মেলবোর্নে বাংলাদেশের ৪৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশীদের উদ্যোগে গতকাল (২৬শে মার্চ, ২০১৮) বাংলাদেশের ৪৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। অন্যান্য বছরের মত এবারও মেলবোর্ন শহরের প্রাণকেন্দ্র ফেডারেশন স্কয়ারে পতাকা উত্তলনের মধ্য দিয়ে এই উদযাপন শুরু হয়। ২৬-শে মার্চ সারাদিন ব্যাপী ফেডারেশন স্কয়ারে এই পতাকা উড়তে থাকে যা দেখে বাংলাদেশীদের বুক গর্বে ফুলে উঠে। সারাদিন বাংলাদেশীদেরকে উড়ন্ত পতাকার সাথে ছবি তুলতে দেখা যায়।
সোমবার কর্মদিবস থাকায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টায়। এতে মেলবোর্নে বসবাসরত বাংলাদেশীদেরা প্রচণ্ড আগ্রহ, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। মেলবোর্ন প্রবাসী ড. মাহবুব আলম শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন। শুরুতে তিনি বলেন ১৯৭১ সালের ২৫-শে মার্চ দিবাগত রাত ২৬-শে মার্চের প্রথম প্রহরে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান সরকারের ২৪ বছরের শোষণ, বৈষম্য, বঞ্চনা, নির্যাতন, ন্যায্য অধিকারের দাবীতে আন্দোলনরত মানুষকে হত্যা, ২৫-শে মার্চ রাতে সাধারন মানুষকে নির্বিচারে গনহত্যার প্রতিবাদে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তিনি ৩০ লক্ষ শহীদ, সাড়ে চার লক্ষ মা-বোন সহ সকল মুক্তি যোদ্ধাদের শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করেন।
মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা মোল্লা মোঃ রাশিদুল হককবি শামসুর রাহমান “স্বাধীনতা তুমি” কবিতার মাধ্যমে তার বক্তব্য শুরু করেন। তার বক্তব্যে তিরিশ লক্ষ শহীদ ও সাড়ে চার লক্ষ মা-বোনের ত্যাগ স্মরণ করেন ও বলেন স্বাধীনতার প্রকৃত দাবী জনগনের বাক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা যা বর্তমান সরকার মানুষকে দিচ্ছে। তাই দেশে বিদেশে আমাদের সবাইকে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করতে হবে। প্রফেসর ড. শামস রহমান তার বক্তব্যে প্রবাসে সবাইকে একত্রে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা পিএইচডি স্কলার ইফতি রশিদ, তাজ উদ্দীন ও সালাউদ্দিন আহমেদ । এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন ড. আলিফ শেখ, এস এ রহমান অরুপ, নাসরিন আক্তার সহ আরও অনেকে। তারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। বক্তাগন আয়োজকদেরকে প্রবাসে এরকম অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানান। এরপর সবাই সম্মিলিত কণ্ঠে প্রথমে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও পরে বহু সংস্কৃতির দেশ অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত অন্যান্য দেশের লোকদের মধ্যে এতে খুব সাড়া পরে এবং তারাও উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে অনুষ্ঠান উপভোগ করে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অনুষ্ঠানের আরেক উদ্যোক্তা ড. মাহবুব আলম। কর্ম ব্যস্ত দিবসে অনুষ্ঠানে আসার জন্য ও অনুষ্ঠান সফল করার জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন।
Related Articles
সিরাজুস সালেকীন ও অদিতি শ্রেয়সী’র সঙ্গীত সন্ধ্যা গীতসুধা ১১ ফেব্রুয়ারি
সিডনি বাসীদের জন্য নতুন বছর ২০২৩ এর অভিষেক হতে যাচ্ছে গুরু শিষ্যার এক মনোজ্ঞ সংগীত সন্ধ্যা “গীতসুধা“ দিয়ে। আগামী ১১ই
Let’s Keep Science Moving Forward In Bangladesh
From my last radio program, I came to know about a group of young stargazers working in Anushandhitshu Chokro, a
Bijoyer 40 Bachor
বিজয় দিবস দেশ ও জাতির সর্বোচ্চ অর্জন ,জাতিয় গৌরবের । বীরের জাতি আমরা , হাজার বছরের ইতিহাসে তথা উপমহাদেশে এমন