শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মরণ
শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তার স্থানীয় দোসর- রাজাকার, আলবদর, আলশামস এর নৃশংসতার বর্ণনা পড়ে এবং শুনে মন যত না খারাপ হয়, তার চাইতে বেশি ক্রোধ হয়। মনে হয় এদের কাউকে কাছে পেলে ঠিক দ্বিগুন পরিমান হিংস্রতা ও নৃশংসতা ফিরিয়ে দিতাম। আইন আমাকে তা করতে দেবে না, তাই মন প্রাণ দিয়ে এদের, এবং এদের পুনর্বাসনকারী ও সহযোগী রাজনৈতিক দলগুলোকে ঘৃণা করি।
১৪ ডিসেম্বরে জাতি গভীর শ্রদ্ধা ভরে সকল বুদ্ধিজীবিদের স্মরণ করে। গন্যমান্য ব্যক্তিগণ বক্ত্রিতা করেন; রাজাকার আলবদরদের ঠান্ডা মাথায় বুদ্ধিজীবি হত্যার পরিকল্পনা, অকল্পনীয় হিংস্রতার কথা আমাদের প্রতি বছর মনে করিয়ে দেন। কিন্তু আমার মনে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খায়: আমরা জানি একটা জাতিকে গড়তে উঁচু মানের মেধা এবং তার সাথে সম্পর্কিত কাজের কোনো বিকল্প নেই। এখনো আমরা যাদের সত্যিকারের জ্ঞান তাপস হিসেবে জানি তারা সবাই সেই সময়ের বাহক, এখনো তারা আমাদের পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বয়স হয়েছে, পৃথিবীর স্বাভাবিক নিয়মে তারা চলে যাবেন। বিগত ৪৬ বছরে জাতি কি এদের সমকক্ষ বা উচ্চতর মেধা সম্পন্ন বুদ্ধিজীবি বা দুঃসময়ে বা যে কোনো প্রয়োজনে জাতিকে পথ দেখাতে বা অনুপ্রাণিত করতে পারে- এমন মানুষ কি সৃষ্টি করতে পেরেছে?
আমরা জানি কেন বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হয়েছিল। ‘৭১ পরবর্তী প্রজন্মকেও তা জানিয়ে যেতে হবে। তবে তার চাইতেও বেশি দরকার সঠিক পরিবেশ সৃষ্টি করা যাতে এই ‘৭১ পরবর্তী প্রজন্ম থেকে যেন আমরা মুনির চৌধুরী, জেসি দেব, নতুন চন্দ্র, গিয়াস উদ্দিন- এদের মতো বা আরো উঁচুমানের দিক নির্দেশক পাই।
শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে জাতির উচিত পিছন ফিরে তাকিয়ে সত্যিকার মানুষ এবং বাঙালি তৈরী করার সঠিক পরিকল্পনা করা, কৌশল নির্ধারণ করা, কাজের স্টক-টেক নেয়া। সব শেষে আত্ম জিজ্ঞাসা করা: আমরা কি পরিকল্পিত কাজটা ঠিক সময়ে সাফল্যের সাথে শেষ করতে পেরেছি? না পারলে কি করতে হবে?
শুধু বক্ত্রিতা করে লাভ নেই।
Related Articles
দখল বানিজ্যে আওয়ামী লীগ এগিয়ে – হিন্দুদের জমি/সম্পত্তির লোভ
পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চা শ্রমিকদের ভোটাধিকার ছিলোনা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃ্ত্বে আওয়ামী লীগের সংগ্রামে তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই কৃতজ্ঞতায়
Flash Back: Point Counterpoint: The golden fibre (watch exclusive video)
IN recent weeks much has been written about the “collapse” of the jute industry in Bangladesh, including heart-rending reports detailing
শরতের সকাল
শরৎ কাল আসার পর থেকেই দাদির মুখে একটা শ্লোক শুনতামঃ আইলোরে আশ্বিন, গা করে শিনশিন; পৌষের জারে (শীতে) মহিষের শিং