বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনি -হায় কমিশনার এবং নূর রক্ষার কাহিনী
হায় কমিশনার এবং নূর রক্ষার কাহিনী/১
ইনি রফিকুল ইসলাম টুকু মিয়া। খোন্দকার মোশতাকের দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের স্বামীর সন্তান। তিনি যখন ওটোয়ায় হাই কমিশনার ছিলেন। তখন বঙ্গবন্ধু আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীর বহিষ্কার আদেশ দেয় কানাডার আদালত। (কপি সংযুক্ত) কিন্তু এই টুকু মিয়া দূতাবাসের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না করে নীরব ভূমিকা পালন করে। ফলে নূর কানাডায় থাকার সুযোগ পেয়ে যায়।
হায় কমিশনার এবং নূর রক্ষার কাহিনী/২
নূরকে সব চেয়ে বেশি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সহযোগিতা করেছে বেইমান শমসের মবিন চৌধুরী। অথচ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত শমসের মবিনকে জার্মানিতে পাঠিয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
হায় কমিশনার এবং নূর রক্ষার কাহিনী/৩
বেয়াকুব আলী দুই বছর বাড়তি মেয়াদের পর তার স্থাভিষিক্ত হলেন কামরুল আহসান। অর্থ অপচয়ের নাটের গুরু কামরুল সাহেব খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত নেয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে দেড় কোটি টাকা ল’ ফার্মকে দেয়ার বরাদ্দ আনেন। যে পুরো টাকাটাই জলে যাবে এবং যাচ্ছেও। আমার কাছ থেকে নূর চৌধুরীর কাগজপত্র, তথ্যাদি নিয়ে দূতাবাসের ফাইল সমৃদ্ধ করেন। কামরুল সাহেব অসুস্থ ছেলের চিকিৎসা আর আত্মীয় স্বজনদের সাথে বসবাসের জন্য একবার মেয়াদ বাড়িয়ে দ্বিতীয় বার মেয়ার বাড়ানোর প্রাণপন অপকৌশল করেও ব্যর্থ হন। তিনি রাজধানী অটোয়ায় অবস্থা করেও দু’দেশের মধ্য বন্দি মিনিময় চুক্তির জন্য মাত্র দুই ব্লক পর পার্লামেন্ট ভবনে না গিয়ে দৌঁড়ে এসেছেন টরন্টোতে ল’ ফার্মের কাছে। অদক্ষ এই সব হাই কমিশনারেরা নূর চৌধুরীর স্পর্শকাতর ইস্যুকে জিয়িয়ে রেখে এভাবেই দেশ ও জাতীকে বোকা বানিয়ে ধোঁকা দিচ্ছেন।
হায় কমিশনার এবং নূর রক্ষার কাহিনী/৪
বর্তমান হাই কমিশনার মিজানুর রহমান। তাকে প্রবাসী বাঙালিরা ডাকেন নবাব মিজানু’উদ্দৌল্লাহ! তিনি কানাডার ১৫০তম জন্মদিনের জাতীয় না গিয়ে নুরকে ফেরত নেয়ার গণ স্বাক্ষরের উছিলায় স্বপরিবারে কুইব্যাক সিটিতে ভ্রমণে যান। বিনোদন-অবকাশ তার খুব প্রিয়। সুযোগ পেয়েই রাস্ট্রীয় অনুষ্ঠান ফেলে বাচ্চাদের মতো ছুটে বরফে ‘কুত্তা’ দৌঁড়ে। তাই অন্টারিও সরকারের ঘোষিত ‘বাংলাদেশ হেরিটেস মান্থ’ অনুষ্ঠানে আসেনা, প্রথা মোতাবেক ঈদের অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয়, বিতর্কিত ব্যক্তিদের সাথে উঠাবসা করে, এ ভাবে একের পর এক অপকর্ম করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, ইগনোর করছে যে দেশে দূত তিনি সেই দেশের রাষ্ট্রীয় সন্মান এবং প্রবাসী বাঙালিদের ইমেজ!
তিনি কূটনৈতিক তৎপরতার চেয়ে প্রবাসীদের সাথে মত বিনিময় করেন। অথচ এই মত বিনিময় করা কানাডিয়ান এবং কানাডা সরকারের সাথে!
Related Articles
Kopale jodi thake gali, khondabe take ke?
কপালে যদি থাকে গালি, খন্ডাবে তাকে কে ? বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । তাঁকে ছাড়া এই দেশটির
অন্য রকম ভালবাসা
প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন না কোন উপায় নেই। বিয়ে তাকে করতেই হবে
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক মোঃ ইয়াকুব আলীর প্রথম বই ‘নদীর জীবন’ এসেছে এইবারের বইমেলায়
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক মোঃ ইয়াকুব আলীর প্রথম বই ‘নদীর জীবন’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি মূলত লেখকের শৈশব কৈশোরের স্মৃতিকথা হলেও এতে