাল না গড়তে পারলে বাবা হিসাবে তাঁর দায় সে এড়াতে পারেনা। এসব ভাবতে ভাবতে মনিলালের চোখ জানালার বাইরের দিকে গেল। বাইরে কি সুন্দর চাঁদের আলো দেখা যাচ্ছে। ঘরের জানালা দিয়ে বাইরের জোৎস্নার আলো ঢুকে চুটকির মুখের পড়েছে। সেই নরম আলোতে কি যে সুন্দর লাগছে মুখখানা আহা! নিজের মেয়ে বলে নয়, এই সারা মহল্লায় এত সুন্দর মেয়ে কারোর জন্মেছে কিনা সন্দেহ। চুটকির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে একটু যেন ভারী নিঃশ্বাস বেরিয়ে গেল মনিলালে বুক চিরে। মনে মনে ভাবে সে, সকালেই বাপজান কে কথাটা পাড়তে হবে। তাঁর মেয়ের ভাগ্য যেন ছোটবোন শেফালীর মত না হয়।
অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশ আগেই ঘুম ভেঙ্গে গেল মনিলালের। তাছাড়া ঘুমাবেই বা কি করে সে। ওর বাবা মতিলাল সকাল থেকেই যেভাবে খক খক করে কাশছে তাতে ঘুম কি আসতে পারে? মনিলাল বুঝতে পারে বুড়ো বাপের আবার হাপানির টান উঠেছে।
-‘পই পই করে বুলি আর ওসব ছাইপাশ গিলো না কো। তা হামার কথাডা শুনবো কুন ব্যাডাই।’, মনিলাল শুনলো যে তাঁর মা বাবাকে কথাগুলো বেশ ঝাঁঝাল কন্ঠে বলছে।
কথাটা শুনে মতিলাল প্রায় খেঁকিয়ে উঠে বলল, ‘চুপ কর মাগি। হামি কি সাধ কইরে ওগুলান খাই? হামি মাইনসের টাঙ্কি আর পায়খানা সাফ না কইরলে তুকে ভাত খাওয়াইবে তুর কোন ভাতার।’
-‘তাই তো বুলি ওসব কাম ছেইরে অন্য কাম-কাইজ কইরলেই তো পারো।‘
-‘তুই জানোস না কুন রকম কামে হামাদের কে কেউ নেয় না। সব সালারা ঘেন্না করে হামাদের। ঘেন্না করে…।’ কথাটা শেষ করতে পারল না মতিলাল। তার আগেই কাশির দমক বেড়ে গেল তাঁর। মতিলালের বউ মতিলালের বুকে তেল মালিশ করতে লাগল। এই সব দেখে মনিলাল কিভাবে যে বাপ কে কথাটা বলবে ভেবে পায় না। তাড়াতাড়ি প্যান্ট-শার্ট পড়ে বেরিয়ে পড়তে লাগল মনিলাল। তাঁর চলে যাওয়া দেখে চুটকি বলল, ‘ কিছু মুখোত দিয়া যাও বাজান।’ মনিলাল ফিরে চায় না চুটকির দিকে, বস্তির ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে।
সারাদিন মনিলালের মাথায় বাপজান কে কথাটা বলার চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে। রাতে বাড়ি ফিরে মনিলাল মতিলাল কে বলে, ‘বাপ হামি আর এইহানে থাকুম না। চুটকি আর অর মায়েরে লইয়া হামি ডেরাইভার কলুনি তে উইঠ্যা যামু।’
