মেলবোর্নে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজন
বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া গত শনিবার (১৭ই জুন, ২০১৭) মেলবোর্ণের হপার্সক্রসিং এ একটি ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। মেলবোর্নে বসবাসরত বাংলাদেশীরা এতে স্বতঃফুর্তভাবে অংশগ্রহন করে। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মঞ্চে আসন গ্রহনের পর স্বাগত বক্তব্যে মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক বলেন “বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা । বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। তিনি না থাকলে আজকে আমরা নিজেদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে পারতাম না, পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে আসতে পারতাম না, হয়ত এখনও পাকিস্তানিদের হাতে শোষিত হতাম। বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং দেশের জন্যে জীবন দিয়ে উনি আমাদের দেশ-মাতৃকতা শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। উনার জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে বিদেশে থেকে দেশের জন্যে আমাদের কাজ করে যাওয়া উচিত ”। তিনি বঙ্গবন্ধুর সংক্ষিপ্ত জীবনী সবার সামনে তুলে ধরেন। তারপর বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ (কেন্দ্রীয় কমিটি) অনুমোদিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার নতুন কমিটি সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি ড. সানিয়াত ইসলাম, সহ-সভাপতি ডঃ আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি জনাব ফেরদৌস মোল্লা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জনাব লুতফুল কবির, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুল হাই, বিশেষ অতিথি ড. ফিরোজ আলম ও প্রধান অতিথি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জনাব কাজী সেলিম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনাব আব্দুল কুদ্দুস, জনাব মোর্শেদ কামাল, যুগ্ম-সম্পাদক চ. ম. রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ড. শাহেদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুযুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বিপাশা রশিদ, মাহবুবুর রহমান, এবং আরও অনেকে।
সহ-সভাপতি ড. সানিয়াত ইসলাম সবাইকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ার আহ্বান জানান ও অনুষ্ঠানে আসার জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানান। সহ-সভাপতি ডঃ আবুল কাশেম পাকিস্থানিদের অন্যায় অত্যাচার ও বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ স্মরণ করেন ও তার আদর্শে জীবন গড়ার আহ্বান জানান। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুল হাই সমস্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ও বঙ্গবন্ধুর শহীদ পরিবার কে স্মরণ করেন। বিদেশে থেকে দেশের বিরুদ্ধে সমস্ত ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জনাব লুতফুল কবির বঙ্গবন্ধুর সাথে উনার সাক্ষাত ও বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব স্মরণ করেন। সহ-সভাপতি জনাব ফেরদৌস মোল্লা শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি ড. ফিরোজ আলম বলেন “বাংলাদেশ বাংলাদেশিদের কিন্তু বঙ্গবন্ধু সবার। প্রতিবেশী দেশ ভারতে বঙ্গবন্ধুর প্রচুর সমর্থক রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পরা উচিত। এতে করে দেশের জন্যে উনার অবদান সবার বুঝে আসবে”। প্রধান অতিথি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জনাব কাজী সেলিম বলেন “বঙ্গবন্ধু আমদের যে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন তা সংরক্ষণ করতে হবে, শেখ হাসিনার সরকারের সাহায্য করতে হবে, জঙ্গি-রাজাকার-সন্ত্রাসিদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে, বিদেশে থেকে বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের জন্যে কাজ করে যেতে হবে”।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব মফিযুল ইসলাম বলেন “মেলবোর্নে বঙ্গবন্ধু পরিষদ প্রতিষ্ঠা হওয়ার একটা কারন ছিল বিদেশের মাটিতে রাজাকার-জামাত ইসলামি-জঙ্গি ও বাংলাদেশ সরকার বিরোধিদের প্রোপাগান্ডা রুখে দাঁড়ানো। তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা । তিনি বলেছিলেন “এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ” । মুক্তিযোদ্ধাদের কঠোর পরিশ্রমে জয় ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশীরা। তিনি মেলবোর্নে নিজেদের মধ্যে দলাদলি না করে একসাথে দেশের জন্যে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জনাব লুতফুল কবির দোয়া পরিচালনা করেন। এতে বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত, জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু, বাংলাদেশের সফলতা এবং সমগ্র বিশ্বের জন্যে দোয়া করা হয়।অনুষ্ঠান পরিচালনা ও স্বার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক।
Related Articles
বাংলা ও বাংগালীর আত্মপরিচয়ে ১৬ই ডিসেম্বর
আত্মপরিচয় নিয়ে বর্তমান সময়ে মানুষ কিছুটা উদ্বিগ্ন। এই বিশ্বায়নের যুগে এমনটা হওয়ার কথা ছিল কি? বিশ্বায়নের যুগে মানুষের মাঝে সৌহার্দ্য,
মগজে কারফিউ
ফজলুল বারী: সেই পাকিস্তান আমল থেকে আজকের বাংলাদেশ অঞ্চলের ইতিহাসটা হচ্ছে নেতৃস্থানীয় অসাম্প্রদায়িক ধর্ম নিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবীরা সব সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে
অনু গল্প : ক্ষণিকা
আমাকে বলেছিলো “ক্ষণিকা”, রেস্টুরেন্টের নাম। ওখানেই ও অপেক্ষা করবে। আমি সিএনজি থেকে নামলাম রাস্তার এক পাশে – রাস্তার ঠিক ওই