অস্ত্র আইনে বিশ্বের পথিকৃৎ হতে পারে অস্ট্রেলিয়া
আমেরিকার পথে ঘাটে, ইস্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের ব্যবহার এবং সাধারন মানুষের মৃত্যু দেখলে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী জন হাওয়ারড এর দূরদর্শী পদক্ষেপের কথা মনে করে তাঁকে সালাম জানাই।
১৯৯৬ সালে তাসমানিয়ার পোর্ট আরথারে মারটিন ব্রায়ান্ত- এক অস্বাভাবিক যুবক- ৩৫ জন মানুষকে গুলি করে মারে। পল কিটিংকে পরাজিত করে জন হাওয়ারড মাত্র প্রধান মন্ত্রী হয়েছেন। সংসদে বিল পাশ করিয়ে সব রকম ব্যাক্তিগত অস্ত্র ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র অবৈধ ঘোষণা দিয়ে জমা নিয়ে ধ্বংস করে ফেলে। লাইসেন্সধারী কারও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নেই। প্রতিটা নাগরিকের সামাজিক নিরাপত্তা রাষ্ট্র নিশ্চিত করছে, তাই ব্যাক্তিগত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের প্রয়োজন নাই।
লাইসেন্সড পিস্তল/রিভলবার/বন্দুক আছে- তবে খুব সীমিত। এদের উপর সরকারের কড়া নজরদারি আছে, কয়দিন পর পর পুলিশের কাছে রিপোর্ট করতে হয়। সুপার মার্কেট থেকে কম বয়সীরা ছুরি/চাকুও কিনতে পারে না।
এখানে কাস্টমস এবং বর্ডার প্রটেকশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বস্তু হল ড্রাগ এবং অস্ত্র। চোরাদের সাথে সাথে পুলিশও তাদের কৌশল বদল করে। পুলিশ এবং কাস্টমস এর লোকজনও কড়া নজরদারিতে থাকে। তাহলে কি অবৈধ অস্ত্র বা ড্রাগের ব্যবহার নেই? অবশ্যই আছে- কিন্তু খুব খুব সীমিত। শুন্যে নামিয়ে আনা হয়ত সম্ভব না, তাই বলে কর্তৃপক্ষ বসে নেই… চেষ্টা করেই যাচ্ছে- উন্নতিও দেখতে পাচ্ছি।
হ্যাটস অফ লিটল জনি…।
Related Articles
যত খুশি তত খান, তারই নাম মেজবান
মেজবান কিংবা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় “মেজ্জান”, চট্টগ্রামের অতিথি আপ্যায়নের বহুদিনের লালিত একটি ধারা। চট্টগ্রামবাসীদের কাছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম
হে ঈশ্বর তুমি ওদের বাংরেজ না করে বাঙ্গালী কর!
আমাদের সময়টা কি হারিয়ে গেল কালের গর্ভে। বিলীন হয়ে গেল রুপকথার মোড়কে মুড়ানোর মত আবেশ করা অনুভুতি গুলি। নুতন বইয়ের
‘দেবী’ নারীশক্তি নয় অত্যাচারিতের অভ্যুদয়
বাংলাদেশের সিনেমা ‘দেবী’ একটি নিটোল নির্মান । কাহিনী কিংবদন্তী লেখক হুমায়ূন আহমেদের । এই সিনেমাতে সুচারু দৃশ্যপরম্পরা, আবহ সৃষ্টিতে শব্দ