বনভোজনের বর্নিল ছোঁয়ায় আলোড়িত ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল।

“সব প্রান বলে আজ সদলবলে শিহরিত তণু-মন
দেখ খুশি চারিদিক আলো ঝিকিমিক হচ্ছে বনভোজন”।
বহু বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল আয়োজন করেছিল আকর্ষণীয় বার্ষিক বনভোজনের। গত ৬ই মে রবিবার সিডনির অদূরে নোওরা শো গ্রাউন্ডের বেনস ওয়াকের অপরুপ প্রাকৃতিক আবহে বসেছিল এবারের বনভোজনের সব আয়োজন। স্কুলের প্রাত্যহিক গন্ডির বাইরে, শহরের কোলাহল থেকে দূরে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশ দিনব্যাপী এই আয়োজন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং কমিটির সদস্যদের একে অপরকে ঘনিষ্ঠ ভাবে জানার সুযোগ সৃষ্টি করে। ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল পরিবার এই আত্মিক বন্ধনের চর্চা করে প্রতিনিয়ত।
সকাল ৮টায় স্কুল গেট থেকে পিকনিকের বাসটি নোওরা শো গ্রাউন্ডেরশো উদ্দেশে ছেড়ে যায়। অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বনভোজনের বাসকে অনুসরণ করতে থাকে। পথে লেক ইলাওয়ারাতে দলটি প্রাতরাশের জন্য যাত্রা বিরতি করে। নাসতা শেষে আবার যাত্রা করে ঘন্টা খানেক পর পিকনিকের বাস নোওরা পৌছে যায়।
নির্ধারিত স্থানে পৌছেই নৈসর্গিক সৌন্দর্য বিমোহিত বনভোজন দলের কেউ কেউ ঘুরে বেড়িয়ে আবার কেউ কেউ খেলাধুলায় মেতে ওঠেন। সিডনির কর্ম কোলাহল থেকে দূরে রৌদ্রালোকিত ছুটির দিনটিকে তারা প্রান ভরে উপভোগ করেন।
বেলা দেড়টায় দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়। অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মানসম্মত এই খাবার সবার রসনা পরিপূর্ণভাবে তৃপ্ত করে।
মধ্যাহ্নভোজের পরপরই ছাত্রছাত্রী এবং বনভোজনকারী সবার জন্য একটি পর্বের ব্যবস্থা রাখা হয়। শিশুকিশোরদের জন্য ছিল পিলো পাস, যেখানে অংশগ্রহণকারী সবার জন্য ছিল পুরস্কার। বড়দের মধ্যে নির্বাচিত তিন দম্পতিকে তাৎক্ষনিক ভাবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর উপস্থাপন করতে বলা হয়। সবার জন্য ছিল গৃহস্থালির নিত্য প্রয়োজনীয় উপহার। পরিশেষে র্যাফেল ড্রতে নির্বাচিত তিনজনের জন্যও ছিল উপহার। এই পর্ব টি পরিচালনা করেন বনভোজন আহ্বায়ক বিজয় সাহা, স্কুলের সভাপতি আবদুল জলিল এবং সহ সভাপতি মাসুদ মিথুন।
সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক এবং ঘোছানো এই আয়োজন সবার প্রসংশা কুড়াতে সক্ষম হয়। বিকাল চারটার বৈকালিক চা হালকা খাবার পরিবেশন শেষে আগামীতে আরও ব্যাপক ও আকর্ষণীয়
আঙ্গিকে বনভোজন করার প্রত্যাশা নিয়ে ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের বাস সিডনির উদ্দেশে নোওরা শো গ্রাউন্ড ছেড়ে আসে।

Kazi Ashfaq Rahman
ছেলেবেলা থেকেই শান্তশিষ্ট ছিলাম বলে আমার মায়ের কাছে শুনেছি। দুষ্টুমি করার জন্য যে বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন তা নিশ্চয়ই আমার ছিল না। আমার এই নিবুর্দ্ধিতা একসময় আমার মাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন আমার এই ছেলে জীবনে চলবে কি করে। এখন যেভাবে চলছি তাতে কোনও আক্ষেপ নেই। ভালই তো আছি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শিক্ষা, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যে অনন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারাকে জীবনের বড় অর্জন বলে মনে করি। আমার স্ত্রী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী, আমার শত বোকামী, আলসেমী আর বৈষয়িক না হওয়াকে প্রকারান্তরে প্রশ্রয় দেওয়াতে আমার আর মানুষ হয়ে ওঠা হয়নি। আমার দুই সন্তান, আমি চাই তারা আমার মত বোকাই থেকে যাক কিন্তু আলোকিত মানবিক মানুষ হোক যা আমি হয়তো হতে পারিনি।
Related Articles
অষ্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ারের উদ্যোগে ঈদুল আয্হার জামাত অনুষ্ঠিত
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সিডনীর অধিকাংশ স্থানে গত ৮ ই ডিসেম্বর সোমবার মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র
Let Cricket Live with its true spirit
We woke up at 4 am with an aim to start at 5:30 for Melbourne, which was delayed a bit
Bangladesh Dui Shift
বাংলাদেশটারে দুই শিফটে চালাইলে কেমন হয়? 2011/pdf/Bangladesh___dui_shift_284022954.pdf ( B)
Very nice article. More so the photographs. Wish CBS more successful and enjoyable events.
Thank you so very much for your inspiring comment, We are trying our best to maintain a formidable level as far as academic and cultural/social events are concerned. We appreciate your interest and would like invite you at our future programs.