‘ত্রয়ী পাবলিকেশন’ থেকে প্রকাশিত প্রথম বইয়ের জন্যে লেখা আহবান
প্রবাসে পাড়ি জমানো প্রায় প্রতিটা মানুষ বা পরিবারের পিছনেই থাকে কিছু না কিছু গল্প। অবশ্যই সব যে দুঃখের গল্প তা নয়। প্রবাসীদের নিয়ে আছে অনেক রকম কল্পনা জল্পনাও। বাংলাদেশে থাকা সময়ে আজকে যে প্রবাসী তারই হয়তো ছিলো অনেক বিষয়ে কিছু পুর্বধারণা। উন্নত বিশ্বে থাকা প্রবাসীদের নিয়ে, বিশেষ করে তাঁদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নিয়ে নিজেদের অজান্তেই চালু আছে কিছু গল্প এখনও। নিজে এই বিভুঁইতে নেমে বিভিন্ন সময় প্রচন্ড বৈরী সময়ের মুখোমুখি হয়েছি, ধীরে ধীরে জেনেছি অনেক কঠিনতম আমি যাকে বলি ‘’প্রবাসী সত্য’’। ভেঙেছে প্রবাসীদের নিয়ে অনেক ভুল ধারণা।
আমি ১৭ জুলাই ২০০৯, অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ‘অভিবাসী ভিসা’ নিয়ে দেশ ছেড়েছি । শুরুতে সিডনী ছোট ভাইয়ের বাসায় এক মাস কাটিয়ে নিজ গন্তব্য সাউথ অস্ট্রেলিয়ার (রাজধানী) এডিলেড আসি, স্থায়ী নিবাসের খোঁজে।
সিডনী’তে প্রথম যেদিন নামি, তখন সময়টা ছিল বিকেল ছুঁই ছুঁই সন্ধ্যা। এমনিতে সন্ধ্যা আমার ভীষণ প্রিয় সময় হলেও, সেদিনের সন্ধ্যাটা কেন জানিনা ভীষণই বিষণ্ণ লাগছিল। সিডনী এয়ার পোর্ট থেকে আমার ভাই আর ওর বউ আমাদের রিসিভ করতে এলো। একটা ঘোরের মাঝে সব কাজ শেষ করে যখন গাড়িতে উঠলাম, তখনই প্রায় ২ বছর পর ওদের দেখে হঠাৎ ভালো লাগার এক ঝলক টের পেলাম যেন। তারপর টুকিটাকি কথার তোড়ে গন্তব্য ওদের নিবাস ‘’ওয়ালী পার্ক’’। আসার পথ ধরে ‘’সিডনী’’ কে যতটুকু দেখছিলাম বেশ অবাকই হচ্ছিলাম। বাংলাদেশ বসে সিডনী’র যেসব ছবি দেখতাম তার সাথে বেশ অমিল, সিটি থেকে অনেক দুরের রাস্তা, তাই ওভাবে কোন ইমারত চোখে পড়ছিলনা, দেখছিলাম উঁচু নিচু পাহাড়ি রাস্তা আর আলোছায়া সন্ধ্যা মায়া। বিশাল একটা টানেল পার হতে যেয়ে এমন একটা সময়েও কেন যেন ‘’প্রয়াত লেডী ডায়নাকে’’ মনে পড়ে গেল! হায় আমিও কি ‘ডায়নার’ মত কোন দুঃখিনী রাজকন্যের জীবনেই ঢুকছি, কে জানে, কে জানে!!!
বাসায় ফিরে …
নাহ বাকি গল্প বলছিনা, এই হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী একজনের গল্প, আপনার গল্পটা কেমন? কেমন ছিলো আপনার দেশ ছেড়ে আসার প্রেক্ষাপট, কেমন ছিলো প্রথম পা রাখার পরের দিনগুলো। অনেক অনেক চড়াই উতরাই, সুখ দুঃখের কাব্যগাঁথা, নয়কি!!!
নিশ্চয়ই ‘’সময়’’ আমাদের সবচেয়ে বড় সঙ্গী হয়ে উঠে। আমরা ধীরে ধীরে ফিরে পাই ‘’বৈদেশ জীবন গতি’’। নানান রকম মিশ্র অনুভুতি নিয়ে শুরু হয় আমাদের পথচলা, আমাদের প্রবাস বাস, সৃষ্টি হয় আমাদের নানান ‘’সুখ-দুঃখের গল্প’’!!!
এটাও জানি কয়েক যুগ কাটিয়ে ফেলার পরও আমাদের অনেকেরই প্রবাস জীবনের ভালোলাগার প্রায় সবই পড়ে আছে ওই স্বদেশে। প্রিয়মুখগুলো ভালো আছে, ভাল আছে বাংলাদেশ, বুকের গভীরে নিরন্তর এই চাওয়া নিয়েই আমাদের পরবাসী মন কাটিয়ে দিচ্ছে ‘’একটা জীবন’’!!!
‘ত্রয়ী পাবলিকেশন’ থেকে আমরা আমাদের সেই সব গল্পগুলো বলতে চাই ক্রমশঃ। প্রথম প্রকাশনায় আমরা চাইছি শুরু থেকেই শুরু করতে। অস্ট্রেলিয়া আছেন এমন যেকোন বাংলাদেশী লিখে ফেলুন আপনার গল্পটা… আমরা উন্মুখ হয়ে আছি শুনতে, শুনাতে। জানতে চাই আপনার পরবাসী অন্তরের আনন্দ বেদনার কাব্য!!!
ধন্যবাদ অশেষ।
লেখা পাঠানঃ troyeepublication@gmail.com
দয়া করে পাঠান ২৯ নভেম্বর ২০১৭ এর মাঝেই !!!
শব্দ সংখ্যাঃ ১০০০ থেকে ৩০০০ (হলে ভালো)
https://www.facebook.com/TroyeePublication/
Related Articles
খুবই সামান্য বিষয়
পকেটমারদের স্কীল কিন্তু অসাধারণ। এরা আপনার-আমার পকেটকে নিজের পকেট মনে করে এমনভাবে টাকাটা হাতিয়ে নেয়, আমরা বুঝতে বুঝতেই তারা পগার
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি যারা দিয়েছে তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় এরা কোন মুক্তিযোদ্ধা?
ফজলুল বারী: প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে দীর্ঘদিন ধরে আমি দেশের মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। এখন বিদেশে থাকলেও অনলাইন যুগের কারনে কার্যত দেশের মিডিয়া থেকে
Ekushe Boi Mela (Book Fair)
28th February was the last day of the Book Mela (Book Fair) and every year it is held during the
Wishing a happy journey of Troyee publications.congtatultions for the organising team.its a sincere n honest venture for unity of nrb in Australlia.in long run which will help another generation who cares for humanvalue.thanks.