মতিলাল কোনদিন চায় নি তাঁর ছেলে-মেয়েরা তাঁদের মত সুইপারের কাজ করুক। তাই সে ছেলেকে ড্রাইভিং শিখতে বলেছিল। মনিলাল মাত্র কয়েকদিন আগে ড্রাইভারি পরীক্ষাই পাশ করেছে। এখন সে এক মালিকের প্রাইভেট কার চালায়। কথাটা শুনে মতিলাল জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে ছেলের দিকে তাকায়। মনিলাল আবার বলে ওঠে, ‘তুমার নাতনির যৈবন বাড়তাছে। অরে তো ভালা ঘর দেইখ্যা বিয়া দেওন লাইগবে, নাকি হামাদের মতন এই ময়লা-গন্ধের মইধ্যে মাইয়্যাডার জেবন কাইটবে। তুমি চাও কুনডা।’
মতিলাল মুখটা নামিয়ে নেয়। নিজের মেয়ে শেফালির কথা মনে পড়ে তাঁর। ভাল ঘর দেখে পাশের বস্তিতে বিয়ে দিয়েছিল মতিলাল। জামাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ক্লিনারের কাজ করত। সরকারি বেশ ভাল চাকরি। তাঁদের মত বিভিন্ন মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক বা বাথরুম পরিষ্কার করত না। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেত। কিন্তু সে সুখ শেফালীর কপালে সহ্য হল না। মতিলাল আপনমনে বলতে লাগল, ‘সালার জামাই মাইয়াডারে বাজা বইলা খেদাইয়া দিল। হামার কুন কতা শুনল না।’ মনিলাল বেশ বুঝতে পারে যে তাঁর বাপজান শেফালীর কথা ভাবছে। মনিলাল সুযোগটা হাত ছাড়া করল না। বাপের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘হেইডাই তো বুলছি। চুটকির কপাল য্যান তা না হয়, হের লাইগ্যা হামি বউ-মাইয়্যা লইয়া দূরে বসত করবার চাই।’
মতিলাল ফ্যাল ফ্যাল করে ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকল। ওদিকে চুটকি ও চুটকির মা-দাদি-ফুপু কান খাড়া করে বাপ-ছেলের কথোপকথন শুনতে লাগল আর নিঃশব্দে ঘরের কাজ করে যেতে লাগল। মনে হল বস্তির এই ঘরে মৃতপুরির মত থমথমে অবস্থা হয়েছে। নিঃশব্দ-নিস্তব্ধ চারিধার। দূরে কুকুরের ঘেউ ঘেউ-উ-উ ডাক আর চুটকির ও তাঁর দাদির ফোস ফোস কান্নার শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছিল না। তবে কোন ফোস ফোস শব্দ চুটকির আর কোনটি তাঁর দাদির সেটি সঠিক করে বোঝা গেল না।
২)
প্রতিদিনের সকালের মতই রোদ উঠেছে। বস্তির সবাই কাজে গিয়েছে। গাছের পাতার শির শির শব্দ আর রোদ-ছায়ার ঝিকিমিকি একই সাথে খেলা করছে উঠানে অন্যান্য দিনের মতই। এরকম এক সকালবেলা বেডিং পত্র নিয়ে মনিলাল তাঁর বউ-মেয়ের হাত ধরে উঠে পড়ল ড্রাইভার কলোনির ভাড়ার বাসায়। ছোট্ট একটি সাজানো গোছানো বাসা। চুটকির মায়ের খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু চুটকির মন পড়ে থাকল বস্তির ঝুপড়ি ঘরে যেখানে তাঁর দাদা-দাদি আর ফুপু থাকে। রাতে ফুপুর কাছে শুয়ে হয়তঃ আর গল্প শোনা হবে না ওর। তাই বেশ কিছুদিন মুখ ভার করে বেড়াতে লাগল সে।
চুটকির বয়স সবে পনেরো পেরিয়ে ষোল তে পড়েছে। এরই মধ্যে চুটকির চাঁদমুখের মায়ায় পড়েছে অনেক ছেলে আর তাঁদের পরিবার। চুটকির বিয়ের সম্মন্ধ আসতে লাগল বিভিন্ন জায়গা থেকে। মনিলালের আর খুশি ধরে না। অন্যের কাছ থেকে মেয়ের প্রশংসা শুনে গর্বে বুক ফুলে ওঠে তাঁর। মনে হয় বস্তি থেকে এই ড্রাইভার কলোনিতে তাঁর আসাটা সার্থক হয়েছে। তবে এত আনন্দের মধ্যেও মনিলাল মাঝে মাঝে বস্তিতে বুড়ো মা-বাবা-বোনের খোজ খবর নিতে যায়। পারলে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করে। বুড়ো বাপ এখনও অন্যের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক ও টয়লেট পরিষ্কার করতে যায় আর গাদা গাদা মদ গিলে। ওদিকে ছোটবোনটি মেথরের মেয়ে পরিচয় লুকিয়ে অন্যের বাসায় ছুটা বুয়ার কাজ করে। কেননা পরিচয় প্রকাশ হয়ে গেলে বাড়ির বেগম সাহেবরা লাত্থি মেরে বের করে দেবে। কারণ তাঁরা তো অচ্ছুৎ, তাঁদের ছোঁয়া খেতে ঘেন্না করে ভদ্রলোকদের।
সে যাই হোক অল্প কিছুদিনের মধ্যে চুটকির বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। মনিলাল এসে বস্তিতে সবাই কে জানাল খবরটি। শুনে বস্তির সবাই খুব খুশি হল। সুখবর শুনে বুড়ো মতিলাল ছেলেকে জিজ্ঞেস করল, ‘তা তর জামাই কি করে?’
-‘হ্যার বাপও ডেরাইভার। হ্যায়ও এক সরকারি অফিসে ডেরাইভারের কাম করে।’
-‘হামাদের কতা কি জানে তর জামাইয়ের পরিবার।’
-‘না বাপজান, পরিষ্কার কইরে এহনও বুলি নাই কাউকে।’
-‘কামডা কি ঠিক করলি বাপ? বিয়া বইলা কতা।’
-‘ক্যান, ঠিক অইব না ক্যান। তুমি যহন শেফালীর কামাই খাও তহন হেইডা কিছু না তাই না? শেফালীও তো জাত পরিচয় লুকাইয়া মাইনসের বাড়িত কাম করে। হামি যা ভালা বুঝছি তাই কইরছি। হামার মাইয়্যা দেখতি শুনতি ভালা, গাও গতরে ভালা আবার ঘরের কামও ভালা করতি পারে। আর তাছাড়া অরা তো চুটকিরে যাইচ্যাই নিতাছে।’
মানুষ ইচ্ছা করে অন্যায় করতে চাইলে নিজের কাছে ছোট হয়ে যায়। তখন সেই প্রসঙগে কেউ কোন কথা উঠালে অন্যায়টাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য চিৎকার চেচামেচি করে থাকে। মতিলাল ছেলের কথার ধমকে চুপ করে গেল। আর কোন কথা বাড়াল না। মনিলালের মা এইবার বলল, ‘তা বাজান, বিয়া অইব কবে?’
মনিলাল মায়ের দিকে তাকিয়ে হেসে জবাব দিল, ‘আসছে মাঘে হামি চুটকির বিয়া দেব।’
এরপর থেকে মতিলালের পরিবার শুধুই নাতনির বিয়ের দিন গুণতে লাগল। আর মনে মনে চুটকিকে আশির্বাদ করতে লাগল। সেই সাথে মানসিকভাবে তৃপ্তি পেতে লাগল যে নাতজামাই কে দেখে তাঁরা মরতে পারবে। সেইটাই বা কম কিসের তাঁদের এই ময়লা গন্ধময় জীবনে। কত সুখ তাতে।
৩)
দিন মাস গড়িয়ে মাঘ মাস উপস্থিত। আজ চুটকির বিয়ে। বউ সেজে সলজ্জ ভঙ্গিতে চুটকি ভিতরের ঘরে বসে আছে। সাথে আছে এলাকার ওর সমবয়সি মেয়েরা। ঢাকের শব্দ আর উলুধ্বনিতে আকাশ বাতাস মুখরিত হচ্ছে। চুটকির মন প্রায়ই এ বাড়ির সীমানা পেরিয়ে দাদা-দাদি-ফুপুর কাছে বস্তিতে চলে যাচ্ছে। আর কোনদিন দেখা হবে কিনা কে জানে? চুটকি মাকে আড়ালে জিজ্ঞেস করেছিল যে, তাঁর দাদা-দাদি বা ফুপু কেউ এসেছে কিনা। চুটকির মা চুপ করে ছিল। কোন উত্তর দেয় নি। মায়ের চুপ করে থাকাটা চুটকির মনে শেলের মত বিঁধেছে।
হঠাৎ করে ঢাকের আওয়াজ বা শাঁখের শব্দ বা উলুধ্বনি বন্ধ হয়ে গেল। চুটকি কান খাড়া করে শুনল, কারা যেন বাইরে খুব জোরে চেচামেচি করছে। চুটকি ঘরের মধ্যে থেকে একে ওকে জিজ্ঞেস করে কোন সদুত্তর পেল না। শুধু একজন বলল, ‘চুটকি তোর বাপ কে কয়জন লোক খুব অপমান করছে।’ এইসব শুনে চুটকিও বউ সাজা অবস্থায় বাইরে বেরিয়ে এল। কেউ একজন এই সুযোগে চুটকি ও তাঁর মাকেও গালাগালি করতে লাগল। প্রথমে বুঝতে না পারলেও চুটকি কিছুক্ষনের মধ্যে বুঝতে পারল যে, ওদের জাত পরিচয় প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। চুটকি তাঁর বাবার হয়ে সবার কাছে মাফ চাইতে লাগল। কিন্তু এত লোকের চিৎকার চেচামেচির মধ্যে চুটকির কথা কারোর কানে গিয়ে পৌছাল না। চুটকির তখন খুব তাঁর দাদার কথা মনে হতে লাগল। তাই সে তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছুটতে লাগল মেথরপট্টির উদ্দেশ্য।
৪)
মাঘ মাসের এক বিকালে মতিলাল ঘরের দাওয়ায় বসে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের সাথে চুটকির বিয়ের কথা জল্পনা-কল্পনা করছিল। হঠাৎ দেখল এলোচুলে একটি পনের-ষোল বছরের নতুন বউ বস্তির উঠোনে এসে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেল। সবাই উঠে গিয়ে দেখে সেই বউটি আর কেউ না, তাঁদের চুটকি। চোখে মুখে পানির ছিটাতেই জ্ঞান ফিরে এল তাঁর। এরপর যা বলল তাতে মতিলাল ও তাঁর পরিবারের মাথা ঘুরে যাবার উপক্রম। ছেলেপক্ষ কিভাবে যেন জানতে পেরে গিয়েছে যে, চুটকি মেথর পরিবারের সন্তান। তাই বিয়ের আসর থেকে বর কে নিয়ে চলে গিয়েছে। আর তাঁর বাবা-মা এমনকি তাঁকেও খুব অপমান করেছে। বাবার অপমান সহ্য করতে না পেরে চুটকি মেথরপট্টিতে চলে আসে।
মতিলাল সব শুনে মনে মনে ভাবতে লাগল, এজন্যই সে মনিলাল কে জাত গোপন করে বিয়ে দিতে নিষেধ করেছিল। মতিলাল সস্নেহে নাতনির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল আর বলতে লাগল, ‘কুন চিন্তা করিসনে বুইন। তুকে হামি ভালা ঘর দেইখ্যা বিয়া দিব।’ কথাটি বলতে বলতে মতিলালের গলার স্বর কেঁপে উঠতে লাগল। মতিলালের মনে হল, হিন্দু ঘরের মেয়ের কি লগ্ন ভেঙ্গে আর কি বিয়ে হবে? এসব ভাবতে ভাবতে মতিলালের মাথায় বাজ পড়ল। বিড় বিড় করে বলতে লাগল, ‘ঠাকুর তুমার দুনিয়ায় হামরা ক্যানো এই হানে জন্মাইলাম। সবাই ক্যান হামাদের ছুয়া পাপ মনে করে? হামরা তো ভিক্ষা কইরে খাই না, কাম কইরা খাই। তাইলে হামাদের মাইয়্যাদের ক্যান ভালা জায়গায় বিয়া অইব না। ক্যান হামরা এই শিকল ভাইঙ্গা বাইর অইতে পাইরবো না। ও ঠাকুর জবাব দাও।’
তারপর একপর্যায়ে বস্তির উঠান থেকে উঠে টলতে টলতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যেতে লাগল মতিলাল। মতিলালের বউ মতিলাল কে বলল, ‘মনির বাপ কই যাও তুমি এই ভর সন্ধ্যেবেলা?’ মতিলাল কোনদিকে না তাকিয়ে বেরিয়ে গেল। শুধু মুখে একটি কথাই বলে গেল, ‘মন্দিরে ঠাকুরের লগে কিছু বুঝাপড়া আছে হামার।’
সবাই ভাবল, বুড়া মানুষ খুব কষ্ট পেয়েছে। যাক একটু মন্দির থেকে ঘুরে আসলে ভাল লাগবে। মনটা শান্ত হবে। কিন্তু এ যাওয়ায় যে মতিলালের শেষ যাওয়া তখনও কেউ বুঝতে পারেনি। আপনমনে রাস্তা পার হতে গিয়ে একটি বেপরোয়া গাড়ির নিচে পিষ্ট হয়ে গেল মতিলালের শীর্ণ শরীরটা। মতিলাল ও তাঁর পূর্বপুরুষরা মেথর ছিল সত্য। কিন্তু মতিলাল তাঁর সন্তানদেরকে এই পেশায় কখনও আনেনি বা আনতে চায়ও নি। তাই নিজে মরে তাঁর পরিবার কে বোধহয় এই ঘৃণিত জীবন থেকে মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করে গেল। কিন্তু কতটুকু পারল সেটা পরবর্তি সমাজব্যবস্থাই ভাল বলতে পারবে।

Parves Raksand Kamal
২০০৪ সালে বুয়েট থেকে পাশ করে বর্তমানে মেলবোর্নে একটি কনষ্ট্রাকশন কোম্পানীতে কর্মরত আছেন। অবসরে বিভিন্ন ব্লগে ও পত্রিকায় লেখালেখি করে, বই পড়ে, গান শুনে সময় কাটে তার। মাঝে মাঝে সময় পেলে ক্যামেরা হাতে ছবি তুলে বেড়ান প্রকৃতির। সাধারণত গণিত, বিজ্ঞান, ভ্রমণকাহিনী, ছোটগল্প, কবিতা ইত্যাদি বিষয়ে লিখতে পছন্দ করেন। একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ব্লগঃ www.need4engineer.com এর সম্পাদনা পরিষদের সাথেও যুক্ত। এছাড়া নিজের একটি ওয়েবসাইটে www.raksand.im সব ধরণের লেখালেখি করে থাকেন।
Related Articles
Bangladesh Politics: One Eleven – The Movie – Watch free now! Pay later!!
Bangladesh has observed a relatively historical event on 1/11. It is a famous number or word now in the history
Is Bangladesh foreign policy becoming Indo-Russia centric?
On 27 March, Bangladesh abstained from voting at the UN General Assembly resolution on Russia’s annexation of Crimea. While 100
কাহিনী সামান্য ৩
নারীবাদ, শাবানা আজমী ও আরও… শাবানা আজমী খুব সংবেদনশীল, সহৃদয় একজন মানুষ। শুধু মেয়েদের জন্যই নয় বস্তিবাসীর অধিকার নিয়েও সহজেই
Parves Raksand Kamal, thanks! And thanks for sharing your great posts every week! help with math